ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গুরুত্বপূর্ণ আটটি বড় প্রকল্প। মে মাসের বন্যার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে মিলেছে মাত্র দেড় কোটি। ফলে দ্বিতীয় দফা বন্যা মোকাবিলা ও ত্রাণ তৎপরতায় হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। সহযোগিতা চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করছেন মেয়র ও কর্মকর্তারা।
সিসিকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে সিলেটে অভূতপূর্ব পরিবর্তন সাধিত হবে। বাড়বে নাগরিক সুবিধাও।
সিসিক সূত্র জানায়, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মারা যাওয়ার কিছুদিন আগেও এসব প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। একইভাবে তাঁর ছোট ভাই সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনও প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, খোদ প্রধানমন্ত্রীও এসব প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এরপরও প্রকল্পগুলো অনুমোদন না হওয়ায় বিস্মিত সিলেটের সচেতন নাগরিকেরা। সুশাসনের জন্য নাগরিক সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সবকিছু আমলাতান্ত্রিক হওয়ায় এমনটা হচ্ছে। সরকারে যাঁরা আছেন তাঁরা তো আমলা নির্ভর। জোর গলায় কিছু বলে আদায় করার লোক নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরও কীভাবে এগুলো আটকে থাকে আমরা বুঝি না।’
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স নির্মাণ, সিটি করপোরেশনের সম্প্রসারিত এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণ, জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে দুটি খেলার মাঠ নির্মাণসহ ভূমিকম্প শেল্টার গ্রাউন্ড নির্মাণ, হজরত শাহজালাল (র.) মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা ও হজরত শাহপরাণ (র.) মাজার উন্নয়ন ও সংস্কার, জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে পানি শোধনাগার নির্মাণ, জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে এসফল্ট প্ল্যান্ট, রেডি মিক্স প্ল্যান্ট, ওয়ার্কশপ ও সেন্ট্রাল গ্যারেজ নির্মাণ, সিটি করপোরেশনের অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় আধুনিক স্মার্ট কন্ট্রোল এলইডি সড়কবাতি সরবরাহ ও স্থাপন। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা।
সিসিকের প্রকৌশল শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে দুই বছর পর সিলেটে আসেন। সংশ্লিষ্টরা তাঁকে প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে অবগত করলে তিনি অভিভূত হন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ মুহিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রকল্পগুলো অনুমোদনের জন্য চিঠি লিখেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ‘বাস্তবতার ভিত্তিতে আমরা এই প্রকল্পগুলো প্রস্তাব করেছি। সরকার বিবেচনা করলে শহরের ন্যূনতম নাগরিক চাহিদা মিটবে। সরকারেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তারপরও যেহেতু আরবানাইজেশন হচ্ছে, গ্রাম থেকে শহরে লোকজন আসছে। তাদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা মেটাতে হলে এই জিনিসগুলো প্রয়োজন।’
অর্থ সংকটের বিষয় স্বীকার করে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘নগরবাসীর জন্য আমি ছোটাছুটি করছি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরিফ বলেন, ‘সম্প্রতি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সিলেটে এসেছিলেন। ওনার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত প্রকল্পগুলো অনুমোদনের ব্যবস্থা করবেন।’
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গুরুত্বপূর্ণ আটটি বড় প্রকল্প। মে মাসের বন্যার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে মিলেছে মাত্র দেড় কোটি। ফলে দ্বিতীয় দফা বন্যা মোকাবিলা ও ত্রাণ তৎপরতায় হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। সহযোগিতা চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করছেন মেয়র ও কর্মকর্তারা।
সিসিকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে সিলেটে অভূতপূর্ব পরিবর্তন সাধিত হবে। বাড়বে নাগরিক সুবিধাও।
সিসিক সূত্র জানায়, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মারা যাওয়ার কিছুদিন আগেও এসব প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। একইভাবে তাঁর ছোট ভাই সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনও প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, খোদ প্রধানমন্ত্রীও এসব প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এরপরও প্রকল্পগুলো অনুমোদন না হওয়ায় বিস্মিত সিলেটের সচেতন নাগরিকেরা। সুশাসনের জন্য নাগরিক সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সবকিছু আমলাতান্ত্রিক হওয়ায় এমনটা হচ্ছে। সরকারে যাঁরা আছেন তাঁরা তো আমলা নির্ভর। জোর গলায় কিছু বলে আদায় করার লোক নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরও কীভাবে এগুলো আটকে থাকে আমরা বুঝি না।’
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স নির্মাণ, সিটি করপোরেশনের সম্প্রসারিত এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণ, জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে দুটি খেলার মাঠ নির্মাণসহ ভূমিকম্প শেল্টার গ্রাউন্ড নির্মাণ, হজরত শাহজালাল (র.) মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা ও হজরত শাহপরাণ (র.) মাজার উন্নয়ন ও সংস্কার, জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে পানি শোধনাগার নির্মাণ, জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে এসফল্ট প্ল্যান্ট, রেডি মিক্স প্ল্যান্ট, ওয়ার্কশপ ও সেন্ট্রাল গ্যারেজ নির্মাণ, সিটি করপোরেশনের অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় আধুনিক স্মার্ট কন্ট্রোল এলইডি সড়কবাতি সরবরাহ ও স্থাপন। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা।
সিসিকের প্রকৌশল শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে দুই বছর পর সিলেটে আসেন। সংশ্লিষ্টরা তাঁকে প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে অবগত করলে তিনি অভিভূত হন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ মুহিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রকল্পগুলো অনুমোদনের জন্য চিঠি লিখেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ‘বাস্তবতার ভিত্তিতে আমরা এই প্রকল্পগুলো প্রস্তাব করেছি। সরকার বিবেচনা করলে শহরের ন্যূনতম নাগরিক চাহিদা মিটবে। সরকারেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তারপরও যেহেতু আরবানাইজেশন হচ্ছে, গ্রাম থেকে শহরে লোকজন আসছে। তাদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা মেটাতে হলে এই জিনিসগুলো প্রয়োজন।’
অর্থ সংকটের বিষয় স্বীকার করে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘নগরবাসীর জন্য আমি ছোটাছুটি করছি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরিফ বলেন, ‘সম্প্রতি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সিলেটে এসেছিলেন। ওনার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত প্রকল্পগুলো অনুমোদনের ব্যবস্থা করবেন।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪