হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেসরকারি খাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এ নিয়ে মেয়রের দাবি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর জন্য নতুন করে ফি আরোপের বিষয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে নাগরিক সমাজে।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এ উল্লেখ আছে, ‘করপোরেশন তার নিয়ন্ত্রণাধীন সকল জনপথ, সাধারণ পায়খানা, প্রস্রাবখানা, নর্দমা, ইমারত ও জায়গা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে আসছে চসিক। এর জন্য নগরবাসীর কাছ থেকে ফিও নেওয়া হচ্ছে। তবে এখন আগের অবস্থান থেকে সরে ‘চট্টগ্রাম ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট সার্ভিস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এই কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে করপোরেশন।
এ বিষয়ে চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, যে সব এলাকায় ডোর টু ডোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালু নেই, সে সব এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেসরকারিভাবে করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন। তবে এখনো এটি পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়নি। স্ট্যান্ডিং কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। আজ (গতকাল) সাধারণ সভায়ও এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি শেষে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেসরকারি খাতে গেলে এর জন্য মাসে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে সেবা গ্রহীতাকে। করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্জ্যের পরিমাণ ভেদে মাসে ৫০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ দিতে হবে বর্জ্য সরবরাহকারীকে।
এদিকে সার্ভিস চার্জের নামে নতুন ফি আদায়ের সিদ্ধান্তের ঘটনায় অসন্তুষ্ট নগরবাসী। তাদের প্রশ্ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আলোকায়ন আর সড়ক মেরামত করাই করপোরেশনের প্রধান কাজ। এই কাজও যদি তারা বেসরকারি খাতে দিয়ে দেয়, তাহলে তারা কোন কাজটা করবে?
অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করা উচিত। কিন্তু এই সেবা নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি করা সিটি করপোরেশনের উচিত হবে না। এই সেবা চালু করলে বৈষম্য তৈরি হবে। কারণ করপোরেশনের ডোর টু ডোর সেবার মাধ্যমে যেসব বাসা বাড়ি থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে, তাদের এর জন্য বাড়তি ফি দিতে হচ্ছে না। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থা বর্জ্য অপসারণ করলে তাদের টাকা দিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আবার কেন সার্ভিস চার্জ দিতে হবে?
অবস্থান ভেদে ১৪ থেকে ১৭ শতাংশ পৌরকর আদায় করে সিটি করপোরেশন। যেখানে ৪ থেকে ৭ শতাংশ আদায় করা হয় বর্জ্য অপসারণের জন্য। যে কারণে এর আগে ২০১৭ সালে ১ জানুয়ারি থেকে ‘ডোর টু ডোর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম’ প্রকল্পের চালু করলেও সে সময় বর্জ্য সরবরাহকারীর কাছ থেকে কোনো ফি নেয়নি চসিক।
কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, পৌর করের সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যে ফি গ্রহণ করা হয়, সেগুলো বর্জ্য নিষ্পত্তির জন্য। উৎস থেকে সিটি করপোরেশন নির্ধারিত বিনে আনার জন্য কোনো ফি করপোরেশন নিচ্ছে না। নগরবাসী যদি ফি দিতে না চায়, তাহলে তারা নিজেরা করপোরেশনের নির্ধারিত ডাস্টবিনে এনে বর্জ্য ফেলবে।
এ দিকে সিটি করপোরেশন থেকে নির্ধারিত বিনের কথা বলা হলেও বাস্তবে চট্টগ্রাম শহরের কোথাও এখন ডাস্টবিন নেই।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বরে ‘চট্টগ্রাম ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট সার্ভিস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে বর্জ্য সংগ্রহে আগ্রহ প্রকাশ করে মেয়রের কাছে আবেদন করেন।
চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে চাই। এ জন্যই পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেসরকারি একটি সংস্থাকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা বাসা বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে করপোরেশনের সেকেন্ডারি ডাম্পিং স্টেশনে এনে ফেলবে। সেখান থেকে ময়লাগুলো করপোরেশন নিষ্পত্তি করবে।’
চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেসরকারি খাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এ নিয়ে মেয়রের দাবি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর জন্য নতুন করে ফি আরোপের বিষয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে নাগরিক সমাজে।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এ উল্লেখ আছে, ‘করপোরেশন তার নিয়ন্ত্রণাধীন সকল জনপথ, সাধারণ পায়খানা, প্রস্রাবখানা, নর্দমা, ইমারত ও জায়গা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে আসছে চসিক। এর জন্য নগরবাসীর কাছ থেকে ফিও নেওয়া হচ্ছে। তবে এখন আগের অবস্থান থেকে সরে ‘চট্টগ্রাম ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট সার্ভিস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এই কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে করপোরেশন।
এ বিষয়ে চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, যে সব এলাকায় ডোর টু ডোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালু নেই, সে সব এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেসরকারিভাবে করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন। তবে এখনো এটি পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়নি। স্ট্যান্ডিং কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। আজ (গতকাল) সাধারণ সভায়ও এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি শেষে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেসরকারি খাতে গেলে এর জন্য মাসে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে সেবা গ্রহীতাকে। করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্জ্যের পরিমাণ ভেদে মাসে ৫০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ দিতে হবে বর্জ্য সরবরাহকারীকে।
এদিকে সার্ভিস চার্জের নামে নতুন ফি আদায়ের সিদ্ধান্তের ঘটনায় অসন্তুষ্ট নগরবাসী। তাদের প্রশ্ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আলোকায়ন আর সড়ক মেরামত করাই করপোরেশনের প্রধান কাজ। এই কাজও যদি তারা বেসরকারি খাতে দিয়ে দেয়, তাহলে তারা কোন কাজটা করবে?
অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করা উচিত। কিন্তু এই সেবা নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি করা সিটি করপোরেশনের উচিত হবে না। এই সেবা চালু করলে বৈষম্য তৈরি হবে। কারণ করপোরেশনের ডোর টু ডোর সেবার মাধ্যমে যেসব বাসা বাড়ি থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে, তাদের এর জন্য বাড়তি ফি দিতে হচ্ছে না। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থা বর্জ্য অপসারণ করলে তাদের টাকা দিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আবার কেন সার্ভিস চার্জ দিতে হবে?
অবস্থান ভেদে ১৪ থেকে ১৭ শতাংশ পৌরকর আদায় করে সিটি করপোরেশন। যেখানে ৪ থেকে ৭ শতাংশ আদায় করা হয় বর্জ্য অপসারণের জন্য। যে কারণে এর আগে ২০১৭ সালে ১ জানুয়ারি থেকে ‘ডোর টু ডোর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম’ প্রকল্পের চালু করলেও সে সময় বর্জ্য সরবরাহকারীর কাছ থেকে কোনো ফি নেয়নি চসিক।
কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, পৌর করের সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যে ফি গ্রহণ করা হয়, সেগুলো বর্জ্য নিষ্পত্তির জন্য। উৎস থেকে সিটি করপোরেশন নির্ধারিত বিনে আনার জন্য কোনো ফি করপোরেশন নিচ্ছে না। নগরবাসী যদি ফি দিতে না চায়, তাহলে তারা নিজেরা করপোরেশনের নির্ধারিত ডাস্টবিনে এনে বর্জ্য ফেলবে।
এ দিকে সিটি করপোরেশন থেকে নির্ধারিত বিনের কথা বলা হলেও বাস্তবে চট্টগ্রাম শহরের কোথাও এখন ডাস্টবিন নেই।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বরে ‘চট্টগ্রাম ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট সার্ভিস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে বর্জ্য সংগ্রহে আগ্রহ প্রকাশ করে মেয়রের কাছে আবেদন করেন।
চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে চাই। এ জন্যই পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেসরকারি একটি সংস্থাকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা বাসা বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে করপোরেশনের সেকেন্ডারি ডাম্পিং স্টেশনে এনে ফেলবে। সেখান থেকে ময়লাগুলো করপোরেশন নিষ্পত্তি করবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪