রংপুর, বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি
রংপুরের বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় জেঁকে বসেছে শীত। এতে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখি কাবু হয়ে পড়ছে। বেশি ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় ফুটপাতে শীতবস্ত্র কিনতে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ ভিড় করছেন। দাম বেশি হওয়ায় দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গতকাল রোববার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরে এখনো শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে দুই-তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের আমরুলবাড়ি গ্রামঘেঁষে বয়ে গেছে চিকলী নদী। ওই নদীর পাড়ে বাড়ি জয়নাল হকের।তিনি বলেন, ‘নদীর ওপরোত বাড়ি হওয়ায় খুব ঠান্ডা নাগে। ছইলগুলোক নিয়া খুব কষ্টোত রাইত কাটছি। মেম্বার-চেয়ারম্যান কম্বল দেয় না। ছইলগুলো দুইটার পুরোনা সুইটার কিনবার গেচনু। দাম অনেক। ঘুরি আলচু।’
হাটখোলাপাড়া গ্রামের গৃহবধূ জোসনা বেগম বলেন, ‘মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিও ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে। তাঁদের দেখলে মায়া লাগছে।’
তারাগঞ্জ উপজেলার বালাপাড়া গ্রামের খয়রন বেগম বলেন, ‘বাবা, মুই ঠান্ডাত মরচো, কায়ও একটা কম্বল দেওচে না।’ একই উপজেলার যমুনেশ্বরী নদীর ধারঘেঁষা নারায়ণজন গ্রামের আলেমা বেগম বলেন, ‘টাটি বেড়ার ঘরোত হুরহুর করি বাতাস ঢুকছে। আইরোত নিন (ঘুম) হয় না।’
তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ভ্যামপুর গ্রামের দিনমজুর তারাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিন দিন ধরি খুব ঠান্ডা পড়ছে। পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোয় চাহিদা বাড়ায় দোকানিরা এক সপ্তাহ ব্যবধানে দামও ডবল করিয়েছে।’
গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের ভাই ভাই মোড় গ্রামের রশিদা বেগম বলেন, ‘বাবা, ঠান্ডাত জীবন বাঁচে না। হামরাগুলা যদি ঠান্ডাত থাকি মরিও যাই তবুও কোনো মেম্বার-চেয়ারম্যান হামাক কম্বল দেয় না।’ আলমবিদিতর ইউনিয়নের ফরিদা বেগম বলেন, ‘খালি শুনোং যে সরকার গরিব মানুষের জন্য অনেক কিছু দেয়। খালি হামারগুলার শোনায় হয়। হামারগুলার আর সে জিনিস চোখ দিয়া দেখা হয় না।’
তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গরিব মানুষ ঠান্ডাত কষ্টে আছেন। তাঁরা বাড়িতে আসছেন কম্বল নিতে। কিন্তু এখনো যে বরাদ্দ পাইনি-এটা বুঝতে চান না তাঁরা।’ তারা মনে করছেন, ‘আমরা কম্বল বরাদ্দ পেয়ে মেরে দিয়েছি।’
তিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার, তারগঞ্জ উপজেলায় ৩৫ হাজার, গঙ্গাচড়ায় ৭০ হাজার অতিদরিদ্র মানুষ বাস করছেন। এর বিপরীতে এক সপ্তাহ আগে বদরগঞ্জে ৪ হাজার ৯০০টি কম্বল, গঙ্গাচড়ায় ৪ হাজার ৪১০টি এবং তারাগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার ৪০০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত শুধু বদরগঞ্জে তিন হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়।
বদরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, ‘ঠান্ডায় গরিব মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। এই উপজেলায় ৪ হাজার ৯০০টি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে তিন হাজার কম্বল ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বাকিটা দ্রুত বিতরণ করা হবে।’
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মনিমুল হক বলেন, ‘৪ হাজার ৪১০টি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। দ্রুত তালিকা করে গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।’ একই কথা বলেন তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনও।
রংপুরের বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় জেঁকে বসেছে শীত। এতে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখি কাবু হয়ে পড়ছে। বেশি ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় ফুটপাতে শীতবস্ত্র কিনতে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ ভিড় করছেন। দাম বেশি হওয়ায় দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গতকাল রোববার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরে এখনো শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে দুই-তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের আমরুলবাড়ি গ্রামঘেঁষে বয়ে গেছে চিকলী নদী। ওই নদীর পাড়ে বাড়ি জয়নাল হকের।তিনি বলেন, ‘নদীর ওপরোত বাড়ি হওয়ায় খুব ঠান্ডা নাগে। ছইলগুলোক নিয়া খুব কষ্টোত রাইত কাটছি। মেম্বার-চেয়ারম্যান কম্বল দেয় না। ছইলগুলো দুইটার পুরোনা সুইটার কিনবার গেচনু। দাম অনেক। ঘুরি আলচু।’
হাটখোলাপাড়া গ্রামের গৃহবধূ জোসনা বেগম বলেন, ‘মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিও ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে। তাঁদের দেখলে মায়া লাগছে।’
তারাগঞ্জ উপজেলার বালাপাড়া গ্রামের খয়রন বেগম বলেন, ‘বাবা, মুই ঠান্ডাত মরচো, কায়ও একটা কম্বল দেওচে না।’ একই উপজেলার যমুনেশ্বরী নদীর ধারঘেঁষা নারায়ণজন গ্রামের আলেমা বেগম বলেন, ‘টাটি বেড়ার ঘরোত হুরহুর করি বাতাস ঢুকছে। আইরোত নিন (ঘুম) হয় না।’
তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ভ্যামপুর গ্রামের দিনমজুর তারাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিন দিন ধরি খুব ঠান্ডা পড়ছে। পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোয় চাহিদা বাড়ায় দোকানিরা এক সপ্তাহ ব্যবধানে দামও ডবল করিয়েছে।’
গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের ভাই ভাই মোড় গ্রামের রশিদা বেগম বলেন, ‘বাবা, ঠান্ডাত জীবন বাঁচে না। হামরাগুলা যদি ঠান্ডাত থাকি মরিও যাই তবুও কোনো মেম্বার-চেয়ারম্যান হামাক কম্বল দেয় না।’ আলমবিদিতর ইউনিয়নের ফরিদা বেগম বলেন, ‘খালি শুনোং যে সরকার গরিব মানুষের জন্য অনেক কিছু দেয়। খালি হামারগুলার শোনায় হয়। হামারগুলার আর সে জিনিস চোখ দিয়া দেখা হয় না।’
তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গরিব মানুষ ঠান্ডাত কষ্টে আছেন। তাঁরা বাড়িতে আসছেন কম্বল নিতে। কিন্তু এখনো যে বরাদ্দ পাইনি-এটা বুঝতে চান না তাঁরা।’ তারা মনে করছেন, ‘আমরা কম্বল বরাদ্দ পেয়ে মেরে দিয়েছি।’
তিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার, তারগঞ্জ উপজেলায় ৩৫ হাজার, গঙ্গাচড়ায় ৭০ হাজার অতিদরিদ্র মানুষ বাস করছেন। এর বিপরীতে এক সপ্তাহ আগে বদরগঞ্জে ৪ হাজার ৯০০টি কম্বল, গঙ্গাচড়ায় ৪ হাজার ৪১০টি এবং তারাগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার ৪০০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত শুধু বদরগঞ্জে তিন হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়।
বদরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, ‘ঠান্ডায় গরিব মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। এই উপজেলায় ৪ হাজার ৯০০টি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে তিন হাজার কম্বল ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বাকিটা দ্রুত বিতরণ করা হবে।’
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মনিমুল হক বলেন, ‘৪ হাজার ৪১০টি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। দ্রুত তালিকা করে গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।’ একই কথা বলেন তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনও।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে