রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ২১৮ উপপরিদর্শক (এসআই) এবং সহকারী উপপরিদর্শকদের (এএসআই) একযোগে বদলি করা হয়েছে। শহর উপপরিদর্শক (টিএসআই) এবং শহর সহকারী উপপরিদর্শকেরাও (এটিএসআই) রয়েছেন বদলির তালিকায়। গত সোমবার আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এক আদেশে তাঁদের বদলি করা হয়।

‘জনস্বার্থে’ এই বদলি করা হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবারের মধ্যেই নতুন থানায় যোগ দেওয়ার জন্য বদলি হওয়া এসআই, এএসআই, টিএসআই এবং এটিএসআইদের নির্দেশ দেওয়া হয়। কেউ নতুন থানায় যোগ দিতে দেরি করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বদলি তালিকায় আছেন ১০৫ জন এসআই, ১১০ জন এএসআই, একজন টিএসআই এবং দুজন এটিএসআই। আরএমপির মোট ১২টি থানায় ২১৮ জন এসআই, এএসআই, টিএসআই ও এটিএসআই কর্মরত ছিলেন। সবাইকেই একযোগে বদলি করা হয়েছে। আরএমপিতে একযোগে এতজনের বদলি অতীতে আর কখনই হয়নি।

আরএমপির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, থানায় এসআই-এএসআইরা দীর্ঘদিন ধরেই কর্মরত ছিলেন। ঘুরেফিরে তাঁরা একই থানায় ছিলেন। এর ফলে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, অনৈতিক সুবিধা আদায়, গ্রেপ্তার কিংবা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ বাণিজ্যে পড়েছিলেন অনেকেই। অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা হয় আরএমপি কমিশনারের কাছে। কারও কারও বিরুদ্ধে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার মতো গুরুতর অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছিল। পরিবারের সদস্যরাই এমন অভিযোগ করেছেন। বারবার সতর্ক করেও কোনো লাভ হচ্ছিল না।

আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, ‘দেড় বছর সময় দিয়েছি। তাঁরা বিতর্ক থেকে সরে আসতে পারেননি। তাই একযোগে সবাইকেই বদলি করা হয়েছে। কেউ নতুন থানায় গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন শুনলে তাঁকে আবার বদলি করা হবে।’