তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
পাপ করলে কুষ্ঠ রোগ হয়—এমন কুসংস্কার একসময় প্রবল ছিল দেশে। যে কারণে এই রোগে আক্রান্তদের পদে পদে শিকার হতে হতো বঞ্চনার। তবে আশার কথা, চট্টগ্রামে ধারাবাহিকভাবে কমছে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
একটি পরিসংখ্যানে চোখ দিলেই স্পষ্ট হবে এই তথ্য। ২০১০-২০১৫ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে চট্টগ্রামে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৪৩ জন। পরের ছয় বছরে (২০১৬-২১) এখানে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৬ জনে। যা প্রায় অর্ধেক। আজ ৩০ জানুয়ারি তাই স্বস্তি নিয়েই চট্টগ্রামে পালিত হবে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস।
মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন রোগ হিসেবে পরিচিত কুষ্ঠ নিয়ে কাজ করছে এমন প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এর পেছনের কারণটা জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত তিন কারণে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা কমছে। প্রথমত, মানুষের মধ্যে বর্তমানে কুষ্ঠ রোগ নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, এ রোগের চিকিৎসায় জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীরাও এখন অনেক দক্ষ। তৃতীয়ত, সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) এ রোগ নির্মূলে নিরন্তর শ্রম দেওয়ায় কমছে রোগীর সংখ্যা।
অবশ্য এই কমতির হারের মধ্যেও কিছু আশঙ্কা থেকে যায়। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা হলো, শিশুদের সংক্রমণের হার শূন্যের কোটায় না আসা। বিকলাঙ্গ রোগীর সংখ্যা না কমাও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে আছে। তবে এর পেছনে রোগীরাও কম দায়ী নন। রোগ নিয়ে অহেতুক কুণ্ঠার কারণে কুষ্ঠ অনেক আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হওয়ার বাইরে থেকে যান। কেউ কেউ আজও ঝাড়ফুঁকসহ নানা সনাতন চিকিৎসার ওপর নির্ভর করেন। কুসংস্কারবশত এসব পদ্ধতির শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলেন রোগীরা। আবার পারিবারিক-সামাজিক বাধা ও অবজ্ঞার শিকার হন বলে অনেকে রোগের কথা প্রকাশও করতে চান না।
কমছে রোগীর সংখ্যা: কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে দেশে সরকারের পাশাপাশি ৮টি এনজিও কাজ করে আসছে। এর মধ্যে বেসরকারি সংস্থা দ্য লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বৃহত্তর চট্টগ্রামে ১৯৯৪ সাল থেকে কাজ করছে। এই সংস্থাটি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৭৪৩ জন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ৯৮৩ জন রোগী খুঁজে বের করে। এই রোগের কারণে ওই সময়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৮ শতাংশের বেশি রোগী বিকলাঙ্গ হয়ে যান।
গত ছয় বছরের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেছে, এই সময়ে ধারাবাহিকভাবে রোগীর সংখ্যা কমছে। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে এই রোগে আক্রান্ত ৯৫ জনকে পাওয়া যায়। ২০১৭ সালে রোগী ছিল ৮১ জন। ২০১৮ সালে রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে যায়। ওই বছর নগরীতে ৮৩ এবং উপজেলায় ১০ জন রোগী পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে পাওয়া যায় ৬৬ জন রোগী। তবে ২০২০ সালে রোগীর হার একেবারেই কমে আসে। ওই বছরে মাত্র ৩৩ জন রোগী পাওয়া গেছে এই অঞ্চলে। গত বছর সেই সংখ্যা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। তবে আশঙ্কার কথা হলো এই সময়ে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২১ শতাংশের বেশি বিকলাঙ্গ হয়ে গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ছিল ১০ জন ছিল শিশু।
লক্ষ্য শূন্যতে আনা: মানুষের মধ্যে ব্যাপক হারে সচেতনতা বাড়ায় রোগীর সংখ্যা কমছে বলে মনে করেন দা লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প পরিচালক সুলতান মো. ইলিয়াছ উদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা, বিকলাঙ্গ ও বৈষম্য শূন্যতে নিয়ে আসায় আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আমরা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করব, রোগের লক্ষণ দেখা গেলে না লুকিয়ে দ্রুত যেন রোগের কথা জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে যেন সব খুলে বলেন।’
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় কুষ্ঠ রোগ ধরা পড়লে তা নির্মূল করা সম্ভব। দেরি হয়ে গেলে বিকলাঙ্গ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
পাপ করলে কুষ্ঠ রোগ হয়—এমন কুসংস্কার একসময় প্রবল ছিল দেশে। যে কারণে এই রোগে আক্রান্তদের পদে পদে শিকার হতে হতো বঞ্চনার। তবে আশার কথা, চট্টগ্রামে ধারাবাহিকভাবে কমছে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
একটি পরিসংখ্যানে চোখ দিলেই স্পষ্ট হবে এই তথ্য। ২০১০-২০১৫ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে চট্টগ্রামে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৪৩ জন। পরের ছয় বছরে (২০১৬-২১) এখানে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৬ জনে। যা প্রায় অর্ধেক। আজ ৩০ জানুয়ারি তাই স্বস্তি নিয়েই চট্টগ্রামে পালিত হবে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস।
মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন রোগ হিসেবে পরিচিত কুষ্ঠ নিয়ে কাজ করছে এমন প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এর পেছনের কারণটা জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত তিন কারণে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা কমছে। প্রথমত, মানুষের মধ্যে বর্তমানে কুষ্ঠ রোগ নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, এ রোগের চিকিৎসায় জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীরাও এখন অনেক দক্ষ। তৃতীয়ত, সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) এ রোগ নির্মূলে নিরন্তর শ্রম দেওয়ায় কমছে রোগীর সংখ্যা।
অবশ্য এই কমতির হারের মধ্যেও কিছু আশঙ্কা থেকে যায়। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা হলো, শিশুদের সংক্রমণের হার শূন্যের কোটায় না আসা। বিকলাঙ্গ রোগীর সংখ্যা না কমাও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে আছে। তবে এর পেছনে রোগীরাও কম দায়ী নন। রোগ নিয়ে অহেতুক কুণ্ঠার কারণে কুষ্ঠ অনেক আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হওয়ার বাইরে থেকে যান। কেউ কেউ আজও ঝাড়ফুঁকসহ নানা সনাতন চিকিৎসার ওপর নির্ভর করেন। কুসংস্কারবশত এসব পদ্ধতির শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলেন রোগীরা। আবার পারিবারিক-সামাজিক বাধা ও অবজ্ঞার শিকার হন বলে অনেকে রোগের কথা প্রকাশও করতে চান না।
কমছে রোগীর সংখ্যা: কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে দেশে সরকারের পাশাপাশি ৮টি এনজিও কাজ করে আসছে। এর মধ্যে বেসরকারি সংস্থা দ্য লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বৃহত্তর চট্টগ্রামে ১৯৯৪ সাল থেকে কাজ করছে। এই সংস্থাটি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৭৪৩ জন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ৯৮৩ জন রোগী খুঁজে বের করে। এই রোগের কারণে ওই সময়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৮ শতাংশের বেশি রোগী বিকলাঙ্গ হয়ে যান।
গত ছয় বছরের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেছে, এই সময়ে ধারাবাহিকভাবে রোগীর সংখ্যা কমছে। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে এই রোগে আক্রান্ত ৯৫ জনকে পাওয়া যায়। ২০১৭ সালে রোগী ছিল ৮১ জন। ২০১৮ সালে রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে যায়। ওই বছর নগরীতে ৮৩ এবং উপজেলায় ১০ জন রোগী পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে পাওয়া যায় ৬৬ জন রোগী। তবে ২০২০ সালে রোগীর হার একেবারেই কমে আসে। ওই বছরে মাত্র ৩৩ জন রোগী পাওয়া গেছে এই অঞ্চলে। গত বছর সেই সংখ্যা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। তবে আশঙ্কার কথা হলো এই সময়ে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২১ শতাংশের বেশি বিকলাঙ্গ হয়ে গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ছিল ১০ জন ছিল শিশু।
লক্ষ্য শূন্যতে আনা: মানুষের মধ্যে ব্যাপক হারে সচেতনতা বাড়ায় রোগীর সংখ্যা কমছে বলে মনে করেন দা লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প পরিচালক সুলতান মো. ইলিয়াছ উদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা, বিকলাঙ্গ ও বৈষম্য শূন্যতে নিয়ে আসায় আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আমরা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করব, রোগের লক্ষণ দেখা গেলে না লুকিয়ে দ্রুত যেন রোগের কথা জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে যেন সব খুলে বলেন।’
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় কুষ্ঠ রোগ ধরা পড়লে তা নির্মূল করা সম্ভব। দেরি হয়ে গেলে বিকলাঙ্গ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪