সৌগত বসু, খুলনা থেকে ফিরে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা জেলায় ছয়টি আসন। সবগুলো আসনে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের ১২ দিন বাকি থাকলেও এই জেলায় দলটির কোনো প্রচার-প্রচারণা নেই। দলীয় সূত্র আভাস দিয়েছে, জাতীয় পার্টির ছয় প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারেন।
এদিকে খুলনার ছয় আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী হিসাবও কিছুটা জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খুলনা-৪, ৫ ও ৬ আসনে নৌকা প্রতীক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে। এই তিন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকার প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগেরই নেতারা। অবশ্য খুলনা-১, ২ ও ৩ আসনে অনেকটাই নির্ভার রয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা।
সরে যেতে পারে জাতীয় পার্টি
জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও খুলনায় মাঠে নেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী কিংবা নেতা-কর্মীরা। গত রোববার খুলনা সদর, ডুমুরিয়া ও রূপসা উপজেলা ঘুরে দলটির কোনো প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়েনি। দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির ছয় প্রার্থী। তৃণমূলের বেশির ভাগ নেতা-কর্মীও এ ব্যাপারে একমত।
দলীয় সূত্র বলেছে, স্থানীয় পর্যায়ে ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে দলটির ছয় প্রার্থী ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা খুলনা জেলার নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলা হয়েছিল, খুলনা-৬ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। তবে তেমন কিছু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, তাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। যেভাবে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছিল, তেমন হচ্ছে না। খুলনায় জাতীয় পার্টির একটা আসন দেওয়ার কথা ছিল। সেটিও হয়নি। কেন্দ্র থেকে কোনো অর্থনৈতিক সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রচারণায় তেমন জোর নেই।
তিন আসনে নির্ভার আ.লীগ
খুলনা বিভাগের অন্য সব জেলা শহর থেকে খুলনা শহরের চিত্র একটু ভিন্ন। সারা দিন শুধু ইঞ্জিনচালিত রিকশার শব্দ আর মানুষের কর্মব্যস্ততা। সারা দেশে যে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, তা এখানে কেবল কিছু পোস্টারেই ধরা পড়ে। সে কারণেই হয়তো রিকশাচালক মো. জাহাঙ্গীর বললেন, ‘শহরে ভোট নিয়ে কাউকে কথা বলতে শুনি নাই। পোস্টার যা আছে, সব একজনের।’
গত রোববার খুলনা শহর ঘুরে নৌকা প্রতীকের পোস্টারের বাইরে বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী দেবদাস সরকারের ৯টি ব্যানার চোখে পড়ে। খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ছয়জন।
এর মধ্যে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মো. সাঈদুর রহমান। তিনি শেখ সালাহউদ্দিনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস)। শহরে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর তেমন কোনো রাজনৈতিক পরিচিতি নেই।
গত শনিবার সকালে ডজনখানেক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুলনা-২ আসনে নৌকার কোনো বিকল্প কখনো কেউ চিন্তাও করে না। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো প্রশ্ন নেই। এই আসনের মতো খুলনার-২ ও ৩ আসনেও নেই নৌকার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
তিন আসনে নৌকা বনাম আ.লীগ
খুলনা শহরের ঠিক পাশেই রূপসায় অবশ্য ভিন্ন চিত্র। খুলনা-৪ আসন রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা নিয়ে। এখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ সালাম মুর্শেদী। তাঁর বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে আছেন মোর্ত্তজা রশিদী দারা। তিনি খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও এই আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য মোস্তফা রশিদী সুজার ছোট ভাই।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, ব্যবসায়ী হওয়ায় এলাকার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর। ফলে তৃণমূলের অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
এই আসনের মতো খুলনা-৬ (কয়রা ও পাইকগাছা) আসনেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নৌকা শিবিরে। এখানে প্রথমবার নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. রশীদুজ্জামান। এতে বেঁকে বসেছেন তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী। এ আসনে আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএম মাহবুবুল আলম। তিনি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ।
খুলনা-৫ আসন ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে। এখানে নৌকা প্রতীকে ভোট করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা জেলায় ছয়টি আসন। সবগুলো আসনে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের ১২ দিন বাকি থাকলেও এই জেলায় দলটির কোনো প্রচার-প্রচারণা নেই। দলীয় সূত্র আভাস দিয়েছে, জাতীয় পার্টির ছয় প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারেন।
এদিকে খুলনার ছয় আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী হিসাবও কিছুটা জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খুলনা-৪, ৫ ও ৬ আসনে নৌকা প্রতীক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে। এই তিন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকার প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগেরই নেতারা। অবশ্য খুলনা-১, ২ ও ৩ আসনে অনেকটাই নির্ভার রয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা।
সরে যেতে পারে জাতীয় পার্টি
জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও খুলনায় মাঠে নেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী কিংবা নেতা-কর্মীরা। গত রোববার খুলনা সদর, ডুমুরিয়া ও রূপসা উপজেলা ঘুরে দলটির কোনো প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়েনি। দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির ছয় প্রার্থী। তৃণমূলের বেশির ভাগ নেতা-কর্মীও এ ব্যাপারে একমত।
দলীয় সূত্র বলেছে, স্থানীয় পর্যায়ে ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে দলটির ছয় প্রার্থী ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা খুলনা জেলার নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলা হয়েছিল, খুলনা-৬ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। তবে তেমন কিছু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, তাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। যেভাবে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছিল, তেমন হচ্ছে না। খুলনায় জাতীয় পার্টির একটা আসন দেওয়ার কথা ছিল। সেটিও হয়নি। কেন্দ্র থেকে কোনো অর্থনৈতিক সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রচারণায় তেমন জোর নেই।
তিন আসনে নির্ভার আ.লীগ
খুলনা বিভাগের অন্য সব জেলা শহর থেকে খুলনা শহরের চিত্র একটু ভিন্ন। সারা দিন শুধু ইঞ্জিনচালিত রিকশার শব্দ আর মানুষের কর্মব্যস্ততা। সারা দেশে যে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, তা এখানে কেবল কিছু পোস্টারেই ধরা পড়ে। সে কারণেই হয়তো রিকশাচালক মো. জাহাঙ্গীর বললেন, ‘শহরে ভোট নিয়ে কাউকে কথা বলতে শুনি নাই। পোস্টার যা আছে, সব একজনের।’
গত রোববার খুলনা শহর ঘুরে নৌকা প্রতীকের পোস্টারের বাইরে বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী দেবদাস সরকারের ৯টি ব্যানার চোখে পড়ে। খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ছয়জন।
এর মধ্যে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মো. সাঈদুর রহমান। তিনি শেখ সালাহউদ্দিনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস)। শহরে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর তেমন কোনো রাজনৈতিক পরিচিতি নেই।
গত শনিবার সকালে ডজনখানেক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুলনা-২ আসনে নৌকার কোনো বিকল্প কখনো কেউ চিন্তাও করে না। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো প্রশ্ন নেই। এই আসনের মতো খুলনার-২ ও ৩ আসনেও নেই নৌকার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
তিন আসনে নৌকা বনাম আ.লীগ
খুলনা শহরের ঠিক পাশেই রূপসায় অবশ্য ভিন্ন চিত্র। খুলনা-৪ আসন রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা নিয়ে। এখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ সালাম মুর্শেদী। তাঁর বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে আছেন মোর্ত্তজা রশিদী দারা। তিনি খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও এই আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য মোস্তফা রশিদী সুজার ছোট ভাই।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, ব্যবসায়ী হওয়ায় এলাকার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর। ফলে তৃণমূলের অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
এই আসনের মতো খুলনা-৬ (কয়রা ও পাইকগাছা) আসনেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নৌকা শিবিরে। এখানে প্রথমবার নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. রশীদুজ্জামান। এতে বেঁকে বসেছেন তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী। এ আসনে আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএম মাহবুবুল আলম। তিনি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ।
খুলনা-৫ আসন ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে। এখানে নৌকা প্রতীকে ভোট করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪