নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সের এক পাশে বসে গতকাল বুধবার খেলা দেখছিলেন কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিবুর রহমান পালোয়ান। এমন সময় রাজশাহী বিভাগের এক খেলোয়াড়ের ‘বয়স বেশি’ দাবি করে তাবিবুরের কাছে অভিযোগ নিয়ে এলেন খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম মর্তুজা রশিদী দারা।
প্রতিবাদ আর পাল্টা অভিযোগ জানাতে এলেন রাজশাহীর কুস্তি দলের ম্যানেজার ও কোচও। দুই দলের তর্কাতর্কি, এরপর প্রায় হাতাহাতিতে সাধারণ সম্পাদকের সামনে ঘটে গেল হুলুস্থুল কাণ্ড! শেখ কামাল যুব গেমসে অংশ নেওয়া ৪৮ কেজি শ্রেণিতে খেলা রাজশাহীর কুস্তিগির রবিউল আওয়াল রাব্বির বয়স বেশি, এমন অভিযোগ নিয়ে যুদ্ধংদেহী অবস্থানে চলে গিয়েছিল খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ। ‘আমাকে তুই চিনিস’ বলে রাজশাহীর কুস্তি দলের ম্যানেজার সামাউলের দিকে তেড়ে যান মর্তুজা রশিদী দারা। এ ঘটনার পরই সামনে এসেছে গেমসে অংশ নেওয়া বিভাগীয় দলগুলোর একের পর এক অনিয়ম। এক দল আরেক দলের দিকে তুলেছে খেলোয়াড়দের বয়স চুরির অভিযোগ।
যাকে ঘিরে উত্তেজনার শুরু, সেই রবিউলের সঙ্গে কথা হয়েছে আজকের পত্রিকার। নিজের বয়স বেশি সেটা স্বীকার করে পাল্টা অন্য দলগুলোর দিকে বয়স চুরির অভিযোগ জানালেন রবিউল। তিনি বললেন, ‘আমি যখন খেলায় ঢুকি তখনই কমিশনারের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধনে বয়স কমিয়ে নিয়েছি। এটা সব খেলোয়াড়ই করে। এখানে যারা খেলছে এদের অধিকাংশই আমাদের চেয়ে বয়স বেশি। বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সবাইকেই বাদ দিতে হবে, আর দুর্নীতি হলে সবাইকেই খেলতে দিতে হবে।’ তাঁর পাশেই ছিলেন রাজশাহী নারী দলের কোচ ফারহানা ফায়া। আনসার দলের অনেক সতীর্থকে তিনি অনূর্ধ্ব-১৭ যুব গেমসে খেলতে দেখেছেন দাবি করেছেন। ফায়া বললেন, ‘আমার সঙ্গে যারা আন্তবাহিনী প্রতিযোগিতায় খেলেছে তারা এখানে কীভাবে খেলছে? ময়মনসিংহ, খুলনার মতো দলগুলোয় আমরা এদের খেলতে দেখেছি।’ তবে তাদের দলে বেশি বয়সের খেলোয়াড় আছে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফারহানা।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেশনের কী অবস্থান, সেটি জানতে চাওয়া হয়েছিল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিবুর রহমানের কাছে। জবাবে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। অভিযুক্ত খেলোয়াড়কে গত পরশু ওজনের সময় বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপরও কম বয়সী অন্য খেলোয়াড়ের জন্মনিবন্ধন দিয়ে বিভাগীয় দলগুলো বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের খেলানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এক খেলোয়াড়কে একাধিক ডিসিপ্লিনে খেলিয়ে খেলোয়াড়দের দৈনিক ৬০০ টাকা ভাতা বিভাগীয় কর্মকর্তারা লোপাট করছেন বলে অভিযোগ তাঁর। তাবিবুরের পাল্টা প্রশ্ন, যুবাদের গেমসে ‘বুড়ো’দের একাধিক ডিসিপ্লিনে খেলালে কীভাবে প্রতিভাবানরা উঠে আসবে? বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাবিবুর বললেন, ‘উপজেলা-জেলা পর্যায়ে আমাদের খেলোয়াড় বাছাই করতে দেওয়াই হয়নি। এখন তাই হুলুস্থুল, মারামারি। প্রথম দিন আমি ১৫-২০ খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েছি। তারা ভুয়া কাগজ তৈরি করে খেলছে।’ এখানেই শেষ নয়। কুস্তিতে খাবারে ৬০০ টাকা বরাদ্দ করা হলেও নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ খেলোয়াড়দের।
শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সের এক পাশে বসে গতকাল বুধবার খেলা দেখছিলেন কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিবুর রহমান পালোয়ান। এমন সময় রাজশাহী বিভাগের এক খেলোয়াড়ের ‘বয়স বেশি’ দাবি করে তাবিবুরের কাছে অভিযোগ নিয়ে এলেন খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম মর্তুজা রশিদী দারা।
প্রতিবাদ আর পাল্টা অভিযোগ জানাতে এলেন রাজশাহীর কুস্তি দলের ম্যানেজার ও কোচও। দুই দলের তর্কাতর্কি, এরপর প্রায় হাতাহাতিতে সাধারণ সম্পাদকের সামনে ঘটে গেল হুলুস্থুল কাণ্ড! শেখ কামাল যুব গেমসে অংশ নেওয়া ৪৮ কেজি শ্রেণিতে খেলা রাজশাহীর কুস্তিগির রবিউল আওয়াল রাব্বির বয়স বেশি, এমন অভিযোগ নিয়ে যুদ্ধংদেহী অবস্থানে চলে গিয়েছিল খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ। ‘আমাকে তুই চিনিস’ বলে রাজশাহীর কুস্তি দলের ম্যানেজার সামাউলের দিকে তেড়ে যান মর্তুজা রশিদী দারা। এ ঘটনার পরই সামনে এসেছে গেমসে অংশ নেওয়া বিভাগীয় দলগুলোর একের পর এক অনিয়ম। এক দল আরেক দলের দিকে তুলেছে খেলোয়াড়দের বয়স চুরির অভিযোগ।
যাকে ঘিরে উত্তেজনার শুরু, সেই রবিউলের সঙ্গে কথা হয়েছে আজকের পত্রিকার। নিজের বয়স বেশি সেটা স্বীকার করে পাল্টা অন্য দলগুলোর দিকে বয়স চুরির অভিযোগ জানালেন রবিউল। তিনি বললেন, ‘আমি যখন খেলায় ঢুকি তখনই কমিশনারের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধনে বয়স কমিয়ে নিয়েছি। এটা সব খেলোয়াড়ই করে। এখানে যারা খেলছে এদের অধিকাংশই আমাদের চেয়ে বয়স বেশি। বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সবাইকেই বাদ দিতে হবে, আর দুর্নীতি হলে সবাইকেই খেলতে দিতে হবে।’ তাঁর পাশেই ছিলেন রাজশাহী নারী দলের কোচ ফারহানা ফায়া। আনসার দলের অনেক সতীর্থকে তিনি অনূর্ধ্ব-১৭ যুব গেমসে খেলতে দেখেছেন দাবি করেছেন। ফায়া বললেন, ‘আমার সঙ্গে যারা আন্তবাহিনী প্রতিযোগিতায় খেলেছে তারা এখানে কীভাবে খেলছে? ময়মনসিংহ, খুলনার মতো দলগুলোয় আমরা এদের খেলতে দেখেছি।’ তবে তাদের দলে বেশি বয়সের খেলোয়াড় আছে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফারহানা।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেশনের কী অবস্থান, সেটি জানতে চাওয়া হয়েছিল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিবুর রহমানের কাছে। জবাবে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। অভিযুক্ত খেলোয়াড়কে গত পরশু ওজনের সময় বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপরও কম বয়সী অন্য খেলোয়াড়ের জন্মনিবন্ধন দিয়ে বিভাগীয় দলগুলো বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের খেলানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এক খেলোয়াড়কে একাধিক ডিসিপ্লিনে খেলিয়ে খেলোয়াড়দের দৈনিক ৬০০ টাকা ভাতা বিভাগীয় কর্মকর্তারা লোপাট করছেন বলে অভিযোগ তাঁর। তাবিবুরের পাল্টা প্রশ্ন, যুবাদের গেমসে ‘বুড়ো’দের একাধিক ডিসিপ্লিনে খেলালে কীভাবে প্রতিভাবানরা উঠে আসবে? বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাবিবুর বললেন, ‘উপজেলা-জেলা পর্যায়ে আমাদের খেলোয়াড় বাছাই করতে দেওয়াই হয়নি। এখন তাই হুলুস্থুল, মারামারি। প্রথম দিন আমি ১৫-২০ খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েছি। তারা ভুয়া কাগজ তৈরি করে খেলছে।’ এখানেই শেষ নয়। কুস্তিতে খাবারে ৬০০ টাকা বরাদ্দ করা হলেও নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ খেলোয়াড়দের।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে