Ajker Patrika

২৯০ ক্লিনিকে আছেন মাত্র ৯ প্যাথলজিস্ট

জিয়াউল হক, যশোর
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৪২
২৯০ ক্লিনিকে আছেন মাত্র ৯ প্যাথলজিস্ট

যশোরে মোট ২৯০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিপরীতে প্যাথলজিস্ট আছেন মাত্র ৯ জন। অথচ সরকারি নির্দেশনানুযায়ী একটি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন প্যাথলজিস্ট থাকতে হবে। ফলে রোগীদের মেডিকেল রিপোর্টে মেলে না প্রকৃত তথ্য। যে কারণে অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক ব্যবস্থাপত্র দেওয়াও দুরূহ হয়ে পড়ে চিকিৎসকদের জন্য।

সরেজমিনে জানা গেছে, যশোর মেডিকেল কলেজে ৫ জন, সদর হাসপাতালে ১ জন, আদদ্বীন মেডিকেল কলেজে ১ জন এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন ২ জন প্যাথলজিস্ট। কিন্তু জেলায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ২৯০টি। এর মধ্যে ১১০টি ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১৮০টি। সরকারি নিয়মানুযায়ী যেখানে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়, সেখানে বাধ্যতামূলক একজন প্যাথলজিস্ট থাকতে হবে। কিন্তু জেলার হাতে গোনা ১৩ / ১৪টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যগুলোতে পুরোপুরিই উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারি নির্দেশনা।

যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ মাঝেমধ্যে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে। গত কয়েক মাসে প্যাথলজিস্ট না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৫৫টি প্রতিষ্ঠান সিলগালাও করে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে অজ্ঞাত কারণে কিছুদিন বাদে সেখানে পুনরায় শুরু হয় স্বাভাবিক কার্যক্রম। বিশেষ করে সদর হাসপাতালের আশপাশে গড়ে ওঠা অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো চলছে নিয়ম বহির্ভূতভাবেই।

যশোরে সবচেয়ে বেশি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার প্যাডে স্বাক্ষর দেখা যায় ডা. একেএম আব্দুল আওয়ালের। সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যশোর সদর হাসপাতালের একেবারে সামনেই গড়ে ওঠা ৯টি প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

খোদ যশোর সদর হাসপাতালের সামনের প্রতিষ্ঠানগুলোর টেকনিশিয়ানদের বিরুদ্ধেই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই আবার অধ্যয়নরত অবস্থাতেই করছেন চাকরি।

এ বিষয়ে আলাপকালে যশোর সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘ছোট খাট কিছু বিষয় টেকনিশিয়ান দেখতে পারেন। তবে এমন অনেক জটিল বিষয় রয়েছে যা প্যাথলজিস্ট ছাড়া সম্ভব নয়। এতে বরং হিতে-বিপরীত হতে পারে। তা ছাড়া একজন চিকিৎসক পরীক্ষার ফলের ওপরই ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন। যদি সেটি সঠিক না হলে ভোগান্তি বাড়বেই।’

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা বিষয়টিকে সামনে রেখে অভিযান শুরু করেছি। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে। অনেককে জরিমানাও করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত