নাফিসা চৌধুরী
জীবনে বন্ধু থাকাটা ভীষণ জরুরি। মা-বাবা, শিক্ষকের পর জীবনকে অনেক প্রভাবিত করে বন্ধু। এখন কথা হচ্ছে, প্রভাবটা ভালো হচ্ছে নাকি মন্দ? যেমন ধরুন, বাল্যকাল থেকে প্রাপ্ত বয়স, শিক্ষাজীবন পর্যন্ত আমাদের জীবনে বন্ধুদের আবির্ভাব বেশি হয়। অনেকের কাছে শুনেছি, শিক্ষাজীবন শেষে নাকি তাদের আর নতুন করে বন্ধু হয়নি। হয়তো কাজের জায়গায় সহকর্মী হয়, প্রতিবেশী হয়, কিন্তু বন্ধুত্ব সবার সঙ্গে গড়ে উঠতে পারে না।
আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়ে। তার এলাকার কিছু বন্ধুর সঙ্গে চলাফেরা করার কারণে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। ঘটনাটা ছোট্ট করে বলি। এলাকায় একজন বড় ভাইয়ের সঙ্গে কিছু ছেলের মারামারি হয়েছিল। ফলস্বরূপ পুরো বন্ধুমহলের সবার নামে মামলা করা হয়, যার কারণে যারা জড়িত না, তারাও শাস্তি পায়। পুলিশ ধরে নিয়ে পরে ছেড়ে দিয়েছিল আমার বন্ধুটিকে। কিন্তু এলাকায় যা বদনাম হওয়ার তা হয়ে যায়! এরপর থেকে আমার বন্ধুটি নিজেকে অনেক গুটিয়ে নেয়। নতুন বন্ধু বানাতেও ভয় পায়, যার কারণে আজ অবধি তার বন্ধুমহল খুব এবং খুব ক্ষুদ্র রয়ে গেছে। বলা যায়, সে একাই সময় কাটায়।
আবার বন্ধুদের কারণে কেউ কেউ খুব ভালো পর্যায়ে চলে গেছে। এই যেমন—আমার আরেক বন্ধু দীপ্তি। মেয়েটা দারুণ অনুপ্রেরণা দিতে পারে। কারও মধ্যে কোনো কিছু নিয়ে ভয় বা আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখলে দীপ্তি তাকে বোঝাতে শুরু করে। আর অবাক কাণ্ড হলো, দীপ্তি উদ্বুদ্ধ করায় আমাদের দুই বন্ধু দেশের বাইরে পিএইচডি করতে চলে গেছে। এখনো ফোন করলেই দীপ্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কারণ দীপ্তি সে সময় সাহস না জোগালে তারা হয়তো দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারত না।
এই দুটি ভিন্ন গল্প কিন্তু বন্ধুদের নিয়েই। আমাদের শুধু বুঝতে হবে আমরা কোন পথে যাব, কাদের সঙ্গ নেব; কীভাবে নিজেকে সামলে নেব কিংবা বলা যায় কাদের দ্বারা প্রভাবিত হব। ভালোমন্দ নিয়েই তো জীবন। বন্ধুত্ব হলে তাই বুঝতে হবে কার সঙ্গে অনেক দূর যাওয়া যায় আর কাকে সামলে চলতে হয়।
আমরা ছোট বয়সে বন্ধুদের প্ররোচনায় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্যদের দোষারোপ করি। এর একটা সহজ সমাধান হলো, বন্ধুর মতামতের পাশাপাশি মা-বাবা আর শিক্ষকের মতামত নিয়ে যাচাই করে নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কেননা, সব বন্ধুই কিন্তু আসল বন্ধু না। সুস্থ আর সুন্দর মনের বন্ধুদের নিয়ে হোক পথচলা।
প্রকৃত বন্ধু তারাই, যাদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। পিছিয়ে পড়লে বুঝে নিতে হবে, আবার ভাবতে হবে। বন্ধুত্বের কোনো বয়স নেই, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে কোনো ভেদাভেদ নেই। যারা বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়ে প্রাণ খুলে হেসে যেতে পারে, তারা সত্যিই ভাগ্যবান।
মন খারাপের দিন বন্ধুর সঙ্গে এক কাপ চা নিয়েই মন খারাপের অবসান হয়ে যায়। আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যায়, যদি তা বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়। সত্যি, বন্ধু ছাড়া জীবন পানসে!
কিছুদিন আগেই গেল বন্ধু দিবস। বন্ধুত্বের সম্পর্ককে খানিকটা আলাদা করে মূল্যায়ন করার জন্যই প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম রোববার বিশ্ব বন্ধু দিবস পালন করা হয়, তবে প্রকৃত বন্ধু সঙ্গে থাকলে রোজই বন্ধু দিবস।
জীবনে বন্ধু থাকাটা ভীষণ জরুরি। মা-বাবা, শিক্ষকের পর জীবনকে অনেক প্রভাবিত করে বন্ধু। এখন কথা হচ্ছে, প্রভাবটা ভালো হচ্ছে নাকি মন্দ? যেমন ধরুন, বাল্যকাল থেকে প্রাপ্ত বয়স, শিক্ষাজীবন পর্যন্ত আমাদের জীবনে বন্ধুদের আবির্ভাব বেশি হয়। অনেকের কাছে শুনেছি, শিক্ষাজীবন শেষে নাকি তাদের আর নতুন করে বন্ধু হয়নি। হয়তো কাজের জায়গায় সহকর্মী হয়, প্রতিবেশী হয়, কিন্তু বন্ধুত্ব সবার সঙ্গে গড়ে উঠতে পারে না।
আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়ে। তার এলাকার কিছু বন্ধুর সঙ্গে চলাফেরা করার কারণে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। ঘটনাটা ছোট্ট করে বলি। এলাকায় একজন বড় ভাইয়ের সঙ্গে কিছু ছেলের মারামারি হয়েছিল। ফলস্বরূপ পুরো বন্ধুমহলের সবার নামে মামলা করা হয়, যার কারণে যারা জড়িত না, তারাও শাস্তি পায়। পুলিশ ধরে নিয়ে পরে ছেড়ে দিয়েছিল আমার বন্ধুটিকে। কিন্তু এলাকায় যা বদনাম হওয়ার তা হয়ে যায়! এরপর থেকে আমার বন্ধুটি নিজেকে অনেক গুটিয়ে নেয়। নতুন বন্ধু বানাতেও ভয় পায়, যার কারণে আজ অবধি তার বন্ধুমহল খুব এবং খুব ক্ষুদ্র রয়ে গেছে। বলা যায়, সে একাই সময় কাটায়।
আবার বন্ধুদের কারণে কেউ কেউ খুব ভালো পর্যায়ে চলে গেছে। এই যেমন—আমার আরেক বন্ধু দীপ্তি। মেয়েটা দারুণ অনুপ্রেরণা দিতে পারে। কারও মধ্যে কোনো কিছু নিয়ে ভয় বা আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখলে দীপ্তি তাকে বোঝাতে শুরু করে। আর অবাক কাণ্ড হলো, দীপ্তি উদ্বুদ্ধ করায় আমাদের দুই বন্ধু দেশের বাইরে পিএইচডি করতে চলে গেছে। এখনো ফোন করলেই দীপ্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কারণ দীপ্তি সে সময় সাহস না জোগালে তারা হয়তো দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারত না।
এই দুটি ভিন্ন গল্প কিন্তু বন্ধুদের নিয়েই। আমাদের শুধু বুঝতে হবে আমরা কোন পথে যাব, কাদের সঙ্গ নেব; কীভাবে নিজেকে সামলে নেব কিংবা বলা যায় কাদের দ্বারা প্রভাবিত হব। ভালোমন্দ নিয়েই তো জীবন। বন্ধুত্ব হলে তাই বুঝতে হবে কার সঙ্গে অনেক দূর যাওয়া যায় আর কাকে সামলে চলতে হয়।
আমরা ছোট বয়সে বন্ধুদের প্ররোচনায় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্যদের দোষারোপ করি। এর একটা সহজ সমাধান হলো, বন্ধুর মতামতের পাশাপাশি মা-বাবা আর শিক্ষকের মতামত নিয়ে যাচাই করে নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কেননা, সব বন্ধুই কিন্তু আসল বন্ধু না। সুস্থ আর সুন্দর মনের বন্ধুদের নিয়ে হোক পথচলা।
প্রকৃত বন্ধু তারাই, যাদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। পিছিয়ে পড়লে বুঝে নিতে হবে, আবার ভাবতে হবে। বন্ধুত্বের কোনো বয়স নেই, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে কোনো ভেদাভেদ নেই। যারা বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়ে প্রাণ খুলে হেসে যেতে পারে, তারা সত্যিই ভাগ্যবান।
মন খারাপের দিন বন্ধুর সঙ্গে এক কাপ চা নিয়েই মন খারাপের অবসান হয়ে যায়। আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যায়, যদি তা বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়। সত্যি, বন্ধু ছাড়া জীবন পানসে!
কিছুদিন আগেই গেল বন্ধু দিবস। বন্ধুত্বের সম্পর্ককে খানিকটা আলাদা করে মূল্যায়ন করার জন্যই প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম রোববার বিশ্ব বন্ধু দিবস পালন করা হয়, তবে প্রকৃত বন্ধু সঙ্গে থাকলে রোজই বন্ধু দিবস।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে