বাপ্পী শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ ভ্যানচাপায় ছয় ভাই নিহতের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। ঘটনার এক বছর পার হলেও বিচারকাজ শুরু হয়নি।
মামলার তদন্ত করে গত ২৩ নভেম্বর পুলিশের তদন্ত ব্যুরো (পিবিআই) চকরিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পিকআপ ভ্যানচাপায় একসঙ্গে ছয় ভাই নিহতের ঘটনায় তাঁদের ভাই প্লাবন সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন। এতে গাড়ির চালক সাহিদুল ইসলাম সাইফুল, মালিক মাহমদুল করিম বাদল এবং ছেলে তারেককে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছরের এই দিনে চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট হাসিনাপাড়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুরেশ চন্দ্র সুশীল মৃত্যুর পর বাবার অশৌচ পালন অনুষ্ঠান হয়। সাদা থান কাপড় পরে সাত ভাই, দুই বোন ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখান থেকে ফেরার পথে মালুমঘাট বাজারের কাছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পার হওয়ার জন্য তাঁরা সড়কের পাশে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় কক্সবাজারমুখী একটি পিকআপ ভ্যান তাঁদের চাপা দেয়। ওই ঘটনায় অনুপম শীল, নিরুপম শীল, দীপক কুমার শীল, রক্তিম শীল, চম্পক কুমার শীল, স্মরণ চন্দ্র শীল, প্লাবন শীল, মুন্নী শীল ও হীলা শীলের মধ্যে ছয়জন প্রাণ হারান।
এ ঘটনায় নিহতদের ছোট ভাই প্লাবন সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি এক সপ্তাহ তদন্ত করে। পরে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।
১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলা পিবিআই মামলাটি বুঝে নেয়। ঘটনার চার দিনের মাথায় ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে পিকআপ ভ্যানচালক সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি কারাগারে আছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, পিকআপ ভ্যানচালক জেনে-বুঝে দ্বিতীয়বার চাপা দিয়ে পালিয়েছিলেন। তাঁর কর্তব্য ছিল তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসা নিশ্চিত করা; কিন্তু তিনি তা না করে তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান। তাঁকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও সড়ক আইনের চারটি ধারায় গাড়ি চাপা দেওয়ার সত্যতা মিলেছে।
নিহতদের মা মৃণালিনী সুশীল মানু বলেন, ‘বুকে পাথর চেপে বেঁচে আছি। কারণ, বেঁচে ফেরা প্লাবনের কথা চিন্তা করে মনভরে কান্না করতে পারছি না। তাকে নিয়েই বাঁচতে হবে, তাকে মানুষ করতে হবে। বাচ্চারা নেই এক
বছর হয়ে গেল, পুরো ঘর খাঁ খাঁ করছে। আমার পরিবার শূন্য হয়ে গেছে। একসঙ্গে ছয় সন্তান হারানোর বেদনা কী রকম, আমি ছাড়া পৃথিবীতে কেউই জানে না। আমি যেন বিচার দেখে মরতে পারি।’
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ ভ্যানচাপায় ছয় ভাই নিহতের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। ঘটনার এক বছর পার হলেও বিচারকাজ শুরু হয়নি।
মামলার তদন্ত করে গত ২৩ নভেম্বর পুলিশের তদন্ত ব্যুরো (পিবিআই) চকরিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পিকআপ ভ্যানচাপায় একসঙ্গে ছয় ভাই নিহতের ঘটনায় তাঁদের ভাই প্লাবন সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন। এতে গাড়ির চালক সাহিদুল ইসলাম সাইফুল, মালিক মাহমদুল করিম বাদল এবং ছেলে তারেককে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছরের এই দিনে চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট হাসিনাপাড়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুরেশ চন্দ্র সুশীল মৃত্যুর পর বাবার অশৌচ পালন অনুষ্ঠান হয়। সাদা থান কাপড় পরে সাত ভাই, দুই বোন ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখান থেকে ফেরার পথে মালুমঘাট বাজারের কাছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পার হওয়ার জন্য তাঁরা সড়কের পাশে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় কক্সবাজারমুখী একটি পিকআপ ভ্যান তাঁদের চাপা দেয়। ওই ঘটনায় অনুপম শীল, নিরুপম শীল, দীপক কুমার শীল, রক্তিম শীল, চম্পক কুমার শীল, স্মরণ চন্দ্র শীল, প্লাবন শীল, মুন্নী শীল ও হীলা শীলের মধ্যে ছয়জন প্রাণ হারান।
এ ঘটনায় নিহতদের ছোট ভাই প্লাবন সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি এক সপ্তাহ তদন্ত করে। পরে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।
১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলা পিবিআই মামলাটি বুঝে নেয়। ঘটনার চার দিনের মাথায় ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে পিকআপ ভ্যানচালক সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি কারাগারে আছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, পিকআপ ভ্যানচালক জেনে-বুঝে দ্বিতীয়বার চাপা দিয়ে পালিয়েছিলেন। তাঁর কর্তব্য ছিল তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসা নিশ্চিত করা; কিন্তু তিনি তা না করে তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান। তাঁকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও সড়ক আইনের চারটি ধারায় গাড়ি চাপা দেওয়ার সত্যতা মিলেছে।
নিহতদের মা মৃণালিনী সুশীল মানু বলেন, ‘বুকে পাথর চেপে বেঁচে আছি। কারণ, বেঁচে ফেরা প্লাবনের কথা চিন্তা করে মনভরে কান্না করতে পারছি না। তাকে নিয়েই বাঁচতে হবে, তাকে মানুষ করতে হবে। বাচ্চারা নেই এক
বছর হয়ে গেল, পুরো ঘর খাঁ খাঁ করছে। আমার পরিবার শূন্য হয়ে গেছে। একসঙ্গে ছয় সন্তান হারানোর বেদনা কী রকম, আমি ছাড়া পৃথিবীতে কেউই জানে না। আমি যেন বিচার দেখে মরতে পারি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে