শেখ আবু হাসান, খুলনা
ট্রলি নামক নিষিদ্ধ যানবাহনের দাপটে দুর্ভোগ সহ্য করছেন নগরবাসী। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই নিষিদ্ধ যানবাহনগুলো নগরীর বিভিন্ন সড়ক, অলি-গলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
শব্দদূষণ আর পরিবেশদূষণে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ। এর ওপর রয়েছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ভয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই নিষিদ্ধ যানবাহনগুলো নিয়মিত নগরীতে চলাচল করলেও বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেই। এতে নগরবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর কাস্টমস ঘাট, জেলখানা ও খুলনা সদর হাসপাতাল ঘাট এলাকা থেকে অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় ইট ও বালু পরিবহনেরৃ জন্য ট্রলি নামক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ যানের ব্যবহার করা হয়। কম ভাড়ায় ক্রেতাসাধারণ তাদের অবকাঠামো নির্মাণসামগ্রী ইট ও বালু পরিবহনের জন্য এই ট্রলি ভাড়া করছেন। বিক্রেতারাও তাঁদের মালামাল বিক্রির স্বার্থে ট্রলি ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছেন ক্রেতাদের।
এই নিষিদ্ধ যানবাহনের মালিকেরা বিক্রেতাদের ছত্রছায়ায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মালামাল পরিবহন করছেন। তবে এই মালামাল পরিবহনের কোনো কোনো সময় ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরাও পড়ছে। অভিযোগ আছে এ সময় পুলিশ ৫০০ থেকে হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়। ফলে আবারও তারা নির্বিঘ্নে নগরীতে মালামাল পরিবহন করে চলেছে।
মালামাল পরিবহনের সময় এই পরিবহনের চালকেরা ট্রাফিক পুলিশ যেখানে আছে, সেসব এলাকা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। এ জন্য তারা নগরীর আবাসিক এলাকার সড়ক ও অলিগলি বেছে নিচ্ছে। আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে প্রচণ্ড শব্দদূষণ ও কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে যায়। এ সময় ওইসব এলাকার বাসিন্দা ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের অসুবিধা হয় বেশি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর তারের পুকুর এলাকার পুরাতন সন্ধ্যা বাজার সড়কে একটি বালুবোঝাই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ট্রলিটি সড়কে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পাশের দোকানে উঠে যায়। এতে মোটরসাইকেল আরোহীসহ দুজন পথচারী আহত হন। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে নগরীর ইকবালনগর মসজিদ রোডের ভুক্তভোগী বাসিন্দা মামনুন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যার পর থেকে ইট অথবা বালু নিয়ে অসংখ্য ট্রলি তাদের আবাসিক এলাকার সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এ সময় এসব নিষিদ্ধ যানবাহনের প্রচণ্ড শব্দে সড়কে এবং ঘরের ভেতর থাকা দায়। এ ছাড়া এসব যানবাহন থেকে কালো ধোঁয়ায় এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করে চলেছে। এতে বৃদ্ধ এবং শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এদের দাপট দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিন নগরীর জেলখানা ঘাট ও খুলনা সদর হাসপাতাল ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় অসংখ্য ইট বালুর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এখান থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে আসেন। এ সময় কথা হয় আতিকুল ইসলাম মিঠু নামের এক ইট ও বালু ব্যবসায়ীর সঙ্গে।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইট ও বালু পরিবহনের জন্য আগে যে পরিবহনগুলো ব্যবহার করা হতো, তা আর করা যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আগে ঠেলাগাড়ির ব্যবস্থা করা হতো, কিন্তু বর্তমানে এসব পরিবহন ব্যবহার করতে অনেক বেশি খরচ পড়ে। আবার অল্প মালামালের জন্য ট্রাক ভাড়া করা যায় না। এতেও অনেক খরচ। এ ছাড়া ট্রাক নগরীর অলি-গলিতে ঢুকতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে এই ট্রলি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
তিনি স্বীকার করেন এটি নিষিদ্ধ যানবাহন, নগরীতে চলাচল করার কোনো অনুমতি নেই, নেই কোনো কাগজপত্র। এ ছাড়া রয়েছে পুলিশি ঝামেলা। তারপরও ত্রেতাদের খরচ কমাতে ও নিজেদের বেচা-বিক্রি বাড়াতে এই পরিবহনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, ট্রলি নামক যানবাহনগুলো সড়কে চলাচল করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ যানবাহনের কোনো অনুমতি নেই। অনেক সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নগরীতে মালামাল পরিবহন করছে। এসব নিষিদ্ধ যানবাহন বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্রলি নামক নিষিদ্ধ যানবাহনের দাপটে দুর্ভোগ সহ্য করছেন নগরবাসী। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই নিষিদ্ধ যানবাহনগুলো নগরীর বিভিন্ন সড়ক, অলি-গলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
শব্দদূষণ আর পরিবেশদূষণে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ। এর ওপর রয়েছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ভয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই নিষিদ্ধ যানবাহনগুলো নিয়মিত নগরীতে চলাচল করলেও বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেই। এতে নগরবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর কাস্টমস ঘাট, জেলখানা ও খুলনা সদর হাসপাতাল ঘাট এলাকা থেকে অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় ইট ও বালু পরিবহনেরৃ জন্য ট্রলি নামক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ যানের ব্যবহার করা হয়। কম ভাড়ায় ক্রেতাসাধারণ তাদের অবকাঠামো নির্মাণসামগ্রী ইট ও বালু পরিবহনের জন্য এই ট্রলি ভাড়া করছেন। বিক্রেতারাও তাঁদের মালামাল বিক্রির স্বার্থে ট্রলি ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছেন ক্রেতাদের।
এই নিষিদ্ধ যানবাহনের মালিকেরা বিক্রেতাদের ছত্রছায়ায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মালামাল পরিবহন করছেন। তবে এই মালামাল পরিবহনের কোনো কোনো সময় ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরাও পড়ছে। অভিযোগ আছে এ সময় পুলিশ ৫০০ থেকে হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়। ফলে আবারও তারা নির্বিঘ্নে নগরীতে মালামাল পরিবহন করে চলেছে।
মালামাল পরিবহনের সময় এই পরিবহনের চালকেরা ট্রাফিক পুলিশ যেখানে আছে, সেসব এলাকা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। এ জন্য তারা নগরীর আবাসিক এলাকার সড়ক ও অলিগলি বেছে নিচ্ছে। আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে প্রচণ্ড শব্দদূষণ ও কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে যায়। এ সময় ওইসব এলাকার বাসিন্দা ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের অসুবিধা হয় বেশি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর তারের পুকুর এলাকার পুরাতন সন্ধ্যা বাজার সড়কে একটি বালুবোঝাই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ট্রলিটি সড়কে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পাশের দোকানে উঠে যায়। এতে মোটরসাইকেল আরোহীসহ দুজন পথচারী আহত হন। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে নগরীর ইকবালনগর মসজিদ রোডের ভুক্তভোগী বাসিন্দা মামনুন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যার পর থেকে ইট অথবা বালু নিয়ে অসংখ্য ট্রলি তাদের আবাসিক এলাকার সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এ সময় এসব নিষিদ্ধ যানবাহনের প্রচণ্ড শব্দে সড়কে এবং ঘরের ভেতর থাকা দায়। এ ছাড়া এসব যানবাহন থেকে কালো ধোঁয়ায় এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করে চলেছে। এতে বৃদ্ধ এবং শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এদের দাপট দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিন নগরীর জেলখানা ঘাট ও খুলনা সদর হাসপাতাল ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় অসংখ্য ইট বালুর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এখান থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে আসেন। এ সময় কথা হয় আতিকুল ইসলাম মিঠু নামের এক ইট ও বালু ব্যবসায়ীর সঙ্গে।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইট ও বালু পরিবহনের জন্য আগে যে পরিবহনগুলো ব্যবহার করা হতো, তা আর করা যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আগে ঠেলাগাড়ির ব্যবস্থা করা হতো, কিন্তু বর্তমানে এসব পরিবহন ব্যবহার করতে অনেক বেশি খরচ পড়ে। আবার অল্প মালামালের জন্য ট্রাক ভাড়া করা যায় না। এতেও অনেক খরচ। এ ছাড়া ট্রাক নগরীর অলি-গলিতে ঢুকতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে এই ট্রলি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
তিনি স্বীকার করেন এটি নিষিদ্ধ যানবাহন, নগরীতে চলাচল করার কোনো অনুমতি নেই, নেই কোনো কাগজপত্র। এ ছাড়া রয়েছে পুলিশি ঝামেলা। তারপরও ত্রেতাদের খরচ কমাতে ও নিজেদের বেচা-বিক্রি বাড়াতে এই পরিবহনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, ট্রলি নামক যানবাহনগুলো সড়কে চলাচল করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ যানবাহনের কোনো অনুমতি নেই। অনেক সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নগরীতে মালামাল পরিবহন করছে। এসব নিষিদ্ধ যানবাহন বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে