খান রফিক, বরিশাল
তারিখ ঘোষণা করা না হলেও বরিশাল সিটি নির্বাচন (বিসিসি) নিয়ে নগরে এখন আলোচনা তুঙ্গে। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ইতিমধ্যে আবার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তাঁর চাচা, দলের কেন্দ্রীয় একজন নেতাসহ কয়েকজনের নাম শোনা যাওয়ায় তাঁর মনোনয়নের বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নন।
বিএনপি এখনো এ বিষয়ে মুখ না খুললেও চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চমক দেখাতে চায়। এদিকে আটঘাট বেঁধে আগেভাগেই মাঠে নেমে পড়েছেন জাতীয় পার্টি ও বাসদের মেয়র পদপ্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। এর একটি বরিশাল সিটি করপোরেশন। আগামী মাসেই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম বলেন, বিসিসিতে হালনাগাদ ভোটার ২ লাখ ৭৫ হাজার ১৭৭ জন।
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। ইতিমধ্যে তিনি আবার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে দলীয় মনোনয়ন পেতে এবার তিনি পরিবারের ভেতরে ও পরিবারের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নে চমকও থাকবে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। মেয়র সাদিক ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ও মেয়রের চাচা খোকন সেরনিয়াবাত, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতার নামও ছড়িয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি অবশ্যই মেয়র পদে মনোনয়ন চাইব। নেত্রী মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব। এখানকার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেলে সেবায় শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি। কারণ, বরিশাল নগরবাসী অবহেলিত, সেবা থেকে বঞ্চিত। দেশে এত উন্নয়ন, কিন্তু বরিশাল নগরের উন্নয়ন দেখছি না।’
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, তিনি শেষবারের মতো নেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইবেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত যা-ই থাকুক, এত বছর নগরবাসীর সেবায় কাজ করায় জনগণ তাঁকে ভোট দেবেন। গত সাড়ে চার বছরে বরিশাল সিটি অনেক পিছিয়ে আছে। তাঁর বাড়ির সামনে রিকশা চলতে পারে না।
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করে সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে পাওয়া যায়নি। নগর আওয়ামী লীগ তাঁর পক্ষে। তাঁর বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। সরকারি বরাদ্দ না পেলেও তিনি নিজস্ব অর্থায়নে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।’ নগরীর জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে বলেন, খাল খনন হলেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
প্রার্থী হিসেবে মেয়রের চাচাসহ কয়েকজনের নাম আলোচনায় থাকা প্রসঙ্গে গাজী নঈমুল বলেন, অসুবিধা কী? যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন।
মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস অনেক আগে থেকেই মাঠে তৎপর। তাঁকে প্রার্থী মনোনীত করে গত মাসে দলের চেয়ারম্যান চিঠিও দিয়েছেন বলে জানা গেছে। জাপার যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল বলেন, মেয়র সাদিক জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকারের কাছ থেকে অর্থ আনতে না পারায় নগরে কোনো উন্নয়ন হয়নি। তিনি নগরবাসীর ঘাড়ে করের বোঝা, পানির বিলের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন।
মেয়র পদে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী সৈয়দ এসহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের। সম্প্রতি নগরে এই দলের তিনটি সম্মেলনে ক্ষমতাসীন দলের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি নগর সম্মেলনে দলটির আমির সিটি নির্বাচনে ভোটবিপ্লব করার ঘোষণা দেন। দলের মহানগর মিডিয়া মুখপাত্র মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন টিটু বলেন, এবার সিটি নির্বাচনে তাঁরা প্রার্থিতায় চমক আনবেন। পীর পরিবারের কোনো সদস্য যিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এমন একজন সিটি নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থী হতে পারেন। নগরে তাঁদের রিজার্ভ ভোট আছে প্রায় ৩০ হাজার। এ ছাড়া মেয়রবিরোধী এবং বিএনপির ভোট টানার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
এবারও বাসদের মেয়র প্রার্থী হবেন মনীষা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘জনগণের অধিকার বাস্তবায়নে আমি মাঠে আছি।’
তারিখ ঘোষণা করা না হলেও বরিশাল সিটি নির্বাচন (বিসিসি) নিয়ে নগরে এখন আলোচনা তুঙ্গে। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ইতিমধ্যে আবার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তাঁর চাচা, দলের কেন্দ্রীয় একজন নেতাসহ কয়েকজনের নাম শোনা যাওয়ায় তাঁর মনোনয়নের বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নন।
বিএনপি এখনো এ বিষয়ে মুখ না খুললেও চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চমক দেখাতে চায়। এদিকে আটঘাট বেঁধে আগেভাগেই মাঠে নেমে পড়েছেন জাতীয় পার্টি ও বাসদের মেয়র পদপ্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। এর একটি বরিশাল সিটি করপোরেশন। আগামী মাসেই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম বলেন, বিসিসিতে হালনাগাদ ভোটার ২ লাখ ৭৫ হাজার ১৭৭ জন।
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। ইতিমধ্যে তিনি আবার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে দলীয় মনোনয়ন পেতে এবার তিনি পরিবারের ভেতরে ও পরিবারের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নে চমকও থাকবে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। মেয়র সাদিক ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ও মেয়রের চাচা খোকন সেরনিয়াবাত, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতার নামও ছড়িয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি অবশ্যই মেয়র পদে মনোনয়ন চাইব। নেত্রী মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব। এখানকার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেলে সেবায় শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি। কারণ, বরিশাল নগরবাসী অবহেলিত, সেবা থেকে বঞ্চিত। দেশে এত উন্নয়ন, কিন্তু বরিশাল নগরের উন্নয়ন দেখছি না।’
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, তিনি শেষবারের মতো নেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইবেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত যা-ই থাকুক, এত বছর নগরবাসীর সেবায় কাজ করায় জনগণ তাঁকে ভোট দেবেন। গত সাড়ে চার বছরে বরিশাল সিটি অনেক পিছিয়ে আছে। তাঁর বাড়ির সামনে রিকশা চলতে পারে না।
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করে সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে পাওয়া যায়নি। নগর আওয়ামী লীগ তাঁর পক্ষে। তাঁর বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। সরকারি বরাদ্দ না পেলেও তিনি নিজস্ব অর্থায়নে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।’ নগরীর জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে বলেন, খাল খনন হলেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
প্রার্থী হিসেবে মেয়রের চাচাসহ কয়েকজনের নাম আলোচনায় থাকা প্রসঙ্গে গাজী নঈমুল বলেন, অসুবিধা কী? যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন।
মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস অনেক আগে থেকেই মাঠে তৎপর। তাঁকে প্রার্থী মনোনীত করে গত মাসে দলের চেয়ারম্যান চিঠিও দিয়েছেন বলে জানা গেছে। জাপার যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল বলেন, মেয়র সাদিক জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকারের কাছ থেকে অর্থ আনতে না পারায় নগরে কোনো উন্নয়ন হয়নি। তিনি নগরবাসীর ঘাড়ে করের বোঝা, পানির বিলের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন।
মেয়র পদে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী সৈয়দ এসহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের। সম্প্রতি নগরে এই দলের তিনটি সম্মেলনে ক্ষমতাসীন দলের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি নগর সম্মেলনে দলটির আমির সিটি নির্বাচনে ভোটবিপ্লব করার ঘোষণা দেন। দলের মহানগর মিডিয়া মুখপাত্র মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন টিটু বলেন, এবার সিটি নির্বাচনে তাঁরা প্রার্থিতায় চমক আনবেন। পীর পরিবারের কোনো সদস্য যিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এমন একজন সিটি নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থী হতে পারেন। নগরে তাঁদের রিজার্ভ ভোট আছে প্রায় ৩০ হাজার। এ ছাড়া মেয়রবিরোধী এবং বিএনপির ভোট টানার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
এবারও বাসদের মেয়র প্রার্থী হবেন মনীষা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘জনগণের অধিকার বাস্তবায়নে আমি মাঠে আছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে