টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে টাঙ্গাইলে গতকাল সোমবার সকাল থেকে বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাসহ যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
জানা গেছে, গতকাল টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে জেলার ১২টি উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিরাপদে আসা-যাওয়ার জন্য ৮৫০টি বাস ভাড়া করা হয়।
বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির অধীনে ৭০০টি বাস সম্মেলনের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়। বাকি ১৫০টি বাস ময়মনসিংহ ও জামালপুর মালিক সমিতির মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হয়। ফলে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে পরিবহন-সংকট সৃষ্টি হয়। বিকেলের দিকে নেতা-কর্মীদের গাড়ি টাঙ্গাইল শহরের এলজিইডি মোড়ে রাখা হয়। দুপুর গড়ানোর পর এই গাড়ির সারি রাবনা বাইপাস পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এরপর ঢাকা-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে যানজট দেখা দেয়। অপরদিকে টাঙ্গাইল শহরের সব শ্রমিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ায় রিকশা, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছে।
নেত্রকোনা থেকে আসা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মধুপুর আসার পর বেলা ১১টার সময় আমাদের নামিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে আমার পরিবারের লোকজন ও মালামাল নিয়ে মাহিন্দ্রায় করে টাঙ্গাইল পর্যন্ত এসেছি। আমাকে যেতে হবে নাগরপুর। বের হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
গৃহবধূ সাবিহা আক্তার বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি এলেই আমাদের ভোগান্তি বাড়ে। আমরা যাব কোথায়?’
শ্রমিক ফেডারেশনের বালা মিয়া বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। তাঁরা যোগদানও করেছেন। ফলে কিছু সময়ের জন্য মানুষের ভোগান্তি হয়েছে।’
ভূঞাপুরের আতিফ রাসেল বলেন, ‘ভূঞাপুর থেকে সিএনজিযোগে টাঙ্গাইল শহরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম; কিন্তু শহরের আগেই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে নামতে বাধ্য হই। কিছুক্ষণ হেঁটে এসেছি। পরে রিকশা পেলেও চার জায়গায় বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।’
টাঙ্গাইল শহরের বাসিন্দা শফিকুর রহমান বলেন, এ যেন অঘোষিত কারফিউ। বাস নাই। অটো চলে না। রিকশা যেতে দেয় না। হেঁটে হেঁটে চলতে হচ্ছে।
ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন জানান, ‘বেলা একটায় ধনবাড়ী থেকে রওনা হয়েছি। দেড় ঘণ্টায় টাঙ্গাইল পৌঁছানোর কথা। পথে যানজটের কারণে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত পৌঁছতে সাড়ে চারটা বেজে গেছে। পরে তিন কিলোমিটার হেঁটে সম্মেলনে পৌঁছতে পেরেছি মাগরিবের আগে।’
যানজট বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টাঙ্গাইলের সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। অলিতে-গলিতে ছিল জনস্রোত। বিকেল গড়ালেও সম্মেলনমুখী হাজারো মানুষ পৌঁছাতে পারেনি। আওয়ামী লীগের প্রতি, শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের অগাধ ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে।
জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে টাঙ্গাইলে গতকাল সোমবার সকাল থেকে বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাসহ যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
জানা গেছে, গতকাল টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে জেলার ১২টি উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিরাপদে আসা-যাওয়ার জন্য ৮৫০টি বাস ভাড়া করা হয়।
বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির অধীনে ৭০০টি বাস সম্মেলনের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়। বাকি ১৫০টি বাস ময়মনসিংহ ও জামালপুর মালিক সমিতির মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হয়। ফলে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে পরিবহন-সংকট সৃষ্টি হয়। বিকেলের দিকে নেতা-কর্মীদের গাড়ি টাঙ্গাইল শহরের এলজিইডি মোড়ে রাখা হয়। দুপুর গড়ানোর পর এই গাড়ির সারি রাবনা বাইপাস পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এরপর ঢাকা-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে যানজট দেখা দেয়। অপরদিকে টাঙ্গাইল শহরের সব শ্রমিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ায় রিকশা, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছে।
নেত্রকোনা থেকে আসা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মধুপুর আসার পর বেলা ১১টার সময় আমাদের নামিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে আমার পরিবারের লোকজন ও মালামাল নিয়ে মাহিন্দ্রায় করে টাঙ্গাইল পর্যন্ত এসেছি। আমাকে যেতে হবে নাগরপুর। বের হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
গৃহবধূ সাবিহা আক্তার বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি এলেই আমাদের ভোগান্তি বাড়ে। আমরা যাব কোথায়?’
শ্রমিক ফেডারেশনের বালা মিয়া বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। তাঁরা যোগদানও করেছেন। ফলে কিছু সময়ের জন্য মানুষের ভোগান্তি হয়েছে।’
ভূঞাপুরের আতিফ রাসেল বলেন, ‘ভূঞাপুর থেকে সিএনজিযোগে টাঙ্গাইল শহরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম; কিন্তু শহরের আগেই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে নামতে বাধ্য হই। কিছুক্ষণ হেঁটে এসেছি। পরে রিকশা পেলেও চার জায়গায় বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।’
টাঙ্গাইল শহরের বাসিন্দা শফিকুর রহমান বলেন, এ যেন অঘোষিত কারফিউ। বাস নাই। অটো চলে না। রিকশা যেতে দেয় না। হেঁটে হেঁটে চলতে হচ্ছে।
ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন জানান, ‘বেলা একটায় ধনবাড়ী থেকে রওনা হয়েছি। দেড় ঘণ্টায় টাঙ্গাইল পৌঁছানোর কথা। পথে যানজটের কারণে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত পৌঁছতে সাড়ে চারটা বেজে গেছে। পরে তিন কিলোমিটার হেঁটে সম্মেলনে পৌঁছতে পেরেছি মাগরিবের আগে।’
যানজট বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টাঙ্গাইলের সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। অলিতে-গলিতে ছিল জনস্রোত। বিকেল গড়ালেও সম্মেলনমুখী হাজারো মানুষ পৌঁছাতে পারেনি। আওয়ামী লীগের প্রতি, শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের অগাধ ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪