কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলমগীর হোসেন ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতালেব হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়।

এ নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের দায় এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় গোপগ্রাম বাজার-সংলগ্ন স্লুইসগেটের সামনে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব হোসেন তাঁর সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। এ সময় নৌকার প্রার্থী আলমগীর হোসেনের ছেলে রাজু ও সজীবসহ অন্তত ২৫ জন মোতালেবের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও দুই সমর্থকসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়। গুরুতর আহতদের খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তবে নৌকার প্রার্থী আলমগীর হোসেনের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব হোসেনের সমর্থকেরা তার নিজ কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। এ সময় অফিস ভাঙচুর করে। পরে অফিসের পাশেই একজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রার্থী আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা পুলিশের সামনে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায় কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও আমলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি নৌকার পক্ষের লোক হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনেরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব হোসেন বলেন, ‘আমি বা আমার কোনো সমর্থক এই ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নয়। আলম চেয়ারম্যান নিজেই তাঁর লোকজনদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন। আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন তিনি। ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সহিংসতা সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করছে।’

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, দুপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।