নির্বাচনী সহিংসতা: কালকিনি এখন থমথমে, সার্বক্ষণিক পুলিশ

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮: ২৪
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২: ০২

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুরে সহিংসতার ঘটনায় এখনো আতঙ্ক কাটেনি। গত ২১ ডিসেম্বর হাতবোমা বিস্ফোরণের পর একাধিক মামলা ও হামলায় এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফলে হাটবাজারে ও রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম। এদিকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ আসনের (কালকিনি-ডাসার-সদর একাংশ) বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) মোছা. তাহমিনা বেগমের পক্ষে গত ২১ ডিসেম্বর বিকেলে কালকিনির লক্ষ্মীপুরে একটি মিছিল বের হয়। এ সময় মিছিলে বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায় নৌকার পক্ষের লোকজন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ব্যাপারীসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কালকিনি থানায় মামলা করা হয়।

এর জেরে ২৩ ডিসেম্বর সকালে লক্ষ্মীপুরের ভাটোবালী গ্রামের কৃষক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক এসকেন্দার খাঁকে (৭০) বাড়ির সামনের রাস্তায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকেরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন ওই দিন দুপুরে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর নিহতের ছেলে কিরণ খাঁ বাদী হয়ে ৩১ জনের নামে কালকিনি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পরদিন ২৫ ডিসেম্বর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বিল্লাল খানকে (৩০) গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে মাদারীপুরের গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।

একাধিক গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিছিলে বোমা হামলা, হত্যা, মামলা, হামলা, মারামারিসহ একাধিক কারণে এলাকায় এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে ওই এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। অনেকে ভয়ে দোকানও খুলছে না। নাম না প্রকাশে স্থানীয় এক চা দোকানদার বলেন, ‘২০ দিন ধরে এখানকার দোকানে মানুষজনের উপস্থিতি কম। অনেকে দোকানও খোলে না।’

এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। হাটবাজারে স্বাভাবিকভাবে মানুষ আসা-যাওয়া করবে, এতে বাধা নেই। একাধিক টিম কাজ করছে, আসামি ধরার ব্যাপারে।’

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সর্বদাই পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মামলার আসামিদের ধরতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’

উল্লেখ্য, মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকা প্রতীকে পরাজিত হন ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে বিজয়ী হন মোছা. তাহমিনা বেগম। তিনি কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত