আজাদুল আদনান, ঢাকা
প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে চার দিনের শিশু শরিফ হোসাইনকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা যায় শরিফ নিউমোনিয়া আক্রান্ত। কিন্তু ঠিক সময়ে হাসপাতাল আনতে না পারায় শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে। উপজেলা পর্যায়ে নিউমোনিয়ার সুচিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু অবস্থা এতটাই সংকটাপন্ন ছিল, হাসপাতালে ভর্তির পরও বাঁচানো যায়নি শরিফকে।
শুধু শরিফ নয় দেশে নিউমোনিয়া আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি শিশুর মৃত্যু হয় চিকিৎসা ছাড়াই। এর অন্যতম কারণ, জেলা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎসায় সঠিক ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষিত কর্মী নেই। ফলে একদিকে বাড়ছে প্রাণহানি অন্যদিকে জীবন বাঁচাতে ঢাকামুখী হচ্ছে মানুষ।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআরবির এক গবেষণায় বলা হয়, দেশে বিভিন্ন রোগে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু যে হারে মারা যাচ্ছে তার ২৮ শতাংশই নিউমোনিয়ায়। প্রতি বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ৮০ হাজার শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার মারা যাচ্ছে। অথচ শিশুর সেবা নিশ্চিতে দেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল মাত্র একটি। বাংলাদেশ হেলথ ফ্যাসিলিটির জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি বছর ১০ লাখ শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়। দেশে এই রোগে ৬৭ জন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। যার ৫২ শতাংশই চিকিৎসার বাইরে থেকে যাচ্ছে। সঠিক সময় চিকিৎসাকেন্দ্র না আসার কারণে ৪৫ শতাংশ শিশু মারা যায়। ৫০ ভাগ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। এক-তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সিজেনের অন্যান্য উৎসও অনুপস্থিত। মাত্র এক-তৃতীয়াংশ জেলা হাসপাতালে আছে পালস অক্সিমিটার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৯৫ শতাংশ হাসপাতালে নিউমোনিয়া চিকিৎসার সুব্যবস্থাপনা নেই। যে কারণে ফুসফুস সংক্রমণ দেখা দেওয়ার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ৪২ শতাংশ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেওয়া হয়। অন্য কোনো চিকিৎসা সেবা না থাকায় ৩৪ শতাংশ শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়।
দেশে প্রতি বছর ২৪ হাজার ৩০০ জন শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়। যার ৫০ শতাংশ বাড়িতে। এখন পর্যন্ত ৫০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার কারণ জানা যায় না। এ ছাড়া অপুষ্টির শিকার শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া জনিত মৃত্যুর প্রবণতা ১৫ গুণ বেশি।
শিশুদের চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যকেন্দ্র রাজধানীর ঢাকা শিশু হাসপাতাল। যেখানে বিভিন্ন অসুখে ভোগা পাঁচ শতাধিক শিশু চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে দেড় শর মতো নিউমোনিয়ার। গত নয় দিনে এই হাসপাতালে নিউমোনিয়া আক্রান্ত ২৯ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ শিশু মারা গেছে, যাদের বয়স ৫ বছরের কম। দায়িত্বরত এক নার্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার এই সময়ে শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের হার বেড়েছে অনেক বেশি। যারা আসছেন বেশির ভাগই ঢাকার বাইরের।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতির (বিপিএ) অধ্যাপক মনজুর হোসেনের মতে, করোনায় নিউমোনিয়া টিকা কার্যক্রম কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে, এই টিকা কার্যক্রমে গতি আনতে হবে। শিশুর পুষ্টির উন্নীতকরণ কাজ করতে হবে। শিশুদের দুধমাপ বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপগুলো নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২০২৫ সালের মধ্যে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর হার হাজারে ৩ জনে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। তবে দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই হাসপাতালে নিতে হবে। এতে করে মৃত্যুর হার অনেকাংশেই কমে আসবে। মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে শিশুকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাস পর খাওয়াতে হবে পুষ্টিকর খাবার। এ ছাড়া পরিবেশ দূষণ রোগে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে চার দিনের শিশু শরিফ হোসাইনকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা যায় শরিফ নিউমোনিয়া আক্রান্ত। কিন্তু ঠিক সময়ে হাসপাতাল আনতে না পারায় শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে। উপজেলা পর্যায়ে নিউমোনিয়ার সুচিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু অবস্থা এতটাই সংকটাপন্ন ছিল, হাসপাতালে ভর্তির পরও বাঁচানো যায়নি শরিফকে।
শুধু শরিফ নয় দেশে নিউমোনিয়া আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি শিশুর মৃত্যু হয় চিকিৎসা ছাড়াই। এর অন্যতম কারণ, জেলা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎসায় সঠিক ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষিত কর্মী নেই। ফলে একদিকে বাড়ছে প্রাণহানি অন্যদিকে জীবন বাঁচাতে ঢাকামুখী হচ্ছে মানুষ।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআরবির এক গবেষণায় বলা হয়, দেশে বিভিন্ন রোগে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু যে হারে মারা যাচ্ছে তার ২৮ শতাংশই নিউমোনিয়ায়। প্রতি বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ৮০ হাজার শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার মারা যাচ্ছে। অথচ শিশুর সেবা নিশ্চিতে দেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল মাত্র একটি। বাংলাদেশ হেলথ ফ্যাসিলিটির জরিপ বলছে, বিশ্বে প্রতি বছর ১০ লাখ শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়। দেশে এই রোগে ৬৭ জন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। যার ৫২ শতাংশই চিকিৎসার বাইরে থেকে যাচ্ছে। সঠিক সময় চিকিৎসাকেন্দ্র না আসার কারণে ৪৫ শতাংশ শিশু মারা যায়। ৫০ ভাগ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। এক-তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সিজেনের অন্যান্য উৎসও অনুপস্থিত। মাত্র এক-তৃতীয়াংশ জেলা হাসপাতালে আছে পালস অক্সিমিটার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৯৫ শতাংশ হাসপাতালে নিউমোনিয়া চিকিৎসার সুব্যবস্থাপনা নেই। যে কারণে ফুসফুস সংক্রমণ দেখা দেওয়ার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ৪২ শতাংশ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেওয়া হয়। অন্য কোনো চিকিৎসা সেবা না থাকায় ৩৪ শতাংশ শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়।
দেশে প্রতি বছর ২৪ হাজার ৩০০ জন শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়। যার ৫০ শতাংশ বাড়িতে। এখন পর্যন্ত ৫০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার কারণ জানা যায় না। এ ছাড়া অপুষ্টির শিকার শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া জনিত মৃত্যুর প্রবণতা ১৫ গুণ বেশি।
শিশুদের চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যকেন্দ্র রাজধানীর ঢাকা শিশু হাসপাতাল। যেখানে বিভিন্ন অসুখে ভোগা পাঁচ শতাধিক শিশু চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে দেড় শর মতো নিউমোনিয়ার। গত নয় দিনে এই হাসপাতালে নিউমোনিয়া আক্রান্ত ২৯ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ শিশু মারা গেছে, যাদের বয়স ৫ বছরের কম। দায়িত্বরত এক নার্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার এই সময়ে শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের হার বেড়েছে অনেক বেশি। যারা আসছেন বেশির ভাগই ঢাকার বাইরের।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতির (বিপিএ) অধ্যাপক মনজুর হোসেনের মতে, করোনায় নিউমোনিয়া টিকা কার্যক্রম কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে, এই টিকা কার্যক্রমে গতি আনতে হবে। শিশুর পুষ্টির উন্নীতকরণ কাজ করতে হবে। শিশুদের দুধমাপ বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপগুলো নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২০২৫ সালের মধ্যে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর হার হাজারে ৩ জনে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। তবে দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই হাসপাতালে নিতে হবে। এতে করে মৃত্যুর হার অনেকাংশেই কমে আসবে। মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে শিশুকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাস পর খাওয়াতে হবে পুষ্টিকর খাবার। এ ছাড়া পরিবেশ দূষণ রোগে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে