নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বেইলি রোডে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল শাখা। এর মাত্র ১০০ গজের মধ্যে গড়ে উঠেছে শতাধিক কোচিং সেন্টার। এসব সেন্টারের অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীই ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
এভাবে রাজধানীর বেশির ভাগ নামীদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কোচিং ও ব্যাচে পড়ানোর সেন্টার। অথচ আইনত শিক্ষকদের কোচিং সেন্টার পরিচালনা ও একই প্রতিষ্ঠানের ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো নিষিদ্ধ। এ ছাড়া অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘বিশেষ পাঠদানের’ নামে শিক্ষার্থীদের ‘কোচিং’ করতে বাধ্য করছে। তেমনই একটি ইস্কাটনের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল। সম্প্রতি এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি কেজি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিশেষ পাঠদান ক্লাসে অংশ নিতে নোটিশ দিয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং করানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো হচ্ছে বা কোচিংয়ে বাধ্য করানো হচ্ছে। এতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে।
নীতিমালার বাস্তবায়ন নামমাত্র
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে সরকার ২০১২ সালে নীতিমালা জারি করে। এর গেজেট হয় ২০১৯ সালে। এই নীতিমালায় কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে শাস্তির সুস্পষ্ট বিধান থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই। শুধু ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে কোচিং-বাণিজ্যের অভিযোগে ২৫ শিক্ষককে বদলি করেছিল মাউশি।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কোনো কোচিং সেন্টারে যুক্ত হতে বা গড়ে তুলতে পারবেন না। তবে অভিভাবকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে মহানগর এলাকার প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাসে ৩০০, জেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ এবং উপজেলা ও অন্যান্য এলাকার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা নেওয়া যাবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন।
যততত্র কোচিং সেন্টার
শুধু বেইলি রোডে ভিকারুননিসা নূনই নয়, মতিঝিল ও আশপাশে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজকে কেন্দ্র করেও গড়ে উঠেছে অনেক কোচিং ও ব্যাচে প্রাইভেট পড়ানোর সেন্টার। ‘বাটারফ্লাই কিন্ডারগার্টেন’ নামের একটি কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, আইডিয়াল স্কুলের বিভিন্ন শাখার শিক্ষার্থীরা পড়তে এসেছে। পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাসে সব পড়ানো হয় না, তাই শিক্ষকদের পরামর্শে অভিভাবকেরা তাদের কোচিংয়ে ভর্তি করিয়েছেন। একই স্কুলের বনশ্রী শাখার শিক্ষকেরাও বনশ্রী ও আফতাবনগরে বেশ কিছু কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন। একই অবস্থা মিরপুরের মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ রাজধানীর বেশ কিছু স্কুলের।
স্কুলেই কোচিং-বাণিজ্য!
অভিযোগ রয়েছে, ক্লাসের আগে বা পরে বিশেষ পাঠদানের নামে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছেন শিক্ষকেরা। এ ক্ষেত্রে কোচিং নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অভিভাবকদের আবেদন এবং নির্দিষ্ট ফি নেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
ইস্কাটনের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলেও ‘বিশেষ পাঠদানে’ অংশ নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সাহানা হক গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিভাবকদের অনুরোধে আমরা বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা করেছি। এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে।’ শিক্ষার্থীদের বিশেষ পাঠদানে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে এ রকম কোনো কিছু করার সুযোগই নেই। কেউ যদি কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলই নয়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই স্কুল সময়ের আগে ও পরে বিশেষ ক্লাসে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের বলা হচ্ছে।
চাপে শিক্ষার্থী-অভিভাবক
অভিভাবকদের অভিযোগ, সন্তানকে কোচিং ও ব্যাচে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে তাঁরা আর্থিকভাবে চাপে পড়ছেন। সন্তানও পড়ার চাপে পড়ছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে শিক্ষকেরা ‘মনোযোগ না দিয়ে’ স্কুলের বিশেষ ক্লাসে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়েই শুধু ধর্ম বিষয় ছাড়া বাকি সব বিষয়েই কোচিংয়ে পাঠাচ্ছি। এতে মাসে অন্তত ১৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।’
সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাসে শিক্ষকেরা পড়ানোয় মনোযোগ না দেওয়ায় সিলেবাস শেষ হয় না। তাই বাধ্য হয়ে স্কুলের বিশেষ ক্লাসে অংশ নিতে হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হামিদা আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুরোধে তাদের ভালোর জন্যই আমরা বিশেষ ক্লাস নিই। কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নেই।’
জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারেন না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক প্রতিষ্ঠানেই এটি মানা হচ্ছে না। তিনি বলেন, এত শিক্ষককে মনিটরিং করার মতো জনবল মাউশির নেই। তাই এ বিষয়ে মনিটরিং করতে তিনি প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাজধানীর বেইলি রোডে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল শাখা। এর মাত্র ১০০ গজের মধ্যে গড়ে উঠেছে শতাধিক কোচিং সেন্টার। এসব সেন্টারের অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীই ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
এভাবে রাজধানীর বেশির ভাগ নামীদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কোচিং ও ব্যাচে পড়ানোর সেন্টার। অথচ আইনত শিক্ষকদের কোচিং সেন্টার পরিচালনা ও একই প্রতিষ্ঠানের ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো নিষিদ্ধ। এ ছাড়া অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘বিশেষ পাঠদানের’ নামে শিক্ষার্থীদের ‘কোচিং’ করতে বাধ্য করছে। তেমনই একটি ইস্কাটনের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল। সম্প্রতি এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি কেজি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিশেষ পাঠদান ক্লাসে অংশ নিতে নোটিশ দিয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং করানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো হচ্ছে বা কোচিংয়ে বাধ্য করানো হচ্ছে। এতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে।
নীতিমালার বাস্তবায়ন নামমাত্র
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে সরকার ২০১২ সালে নীতিমালা জারি করে। এর গেজেট হয় ২০১৯ সালে। এই নীতিমালায় কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে শাস্তির সুস্পষ্ট বিধান থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই। শুধু ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে কোচিং-বাণিজ্যের অভিযোগে ২৫ শিক্ষককে বদলি করেছিল মাউশি।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কোনো কোচিং সেন্টারে যুক্ত হতে বা গড়ে তুলতে পারবেন না। তবে অভিভাবকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে মহানগর এলাকার প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাসে ৩০০, জেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ এবং উপজেলা ও অন্যান্য এলাকার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা নেওয়া যাবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন।
যততত্র কোচিং সেন্টার
শুধু বেইলি রোডে ভিকারুননিসা নূনই নয়, মতিঝিল ও আশপাশে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজকে কেন্দ্র করেও গড়ে উঠেছে অনেক কোচিং ও ব্যাচে প্রাইভেট পড়ানোর সেন্টার। ‘বাটারফ্লাই কিন্ডারগার্টেন’ নামের একটি কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, আইডিয়াল স্কুলের বিভিন্ন শাখার শিক্ষার্থীরা পড়তে এসেছে। পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাসে সব পড়ানো হয় না, তাই শিক্ষকদের পরামর্শে অভিভাবকেরা তাদের কোচিংয়ে ভর্তি করিয়েছেন। একই স্কুলের বনশ্রী শাখার শিক্ষকেরাও বনশ্রী ও আফতাবনগরে বেশ কিছু কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন। একই অবস্থা মিরপুরের মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ রাজধানীর বেশ কিছু স্কুলের।
স্কুলেই কোচিং-বাণিজ্য!
অভিযোগ রয়েছে, ক্লাসের আগে বা পরে বিশেষ পাঠদানের নামে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছেন শিক্ষকেরা। এ ক্ষেত্রে কোচিং নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অভিভাবকদের আবেদন এবং নির্দিষ্ট ফি নেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
ইস্কাটনের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলেও ‘বিশেষ পাঠদানে’ অংশ নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সাহানা হক গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিভাবকদের অনুরোধে আমরা বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা করেছি। এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে।’ শিক্ষার্থীদের বিশেষ পাঠদানে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে এ রকম কোনো কিছু করার সুযোগই নেই। কেউ যদি কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলই নয়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই স্কুল সময়ের আগে ও পরে বিশেষ ক্লাসে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের বলা হচ্ছে।
চাপে শিক্ষার্থী-অভিভাবক
অভিভাবকদের অভিযোগ, সন্তানকে কোচিং ও ব্যাচে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে তাঁরা আর্থিকভাবে চাপে পড়ছেন। সন্তানও পড়ার চাপে পড়ছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে শিক্ষকেরা ‘মনোযোগ না দিয়ে’ স্কুলের বিশেষ ক্লাসে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়েই শুধু ধর্ম বিষয় ছাড়া বাকি সব বিষয়েই কোচিংয়ে পাঠাচ্ছি। এতে মাসে অন্তত ১৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।’
সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাসে শিক্ষকেরা পড়ানোয় মনোযোগ না দেওয়ায় সিলেবাস শেষ হয় না। তাই বাধ্য হয়ে স্কুলের বিশেষ ক্লাসে অংশ নিতে হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হামিদা আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুরোধে তাদের ভালোর জন্যই আমরা বিশেষ ক্লাস নিই। কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নেই।’
জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারেন না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক প্রতিষ্ঠানেই এটি মানা হচ্ছে না। তিনি বলেন, এত শিক্ষককে মনিটরিং করার মতো জনবল মাউশির নেই। তাই এ বিষয়ে মনিটরিং করতে তিনি প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের প্রতি আহ্বান জানান।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে