রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
উত্তমকুমার ও সুপ্রিয়া চৌধুরী অভিনীত ‘সন্ন্যাসী রাজা’ সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে। তার প্রায় ৪৩ বছর পর ২০১৮ সালে যিশু সেনগুপ্ত ও জয়া আহসান অভিনীত আরেকটি সিনেমা মুক্তি পায় ‘এক যে ছিল রাজা’ নামে। দুটি সিনেমাই তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের একটি রাজবাড়ির বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সম্পদ, ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির মতোই ছিল সে রাজবাড়ির ঘটনাবহুল ইতিহাস। ঐতিহাসিক সে গল্পেই তৈরি হয়েছিল সিনেমা। তাতে অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার।
অবিভক্ত ভারতবর্ষের বাংলা প্রদেশের ভাওয়াল রাজ্যের রাজাদের প্রাসাদই হলো ভাওয়াল রাজবাড়ি। গাজীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক এ বাড়িটি। প্রাসাদটি বর্তমানে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রায় ৫৭৯ বর্গমাইল বা ১ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভাওয়াল এস্টেটের প্রজা ছিল প্রায় ৫ লাখ। ভাওয়ালের জমিদার বংশের রাজকুমার রমেন্দ্র নারায়ণ রায় এবং আরও দুই ভাই মিলে এই জমিদারির দেখাশোনা করতেন।
সতেরো শতকের শেষ দিকে দৌলত গাজী ভাওয়ালের গাজী এস্টেটের জমিদার ছিলেন। বলরাম রায় ছিলেন দৌলত গাজীর দেওয়ান। রাজস্ব আদায়নীতি পরিবর্তনের ফলে ১৭০৪ সালে বলরামের পুত্র শ্রীকৃষ্ণ মুর্শিদ কুলি খানের মাধ্যমে ভাওয়ালের জমিদারি পান।
ভাওয়াল এস্টেটে পর্যায়ক্রমে বলরাম রায়, কৃষ্ণদেব রায়চৌধুরী, রামচন্দ্র রায়চৌধুরী, নৃপতিসিংহ রায়চৌধুরী, দেবনারায়ণ রায়চৌধুরী, নারায়ণচন্দ্র রায় চৌধুরী, অমরেন্দ্র কুমার চৌধুরী, যশোবন্ত কুমার চৌধুরী, সত্যেন্দ্র কুমার চৌধুরী, রাজা রাজেন্দ্র কুমার চৌধুরী, রাজা বাহাদুর রণেন্দ্র কুমার চৌধুরী, রাজা দেবেন্দ্র কুমার চৌধুরী, রাজা মহেন্দ্র কুমার চৌধুরী, রাজা রামেন্দ্র নারায়ণ রায় জমিদারি পরিচালনা করেন। আয়তনের দিক থেকে তৎকালীন ঢাকার নওয়াব এস্টেটের পরেই ছিল এই জমিদারবাড়ির অবস্থান। এই রাজবাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভাওয়াল রাজা সন্ন্যাসী রমেন্দ্র নারায়ণ রায়চৌধুরীর মৃত্যু এবং ১২ বছর পরে ফিরে আসার কাহিনি।
রমেন্দ্র নারায়ণ ছিলেন ভাওয়াল রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণের দ্বিতীয় সন্তান। ১৯০১ সালে রাজেন্দ্র নারায়ণ, পরে তাঁর দুই ভাই এবং ১৯০৭ সালে মা রানি বিলাসমনীর মৃত্যুর পর রাজা হন রমেন্দ্র নারায়ণ। একই বছর বিভাবতীকে বিয়ে করেন তিনি।
১৯০৯ সালে অসুস্থ হয়ে দার্জিলিংয়ে মারা যান রাজা রমেন্দ্র। তাঁকে শ্মশানে নেওয়ার পর হঠাৎ ঝড় উঠলে রানি বিভাবতীসহ সবাই মৃতদেহ সৎকার না করে চলে যান। এ ঘটনার ১২ বছর পর রাজা রমেন্দ্র আবার ফিরে আসেন রাজবাড়িতে।
বর্তমানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত প্রাসাদটিতে রয়েছে বিশাল বারান্দা, নাটমন্দির, পদ্মমন্দির ও তাল কাঠের সিঁড়ি। ভাওয়াল রাজার পুকুর।
রাজবাড়ির বেশির ভাগ কক্ষ এখনো ব্যবহার হচ্ছে। কোনো কাঠের দরজা-জানালায় ঘুণ ধরেনি। সিঁড়িগুলো এখনো চকচকে।
গাজীপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ভাওয়াল রাজবাড়ি আমাদের গাজীপুর জেলার জন্য একটি ঐতিহাসিক বাড়ি। এ রাজবাড়ি রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। এই রাজবাড়ির মতো এত বড় রাজবাড়ি দেশের আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।’
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজবাড়ি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক জায়গা। এটির রক্ষণাবেক্ষণ করা সবার দায়িত্ব।’
উত্তমকুমার ও সুপ্রিয়া চৌধুরী অভিনীত ‘সন্ন্যাসী রাজা’ সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে। তার প্রায় ৪৩ বছর পর ২০১৮ সালে যিশু সেনগুপ্ত ও জয়া আহসান অভিনীত আরেকটি সিনেমা মুক্তি পায় ‘এক যে ছিল রাজা’ নামে। দুটি সিনেমাই তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের একটি রাজবাড়ির বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সম্পদ, ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির মতোই ছিল সে রাজবাড়ির ঘটনাবহুল ইতিহাস। ঐতিহাসিক সে গল্পেই তৈরি হয়েছিল সিনেমা। তাতে অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার।
অবিভক্ত ভারতবর্ষের বাংলা প্রদেশের ভাওয়াল রাজ্যের রাজাদের প্রাসাদই হলো ভাওয়াল রাজবাড়ি। গাজীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক এ বাড়িটি। প্রাসাদটি বর্তমানে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রায় ৫৭৯ বর্গমাইল বা ১ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভাওয়াল এস্টেটের প্রজা ছিল প্রায় ৫ লাখ। ভাওয়ালের জমিদার বংশের রাজকুমার রমেন্দ্র নারায়ণ রায় এবং আরও দুই ভাই মিলে এই জমিদারির দেখাশোনা করতেন।
সতেরো শতকের শেষ দিকে দৌলত গাজী ভাওয়ালের গাজী এস্টেটের জমিদার ছিলেন। বলরাম রায় ছিলেন দৌলত গাজীর দেওয়ান। রাজস্ব আদায়নীতি পরিবর্তনের ফলে ১৭০৪ সালে বলরামের পুত্র শ্রীকৃষ্ণ মুর্শিদ কুলি খানের মাধ্যমে ভাওয়ালের জমিদারি পান।
ভাওয়াল এস্টেটে পর্যায়ক্রমে বলরাম রায়, কৃষ্ণদেব রায়চৌধুরী, রামচন্দ্র রায়চৌধুরী, নৃপতিসিংহ রায়চৌধুরী, দেবনারায়ণ রায়চৌধুরী, নারায়ণচন্দ্র রায় চৌধুরী, অমরেন্দ্র কুমার চৌধুরী, যশোবন্ত কুমার চৌধুরী, সত্যেন্দ্র কুমার চৌধুরী, রাজা রাজেন্দ্র কুমার চৌধুরী, রাজা বাহাদুর রণেন্দ্র কুমার চৌধুরী, রাজা দেবেন্দ্র কুমার চৌধুরী, রাজা মহেন্দ্র কুমার চৌধুরী, রাজা রামেন্দ্র নারায়ণ রায় জমিদারি পরিচালনা করেন। আয়তনের দিক থেকে তৎকালীন ঢাকার নওয়াব এস্টেটের পরেই ছিল এই জমিদারবাড়ির অবস্থান। এই রাজবাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভাওয়াল রাজা সন্ন্যাসী রমেন্দ্র নারায়ণ রায়চৌধুরীর মৃত্যু এবং ১২ বছর পরে ফিরে আসার কাহিনি।
রমেন্দ্র নারায়ণ ছিলেন ভাওয়াল রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণের দ্বিতীয় সন্তান। ১৯০১ সালে রাজেন্দ্র নারায়ণ, পরে তাঁর দুই ভাই এবং ১৯০৭ সালে মা রানি বিলাসমনীর মৃত্যুর পর রাজা হন রমেন্দ্র নারায়ণ। একই বছর বিভাবতীকে বিয়ে করেন তিনি।
১৯০৯ সালে অসুস্থ হয়ে দার্জিলিংয়ে মারা যান রাজা রমেন্দ্র। তাঁকে শ্মশানে নেওয়ার পর হঠাৎ ঝড় উঠলে রানি বিভাবতীসহ সবাই মৃতদেহ সৎকার না করে চলে যান। এ ঘটনার ১২ বছর পর রাজা রমেন্দ্র আবার ফিরে আসেন রাজবাড়িতে।
বর্তমানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত প্রাসাদটিতে রয়েছে বিশাল বারান্দা, নাটমন্দির, পদ্মমন্দির ও তাল কাঠের সিঁড়ি। ভাওয়াল রাজার পুকুর।
রাজবাড়ির বেশির ভাগ কক্ষ এখনো ব্যবহার হচ্ছে। কোনো কাঠের দরজা-জানালায় ঘুণ ধরেনি। সিঁড়িগুলো এখনো চকচকে।
গাজীপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ভাওয়াল রাজবাড়ি আমাদের গাজীপুর জেলার জন্য একটি ঐতিহাসিক বাড়ি। এ রাজবাড়ি রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। এই রাজবাড়ির মতো এত বড় রাজবাড়ি দেশের আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।’
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজবাড়ি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক জায়গা। এটির রক্ষণাবেক্ষণ করা সবার দায়িত্ব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে