অধ্যক্ষ হয়েও ইউপি চেয়ারম্যান তিনি

রিমন রহমান, রাজশাহী
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০: ১৫
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১: ৩৫

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দারা নিদারুণ দুর্ভোগের মধ্যে আছেন। তাঁরা যেকোনো কাজের জন্য গেলে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের দেখা পান না। তিনি গোদাগাড়ীর প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। বেশির ভাগ সময় সেখানেই থাকেন। আবার তিনি ইউপি কার্যালয়ে গেলে কলেজের প্রশাসনিক কাজে জটিলতা দেখা দেয়। 

জানা গেছে, গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ থাকাকালে ২০১৬ সালে তিনি প্রথম গোগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০২১ সালে দ্বিতীয়বার ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গোগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলের উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও তিনি। কলেজ-পরিষদ ছেড়ে অনেক সময় তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও ব্যস্ত থাকেন। ফলে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও দুর্ভোগের শিকার হন।

আবার কলেজ শেষ করে তিনি রাজশাহী নগরীর রানীবাজারের বাড়িতে ফিরে আসেন। ফলে ইউনিয়ন এলাকার গ্রামের মানুষ কোনো প্রয়োজনে তাঁকে খুঁজে পান না বলে অভিযোগ। 

এদিকে গত ১৫ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। এতে ইউপি চেয়ারম্যানদের সরকার নির্ধারিত সময়ে অফিসে অবস্থান করে বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মজিবর রহমান ইউপি কার্যালয়ে থাকেন না বলে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে এক ভুক্তভোগী রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর জেলা প্রশাসক ইউএনওর কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন নিয়েছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এই প্রতিবেদনটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ ছাড়া মজিবর রহমান একই সঙ্গে চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ হিসেবে বেতনভাতা নেন বলে জানা গেছে। মজিবর রহমান নিজেও দুই জায়গা থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত