দাউদকান্দি উপজেলায় চলতি মৌসুমে বাঙ্গির ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায়ও বাঙ্গি সরবরাহ করছেন চাষিরা।

সম্প্রতি দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, মাঠজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সবুজ ও হলুদ রঙের বাঙ্গি। কৃষকেরা মাঠে বাঙ্গিখেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা মাঠ থেকে পাকা বাঙ্গি সংগ্রহ করে হাটে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের ভেলানগর এলাকার কৃষক নাসির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে এ বছর বাঙ্গি চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত এক লাখ ২০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছেন। জমিতে আরও অন্তত ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি আছে।

একই এলাকার রফিক ৩০ শতক, জসিম ৩০ শতক ও খলিল মোল্লা ৪৫ শতক জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। তাঁদের সবার জমিতেই এ বছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে।

কৃষি ও পরিবেশ সংগঠক মতিন সৈকত আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রতি বছরই দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলার কৃষকেরা বৈচিত্র্যময় কৃষি পণ্য উৎপাদন করেন। গত কয়েক বছর ধরে এই দুই উপজেলায় বাঙ্গি চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। দাউদকান্দি ও মেঘনার বাঙ্গি আকারে বড় ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা ভালো বলে জানান তিনি।

এদিকে, দাউদকান্দিতে বাঙ্গির ভালো ফলন হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার অনুন্নতের কারণে অন্যান্য জেলায় পাঠানো সম্ভব হয় না বলে অভিযোগ করেন দাউদকান্দি উত্তর ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মনির হোসেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় দেড় শ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির আবাদ হয়েছে। মেঘনা, দাউদকান্দি, চান্দিনা, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর উপজেলায় তুলনামূলক বেশি চাষ হয়েছে।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এবার কুমিল্লায় বাঙ্গির ভালো ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি কৃষকেরা ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করেছেন। কৃষকদের সার, বীজ ও পরামর্শ দিতে মাঠে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।’