রাবিতে বন্ধ রাতের খাবার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ৫৬

কর্মচারী সংকটে এক বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার রাতের খাবার বন্ধ রয়েছে। এদিকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ খাবারের দোকানগুলোও উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাস থেকে হলে ফিরতে একটু দেরি হলেই ডাইনিংয়ে খাবার পাওয়া যায় না।

ফলে তাঁদের ক্যাম্পাসের বাইরের হোটেলগুলোতে চড়া দামে খাবার খেতে হয়।

ক্যাফেটেরিয়া প্রশাসক বলছে, নতুন কর্মচারী নিয়োগ হলেই রাতের খাবার চালু করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় প্রতিদিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী খেতে আসেন। এখানে একজন ম্যানেজার ও পাঁচজন রাঁধুনিসহ মোট ১৮ জন কর্মচারী রয়েছেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

২০২০ সালের মার্চে করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের পাশাপাশি বিকেলেও চা-নাশতার ব্যবস্থা ছিল এখানে। রাত ১০ পর্যন্ত ক্যাফেটেরিয়া চালু থাকত। রাতের মেন্যু হিসেবে বিভিন্ন প্রকার ভর্তা, ভাজিসহ ২০ টাকার একটি খাবার প্যাকেজ পরিবেশন করা হতো; কিন্তু গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাফেটেরিয়া পুনরায় চালুর পর রাতের প্যাকেজটি বন্ধ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ খাবারের দোকানগুলোও উচ্ছেদ করে প্রশাসন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, খাবার শুরু হওয়ার স্বল্প সময়ের মধ্যে দুপুরের ২৮ টাকা মূল্যের সাধারণ মিল শেষ হয়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে স্পেশাল খাবার খেতে হয়। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী অরুণ কুমার বলেন, ‘আগে যখন ক্যাফেটেরিয়ায় রাতের খাবার চালু ছিল, তখন নির্দ্বিধায় ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতে পারতাম। কারণ তখন খাবার নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল না; কিন্তু এখন বন্ধুদের সঙ্গে অল্প কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পরই মনে হয় হলে তো খাবার পাব না।’

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মী সুমন ইসলাম বলেন, ‘আগে আমাদের রিহার্সাল শেষ করতে যখন রাত হয়ে যেত, তখন সবাই মিলে ক্যাফেটেরিয়ায় একসঙ্গে খেতাম; কিন্তু করোনার পর রাতের খাবারটি বন্ধ হওয়ায় আমরা আর দীর্ঘ সময় গান-বাজনা করতে পারি না। সন্ধ্যার পরপরই সবাই বলতে শুরু করে ভাই, হলে যেতে হবে। নইলে খাবার পাব না। এতে ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যাহত হচ্ছে।’

ক্যাফেটেরিয়ার প্রশাসক এ কে এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইদানীং দেখতে পাচ্ছি, ক্যাফেটেরিয়ায় আগের তুলনায় অনেক বেশি শিক্ষার্থী খেতে আসছেন; কিন্তু সে অনুপাতে আমাদের কর্মচারী নেই। মূলত এই সংকটের কারণে আমরা রাতের খাবার বন্ধ রেখেছি।’

আরিফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার কারণে চাইলেও লোকবল বাড়াতে পারছি না। আমরা লোকবল নিয়োগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। নতুন কর্মচারী নিয়োগ দিলে আমরা ফের রাতের খাবার চালু করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত