Ajker Patrika

অর্থনীতির দিকে নজর দিন

সম্পাদকীয়
অর্থনীতির দিকে নজর দিন

রাজনীতিতে নতুন সময় আসার পরেও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে পরিস্থিতি খুব দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এতে ক্ষতি হবে আমাদের দেশের সাধারণ জনগণের। এমনিতেই স্থবির হয়ে আছে অর্থনীতি; বিশেষ করে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। ডলারের সংকটে আছে দেশের বেসরকারি খাত। ধারাবাহিকভাবে কমছে রপ্তানি এবং বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স। আর মানুষের আয় ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। অর্থনীতির এমন দুরবস্থার মধ্যে চলমান রাজনৈতিক সংঘাতে সারা দেশে সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে যেতে পারে। বেড়ে যাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম।

এ দিকে সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হওয়ায় বাজারেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও অস্বাভাবিক বেড়েছে। এমনিতেই সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দাপট তো আছেই। সবশেষে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আন্দোলন ও কারফিউ পরিস্থিতি। বাজারে সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। একদিকে আয় নেই, অন্যদিকে সব ধরনের জিনিসের বাড়তি মূল্যের কারণে অসহায় হয়ে পড়েছে অন্তত কয়েক কোটি মানুষ।

নিম্ন আয়ের মানুষেরা বড় ধরনের সংকটের সম্মুখীন হবে। সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষেরা বিপদে পড়েছেন। রিকশাওয়ালা, পাড়া-মহল্লা ও রাস্তার চা এবং ফুটপাতের ছোট দোকানদারদের আয়-রোজগার কমে গেছে। কারণ, তাঁরা প্রতিদিনের আয় দিয়ে জীবন নির্বাহ করেন। নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণার কারণে অফিস-আদালত মাঝে মাঝেই বন্ধ থেকেছে। মানুষ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। ফলে রিকশাওয়ালা ও সিএনজিচালিত অটোচালকদের আয় কমে গেছে। যাঁরা ফুটপাতে দোকান বসিয়ে জিনিসপত্র বিক্রি করেন, তাঁদেরও কোনো আয় নেই বললেই চলে। ফলে অনেককে কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে পরিবহন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছিলেন পরিবহন সেক্টরের শ্রমিকেরা। আমাদের দেশে দূরপাল্লার পরিবহন সেক্টরের ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজার মাসিক বেতন পান। কিন্তু লোকাল পরিবহন সেক্টরের ড্রাইভার, হেলপার ও কন্ডাক্টররা মাসিক বেতন পান না। তাঁরা দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের আয় মূলত গাড়ি চলার ওপর নির্ভর করে। গাড়ি না চললে তাঁদের আয়ও হয় না।

সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে ফ্রিল্যান্সারদের আয়ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল।

বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারের লেনদেনে বড় দরপতনের ঘটনা ঘটেছে। বিদায়ী সপ্তাহে ২১টি খাতের মধ্যে কেবল টেলিযোগাযোগ খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। সেটিও মাত্র শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানির মধ্যে দরপতন হয়েছে ৮২ শতাংশের। এতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা সংকটের মধ্যে পড়ে যাবেন। আশা করব, নতুন সরকার এদিকে নজর দেবে।
অচল অবস্থা এভাবে চলতে থাকলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর আরও বড় আকারের যে দুর্ভোগ নেমে আসবে না, তার নিশ্চয়তা কি আছে? এ অবস্থা উত্তরণে সবার ভূমিকা কাম্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত