Ajker Patrika

পার্ক, সৈকতে যেতে দুর্ভোগ

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৩৬
পার্ক, সৈকতে যেতে দুর্ভোগ

বরগুনার তালতলীতে সোনাকাটা ইকোপার্কে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

কারণ পুরোনো সেতু ভেঙে ফেলা হয়েছে। নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

ভোগান্তির কারণে সোনাকাটা ইকোপার্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পর্যটকেরা। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে দাবি বন বিভাগের।

জানা যায়, পর্যটক স্পট তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি ইকোপার্ক ও সোনাকাটা সমুদ্রসৈকত। সমুদ্র সৈকত দেখতে যেতে হলে একটি খাল পার হয়ে যেতে হয়। এই খাল পারাপারের পুরোনো সেতুটি ছিল চলাচলের অযোগ্য। সৈকতের কাছে যাওয়ার জন্য নতুন একটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ৭২ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণ করার কাজ পায় আমির ইঞ্জিনিয়ারিং নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর আগে পুরোনো সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়। পর্যটক ও স্থানীয়দের চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক না করে নতুন সেতু নির্মাণকাজ শুরু করায় পর্যটকসহ স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েন। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক ১ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে খাল পারাপারের জন্য আলতাফ নামের এক ব্যক্তিকে চুক্তি করেন। তবু যাত্রীদের জনপ্রতি ৫ টাকা দিয়ে পর্যটক ও স্থানীয়দের পারাপার হতে হয়। তবে নৌকাটি ছোট হওয়ায় পর্যটকদের পারাপারে ঝুঁকি থেকে যায়। যার কারণে টেংরাগিরি ইকোপার্ক ও সোনাকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে বলে মনে করছে সচেতন মহল। এ জন্য প্রতিদিন বন বিভাগ হারাচ্ছেন রাজস্ব।

গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ৪০ থেকে ৫০ জন পর্যটক নৌকার খেয়া পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। নৌকাটি ছোট হওয়ায় ধারণক্ষমতা হচ্ছে ২ থেকে ৩ জন যাত্রী পারাপার করার। ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকাতে ৭ থেকে ৮ জন করে পারাপার করা হচ্ছে। এতে দূর থেকে আসা পর্যটকেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেক পর্যটককে বিরক্ত হয়ে চলে যেতেও দেখা গেছে।

টেংরাগিরি ইকোপার্ক ও সোনাকাটা সমুদ্রসৈকতে আসা একাধিক পর্যটক জানান, এখানে ঘুরতে এসে এখন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বনের ভেতরে যেতে হলে খালটি পার হতে হয়। বিকল্প ব্যবস্থা না রাখায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও খেয়া পার হতে পারিনি। কখন পার হতে পারব জানি না। এভাবে হলে এই ইকোপার্কে কোনো পর্যটক আসবে না। তাই আমাদের দাবি সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প ব্যবস্থা করা হোক।

এ বিষয়ে কথা বলতে আমির ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্বত্বাধিকারী মো. আমির হোসেনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন কলটি রিসিভ করেনি।

তালতলী উপজেলা রেঞ্জ অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার বলা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ জন্য এখানে পর্যটক আসে না তাই সরকারের রাজস্ব কমে যাচ্ছে। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করার দাবি করছি।’

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মদ আলী বলেন, ‘খালে অনেক পানির স্রোত, তাই সাঁকো তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু নৌকাটি ছোট তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। খুব দ্রুতই বড় নৌকা দেওয়া হবে যত দিনে সাঁকো তৈরি না হয়। স্রোত কমলেই সাঁকো তৈরির ব্যবস্থা করা হবে। সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত