উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য মাদারীপুর অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণে সরকারি অর্থ লুটপাটের ছক সাজানো হয়েছিল। মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের এলএ শাখা, বন বিভাগ ও পূর্ত অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে স্থানীয় একটি চক্র ১৯৫ একর খাসজমি ব্যক্তিমালিকানায় দেখিয়ে অধিগ্রহণ বাবদ ৪৪২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল। একইভাবে অধিগ্রহণ করা জমিতে কাল্পনিক ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ অবকাঠামো দেখিয়ে সেই অবকাঠামোর দাম ধরা হয়েছিল বাজারমূল্যের চেয়ে অন্তত ২২৩ কোটি টাকা বেশি। ওই দুটি খাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জেলা প্রশাসনের অনুকূলে ৬৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দও দেয়। কিন্তু চেক বিতরণ শুরু হতেই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
জানা যায়, ৫২টি চেক বিতরণের পর ভূমি অধিগ্রহণে ৯০ শতাংশ দুর্নীতির অভিযোগ লোকমুখে জানতে পারেন মাদারীপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের বর্তমান যুগ্ম সচিব ড. রহিমা খাতুন।
এ বিষয়ে ড. রহিমা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলএ চেক বিতরণকালে কয়েকজন বলাবলি করছিলেন যে অধিগ্রহণে ৮০-৯০ শতাংশ অনিয়ম হয়েছে। গাছপালা-ঘরবাড়ি কিছুই ছিল না। পরে তাঁদের ডেকে বিষয়টি জানতে চাই। তাঁরা আমাকে কিছু তথ্য দেন এবং আরও খোঁজ নিতে বলেন। আমি প্রতি বুধবার গণশুনানি করতাম। সেখানেও অনেকে এমন অভিযোগ করেন। এরপরই চেক বিতরণ স্থগিত করে আগের বিতরণ করা ৫২টি এলএ চেক বাতিল করি। ঘটনা খতিয়ে দেখতে মাদারীপুরের এডিসি (রাজস্ব) ঝোটন চন্দকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং সাশ্রয় হয় সরকারের ২২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বিষয়টি অবহিত করে গত ২৮ ডিসেম্বর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালককে চিঠি দিই। কিছুদিন পর আমি বদলি হয়ে চলে আসি।’
জানা যায়, তদন্ত কমিটি এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন, নথি ও ভিডিও পর্যালোচনা করে। পরে সংশোধিত প্রাক্কলন প্রস্তাব পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এতে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের খাসজমি ব্যক্তিমালিকানায় অধিগ্রহণের ৪৪২ কোটি টাকা এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের গাছপালা, ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোর ২২৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। ইতিমধ্যে তা থেকে ৪৩৫ কোটি টাকা পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষকে এবং ৭ কোটি টাকা ভূমি মন্ত্রণালয়কে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকি ২২৩ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন।
চিঠির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠিটা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে পেয়েছি। ইতিমধ্যে তা সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এটা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে, যা চলমান।’
তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রথম প্রাক্কলন প্রস্তাবে জমিতে ঘরবাড়ি-গাছপালা না থাকলেও দেখানো হয়েছিল সবই। একতলা ভবনকে দেখানো হয় ছয়তলা। এক শতক জমিতে ১৫টি গাছ থাকলেও দেখানো হয় ২০০টি। বাস্তবে না থাকলেও দেখানো হয়েছিল ৭টি ডেইরি ফার্ম।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তৎকালীন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক, তৎকালীন সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমান, রাসেল আহম্মেদ, মাঈনুল হাসান ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক তহসিলদার মাহমুদ ব্যাপারীর যোগসাজশে সরকারি অর্থ লোপাট করার উদ্দেশ্যে ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এতে বন বিভাগের মাদারীপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাপস কুমার সেন গুপ্ত এবং মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগের সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী শাওন হাওলাদারও জড়িত।
এ প্রসঙ্গে মাদারীপুরের ডিসি মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে একজন তহসিলদার ও দুজন সার্ভেয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বন বিভাগ ও পূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য মাদারীপুর অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণে সরকারি অর্থ লুটপাটের ছক সাজানো হয়েছিল। মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের এলএ শাখা, বন বিভাগ ও পূর্ত অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে স্থানীয় একটি চক্র ১৯৫ একর খাসজমি ব্যক্তিমালিকানায় দেখিয়ে অধিগ্রহণ বাবদ ৪৪২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল। একইভাবে অধিগ্রহণ করা জমিতে কাল্পনিক ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ অবকাঠামো দেখিয়ে সেই অবকাঠামোর দাম ধরা হয়েছিল বাজারমূল্যের চেয়ে অন্তত ২২৩ কোটি টাকা বেশি। ওই দুটি খাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জেলা প্রশাসনের অনুকূলে ৬৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দও দেয়। কিন্তু চেক বিতরণ শুরু হতেই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
জানা যায়, ৫২টি চেক বিতরণের পর ভূমি অধিগ্রহণে ৯০ শতাংশ দুর্নীতির অভিযোগ লোকমুখে জানতে পারেন মাদারীপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের বর্তমান যুগ্ম সচিব ড. রহিমা খাতুন।
এ বিষয়ে ড. রহিমা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলএ চেক বিতরণকালে কয়েকজন বলাবলি করছিলেন যে অধিগ্রহণে ৮০-৯০ শতাংশ অনিয়ম হয়েছে। গাছপালা-ঘরবাড়ি কিছুই ছিল না। পরে তাঁদের ডেকে বিষয়টি জানতে চাই। তাঁরা আমাকে কিছু তথ্য দেন এবং আরও খোঁজ নিতে বলেন। আমি প্রতি বুধবার গণশুনানি করতাম। সেখানেও অনেকে এমন অভিযোগ করেন। এরপরই চেক বিতরণ স্থগিত করে আগের বিতরণ করা ৫২টি এলএ চেক বাতিল করি। ঘটনা খতিয়ে দেখতে মাদারীপুরের এডিসি (রাজস্ব) ঝোটন চন্দকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং সাশ্রয় হয় সরকারের ২২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বিষয়টি অবহিত করে গত ২৮ ডিসেম্বর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালককে চিঠি দিই। কিছুদিন পর আমি বদলি হয়ে চলে আসি।’
জানা যায়, তদন্ত কমিটি এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন, নথি ও ভিডিও পর্যালোচনা করে। পরে সংশোধিত প্রাক্কলন প্রস্তাব পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এতে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের খাসজমি ব্যক্তিমালিকানায় অধিগ্রহণের ৪৪২ কোটি টাকা এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের গাছপালা, ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোর ২২৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। ইতিমধ্যে তা থেকে ৪৩৫ কোটি টাকা পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষকে এবং ৭ কোটি টাকা ভূমি মন্ত্রণালয়কে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকি ২২৩ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন।
চিঠির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠিটা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে পেয়েছি। ইতিমধ্যে তা সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এটা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে, যা চলমান।’
তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রথম প্রাক্কলন প্রস্তাবে জমিতে ঘরবাড়ি-গাছপালা না থাকলেও দেখানো হয়েছিল সবই। একতলা ভবনকে দেখানো হয় ছয়তলা। এক শতক জমিতে ১৫টি গাছ থাকলেও দেখানো হয় ২০০টি। বাস্তবে না থাকলেও দেখানো হয়েছিল ৭টি ডেইরি ফার্ম।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তৎকালীন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক, তৎকালীন সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমান, রাসেল আহম্মেদ, মাঈনুল হাসান ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক তহসিলদার মাহমুদ ব্যাপারীর যোগসাজশে সরকারি অর্থ লোপাট করার উদ্দেশ্যে ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এতে বন বিভাগের মাদারীপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাপস কুমার সেন গুপ্ত এবং মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগের সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী শাওন হাওলাদারও জড়িত।
এ প্রসঙ্গে মাদারীপুরের ডিসি মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে একজন তহসিলদার ও দুজন সার্ভেয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বন বিভাগ ও পূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে