নাজিম আল শমষের
প্রশ্ন: সেই ২০১৩ সালের নভেম্বরে জিতেছিলেন এশিয়ান ট্যুরের দ্বিতীয় শিরোপা। এরপর এক দশক পার হতে চললেও সেটিই আপনার জেতা বড় শিরোপা। কেন এই সাফল্য-খরা?
সিদ্দিকুর রহমান: ভালো একটা প্রশ্ন করেছেন। আসলে সবারই প্রশ্ন এটা। নিজের সাফাই গাইব না। এই সময়ে সমগ্র পৃথিবীর গলফাররা উন্নতি করেছে কিন্তু আমি বলব, আমার মানের প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা আমাদের বাংলাদেশে নেই। অনুশীলনের মানও সেই মানের না। আমাদের পাশের দেশ ভারতে আন্তর্জাতিক মানের গলফ কোর্স আছে। তারা ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ যারা বিশ্বে গলফে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা সেই মানের প্রস্তুতিই পাচ্ছে। গলফেই তাদের বসবাস। কিন্তু আমার জন্য সেই ব্যবস্থা নেই। কেউ প্রশ্ন করতে পারে, তাহলে ২০১০ ও ২০১৩ সালে কীভাবে এশিয়ান ট্যুর জিতলাম? আমি বলব, তখন আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময় ছিল। এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে দেশে আসারই সময় পেতাম না। যখন আমি ব্রুনাই ওপেন জিতি, তখন আমি মালয়েশিয়ায় একটি গলফ কোর্সে এক মাসের মতো পড়ে ছিলাম। তখন বন্ধুর বাসায় থেকে আমি অনুশীলন করতাম। আসলে আমার সেই মানের অনুশীলন দরকার। এর মধ্যে ২০২১ সাল পর্যন্ত করোনার কারণে দুই বছর কোনো খেলাই খেলতে পারিনি। এখন আমার মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার নিজের কাছেও প্রশ্ন, কেন পারছি না। একেবারেই পারছি না, এমনও না। ইউরোপিয়ান সার্কিটে দ্বিতীয় হয়েছি, তৃতীয় হয়েছি। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছি। হয়তো নিজের কিছুটা ঘাটতি আছে এবং সেটা নিয়েই কাজ করছি।
প্রশ্ন: করোনার কারণে দুই বছর খেলতে পারেননি, ঠিক আছে। কিন্তু ২০১৯ পর্যন্ত তো খেলার মধ্যেই ছিলেন। এ সময়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন, অলিম্পিকে সরাসরি কোয়ালিফাই করেছেন, বিশ্বের সেরা কিছু টুর্নামেন্টেও খেলেছেন। এ সময়ে আপনার যে অভিজ্ঞতা, তা উপমহাদেশের অনেক গলফারেরও ছিল না। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েও কি ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব ছিল না?
সিদ্দিকুর: আমি কয়েকটি টুর্নামেন্টে শুরুতে ভালো খেলেছি, আবার কিছু টুর্নামেন্টে শেষে গিয়ে ভালো করেছি। আমি কখনো খুব ভালো খেলছি আবার কখনো একেবারে বাজে খেলেছি। এখনো তা-ই হচ্ছে। এখন ফাইন টিউনিংটা সময়ের ব্যাপার। এটা কখনো হয়ে যায়। বলতে পারব না আমার কোথায় সমস্যা আছে। স্কিল ট্রেনিংয়ে আমার ঘাটতি আছে, সেটাও বলব না। এখানে আরও গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ আছে। আমাকে মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে।
প্রশ্ন: আপনি কয়েক মাস আগে তাইওয়ান মাস্টার্সে শেষ দিনে দারুণ খেলে তৃতীয় হয়েছেন। কিছুদিন আগেও দিল্লিতে প্রথম দিনে ভালো খেলে পরের দিনগুলোয় পিছিয়ে পড়েন। সব টুর্নামেন্টেই একই ঘটনা—কোথায় যেন সুর কেটে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে ছন্দ। কেন হচ্ছে এমনটা?
সিদ্দিকুর: এখানে মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারস্যাপার আছে। আছে মানসিক চাপ, মানসিক সমস্যাও। আমরা যখন খেলি তখন শেষ রাউন্ডে ৮-১০ জন গলফার একই রকম অবস্থানে থাকে। এত গলফারের লড়াই..., যে কী হবে, একদমই খারাপ করা যাবে না—এমন একটা চাপ আপনাআপনিই চলে আসে। নিজের উপলব্ধি, যদি মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে পারলেই শিরোপা জেতা সম্ভব। নিজের ভেতর যা আছে, তা দিয়ে প্রতিবছর শিরোপা জেতা সম্ভব কিন্তু মানসিকভাবে এখনো শক্তিশালী হতে পারিনি। এই একটা সমস্যা নিয়ে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছি।
প্রশ্ন: মানসিক বিষয়টা যখন এলই তখন দুই বছর আগে ফিরে যাই। আজকের পত্রিকাকেই আপনি বলেছিলেন যে আপনার দুই এশিয়ান ট্যুর জয়কে ‘ফ্লুক’ মনে করেন অনেকেই। কিন্তু সেটা যে ফ্লুক ছিল না, তা প্রমাণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। সেটাও কি একটা বাড়তি চাপ?
সিদ্দিকুর: গলফে ফ্লুক বলে কিছু নেই। এক শটের খেলা হলে সেখানে হয়তো শব্দটা আসতে পারে। কিন্তু গলফ কোর্সে আমরা খেলি ৪ দিন। এই সময়ে ২৮৮টি শট খেলতে হয়। এখানে একটি শট খারাপ খেললে পরের ৪-৫টি হোল অবিশ্বাস্য রকম ভালো খেলতে হয়। তাই এখানে মানসিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনেক বেশি শক্তিশালী হতে হয়। বিশ্বের বড় বড় খেলোয়াড় এই মানসিক বিষয় নিয়ে কাজ করে। বিষয়টি নিয়ে আসলে আমারও অনেক কাজ করার আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কিন্তু এখন নিয়মিত পিজিআই ট্যুর হয়। আছে একাধিক গলফ কোর্সও। সে হিসেবে অনুশীলন ব্যবস্থাপনার উন্নতি হয়নি কেন?
সিদ্দিকুর: দেশে যদি টুর্নামেন্ট আরও দশটাও হয়, তবু উন্নতি হবে না। একেবারেই যে হবে না তা কিন্তু নয়। একটা আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট ধরুন হলো, কিন্তু এমন টুর্নামেন্টে খেলার মতো উন্নতি আমাদের হবে না। আমাদের অবকাঠামো বলে কিছু নেই। মৌলিক উন্নয়ন বলে এখানে কিছু নেই। এই উন্নয়ন না হলে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সংখ্যা হয়তো বাড়বে, হয়তো ৫ জনের জায়গায় ১০ জন কার্ড পাব। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের সেই উন্নতি আপনি পাবেন না। মৌলিক উন্নয়ন না হলে সাফল্য আসবে না।
প্রশ্ন: সেই ২০১৩ সালের নভেম্বরে জিতেছিলেন এশিয়ান ট্যুরের দ্বিতীয় শিরোপা। এরপর এক দশক পার হতে চললেও সেটিই আপনার জেতা বড় শিরোপা। কেন এই সাফল্য-খরা?
সিদ্দিকুর রহমান: ভালো একটা প্রশ্ন করেছেন। আসলে সবারই প্রশ্ন এটা। নিজের সাফাই গাইব না। এই সময়ে সমগ্র পৃথিবীর গলফাররা উন্নতি করেছে কিন্তু আমি বলব, আমার মানের প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা আমাদের বাংলাদেশে নেই। অনুশীলনের মানও সেই মানের না। আমাদের পাশের দেশ ভারতে আন্তর্জাতিক মানের গলফ কোর্স আছে। তারা ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ যারা বিশ্বে গলফে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা সেই মানের প্রস্তুতিই পাচ্ছে। গলফেই তাদের বসবাস। কিন্তু আমার জন্য সেই ব্যবস্থা নেই। কেউ প্রশ্ন করতে পারে, তাহলে ২০১০ ও ২০১৩ সালে কীভাবে এশিয়ান ট্যুর জিতলাম? আমি বলব, তখন আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময় ছিল। এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে দেশে আসারই সময় পেতাম না। যখন আমি ব্রুনাই ওপেন জিতি, তখন আমি মালয়েশিয়ায় একটি গলফ কোর্সে এক মাসের মতো পড়ে ছিলাম। তখন বন্ধুর বাসায় থেকে আমি অনুশীলন করতাম। আসলে আমার সেই মানের অনুশীলন দরকার। এর মধ্যে ২০২১ সাল পর্যন্ত করোনার কারণে দুই বছর কোনো খেলাই খেলতে পারিনি। এখন আমার মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার নিজের কাছেও প্রশ্ন, কেন পারছি না। একেবারেই পারছি না, এমনও না। ইউরোপিয়ান সার্কিটে দ্বিতীয় হয়েছি, তৃতীয় হয়েছি। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছি। হয়তো নিজের কিছুটা ঘাটতি আছে এবং সেটা নিয়েই কাজ করছি।
প্রশ্ন: করোনার কারণে দুই বছর খেলতে পারেননি, ঠিক আছে। কিন্তু ২০১৯ পর্যন্ত তো খেলার মধ্যেই ছিলেন। এ সময়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন, অলিম্পিকে সরাসরি কোয়ালিফাই করেছেন, বিশ্বের সেরা কিছু টুর্নামেন্টেও খেলেছেন। এ সময়ে আপনার যে অভিজ্ঞতা, তা উপমহাদেশের অনেক গলফারেরও ছিল না। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েও কি ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব ছিল না?
সিদ্দিকুর: আমি কয়েকটি টুর্নামেন্টে শুরুতে ভালো খেলেছি, আবার কিছু টুর্নামেন্টে শেষে গিয়ে ভালো করেছি। আমি কখনো খুব ভালো খেলছি আবার কখনো একেবারে বাজে খেলেছি। এখনো তা-ই হচ্ছে। এখন ফাইন টিউনিংটা সময়ের ব্যাপার। এটা কখনো হয়ে যায়। বলতে পারব না আমার কোথায় সমস্যা আছে। স্কিল ট্রেনিংয়ে আমার ঘাটতি আছে, সেটাও বলব না। এখানে আরও গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ আছে। আমাকে মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে।
প্রশ্ন: আপনি কয়েক মাস আগে তাইওয়ান মাস্টার্সে শেষ দিনে দারুণ খেলে তৃতীয় হয়েছেন। কিছুদিন আগেও দিল্লিতে প্রথম দিনে ভালো খেলে পরের দিনগুলোয় পিছিয়ে পড়েন। সব টুর্নামেন্টেই একই ঘটনা—কোথায় যেন সুর কেটে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে ছন্দ। কেন হচ্ছে এমনটা?
সিদ্দিকুর: এখানে মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারস্যাপার আছে। আছে মানসিক চাপ, মানসিক সমস্যাও। আমরা যখন খেলি তখন শেষ রাউন্ডে ৮-১০ জন গলফার একই রকম অবস্থানে থাকে। এত গলফারের লড়াই..., যে কী হবে, একদমই খারাপ করা যাবে না—এমন একটা চাপ আপনাআপনিই চলে আসে। নিজের উপলব্ধি, যদি মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে পারলেই শিরোপা জেতা সম্ভব। নিজের ভেতর যা আছে, তা দিয়ে প্রতিবছর শিরোপা জেতা সম্ভব কিন্তু মানসিকভাবে এখনো শক্তিশালী হতে পারিনি। এই একটা সমস্যা নিয়ে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছি।
প্রশ্ন: মানসিক বিষয়টা যখন এলই তখন দুই বছর আগে ফিরে যাই। আজকের পত্রিকাকেই আপনি বলেছিলেন যে আপনার দুই এশিয়ান ট্যুর জয়কে ‘ফ্লুক’ মনে করেন অনেকেই। কিন্তু সেটা যে ফ্লুক ছিল না, তা প্রমাণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। সেটাও কি একটা বাড়তি চাপ?
সিদ্দিকুর: গলফে ফ্লুক বলে কিছু নেই। এক শটের খেলা হলে সেখানে হয়তো শব্দটা আসতে পারে। কিন্তু গলফ কোর্সে আমরা খেলি ৪ দিন। এই সময়ে ২৮৮টি শট খেলতে হয়। এখানে একটি শট খারাপ খেললে পরের ৪-৫টি হোল অবিশ্বাস্য রকম ভালো খেলতে হয়। তাই এখানে মানসিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনেক বেশি শক্তিশালী হতে হয়। বিশ্বের বড় বড় খেলোয়াড় এই মানসিক বিষয় নিয়ে কাজ করে। বিষয়টি নিয়ে আসলে আমারও অনেক কাজ করার আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কিন্তু এখন নিয়মিত পিজিআই ট্যুর হয়। আছে একাধিক গলফ কোর্সও। সে হিসেবে অনুশীলন ব্যবস্থাপনার উন্নতি হয়নি কেন?
সিদ্দিকুর: দেশে যদি টুর্নামেন্ট আরও দশটাও হয়, তবু উন্নতি হবে না। একেবারেই যে হবে না তা কিন্তু নয়। একটা আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট ধরুন হলো, কিন্তু এমন টুর্নামেন্টে খেলার মতো উন্নতি আমাদের হবে না। আমাদের অবকাঠামো বলে কিছু নেই। মৌলিক উন্নয়ন বলে এখানে কিছু নেই। এই উন্নয়ন না হলে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সংখ্যা হয়তো বাড়বে, হয়তো ৫ জনের জায়গায় ১০ জন কার্ড পাব। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের সেই উন্নতি আপনি পাবেন না। মৌলিক উন্নয়ন না হলে সাফল্য আসবে না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে