Ajker Patrika

শ্রমিকদের কর্মবিরতি খাদ্যগুদামে অচলাবস্থা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২২, ১৪: ৫৩
শ্রমিকদের কর্মবিরতি খাদ্যগুদামে অচলাবস্থা

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি খাদ্যগুদামে মালামাল গাড়িতে ওঠানো-নামানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা এক সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে গুদামের কার্যক্রমে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

শ্রমিকেরা দাবি আদায়ের জন্য গুদাম চত্বরে প্রতিদিনই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে।

গুদামের ফটকে চারটি চালভর্তি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছিল। এতে করে আর কোনো পরিবহন গুদামে ঢুকতে বা বের হতে পারছিল না। তবে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাকগুলো পণ্য খালাস না করেই চলে যায়।

শ্রমিকেরা জানান, তাঁরা যে মজুরি পাচ্ছেন তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। তাঁরা বারবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এ কর্মসূচি পালন করছেন।

শ্রমিকেরা বলছেন, তাঁরা বৈষম্যের শিকার। সরকারি পণ্য গাড়িতে ওঠানো-নামানোতে তাঁদের যে মজুরি তা বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী অমানবিক। বস্তাপ্রতি মাত্র এক টাকা করে মজুরি পান। এক ট্রাক পণ্য খালাস ও বোঝাই করে ১ হাজার ৪০০ টাকা পেলে তা ৪১ শ্রমিকের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়। এতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

শ্রমিক সর্দার (সভাপতি) জিকরুল হক বলেন, ‘মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আমরা ইতিপূর্বেও অনেক আন্দোলন করেছি। প্রতিবারই খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অনুরোধ করে আমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে এ কর্মসূচি দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মালামাল ওঠানো-নামানোর কাজ করব না। এরপর আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকেরা আমাদের কথা মানেননি। জরুরি সময়ে অহেতুক দাবি তুলে কাজে ব্যাঘাত ঘটান। আমরা যেন তাঁদের কাছে জিম্মি। মজুরি বৃদ্ধির কোনো কর্তৃত্ব আমাদের নেই। এটা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। সামনে টেন্ডার হবে। এতে স্বাভাবিকভাবেই মজুরি বাড়বে। সারা দেশে শ্রমিকেরা যে রেটে কাজ করছেন, সেই রেটই এখানে। তারপরও তাঁরা কথায় কথায় এই ব্যাপারে অরাজকতা সৃষ্টি করেন।’

তৌহিদুর রহমান জানান, বিষয়টি জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন, সরকারি পণ্য খালাস ও বোঝাই না করলে অন্য মালামালের খালাস ও বোঝাই বন্ধ রাখতে। সে অনুযায়ী সব কাজ বন্ধ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত