কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
পবিত্র রমজান মাসে আবারও প্রতি লিটারে ২০ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম। এদিকে বাজারে বোতলজাত তেলের সরবরাহ নেই। এতে চাপ পড়েছে খোলা সয়াবিন তেলে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
দিন দিন বেড়েই চলেছে ভোজ্যতেলের দাম। এতে সংসার চালাতে বেসামাল হয়ে পড়েছে উপজেলার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের হাজারো খেটে খাওয়া মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৫০ টাকা বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০-১৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকায়। সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছিল ১০ টাকা। তখন খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হয় ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা এবং প্রতি কেজি ১৮০ টাকা। একইভাবে পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৫৫-১৬০ টাকা এবং কেজি ১৭০-১৭৫ টাকা, যেখানে পাম অয়েলের নির্ধারিত মূল্য ছিল ১৩০ টাকা।
সরবরাহ না থাকায় বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৮০ টাকায়। সরকার নির্ধারিত মূল্যে তা বিক্রি করার কথা ১৬০ টাকা। আর সরিষার তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিক এবং ডিও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে তেলের বাজার সব সময় ঊর্ধ্বগামী। পাইকারি বাজারে তেলের দাম বেশি ধরায় খুচরা বাজারে বেশি দামে তেল বিক্রি করতে হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, সরকারের নির্ধারিত দামে তেল শুধু পত্রিকা, টেলিভিশনে দেখা যায়। বাস্তবে তেল কিনতে এলে সেই হিসাব আর মেলে না। আয়-রোজগার বাড়ছে না কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
কালাই হাটে ভোজ্যতেল কিনতে আসা কালাই পৌর বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, রমজানেই চারবার বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম। আয় রোজগার বাড়েনি কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ে, আমাদের বাড়ে না।’
ভোজ্যতেল কিনতে এসেছেন অটো ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম। পরিবারে ৬ জন সদস্য। তাঁর আয়েই চলে সংসার। তিনি বলেন, ‘সারা দিনে কামাই করি ২৫০-৩০০ টাকা। যা কামাই করি চাল, তেল কিনতেই শেষ। প্রতিদিন যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়োছে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হওছে। এখন ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকায় কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ইঙ্কা করে দাম বাড়লে না খেয়ে মরা লাগবে।’
উপজেলার মেসার্স মোস্তফা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রুদ্র ফারদিন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে ভোজ্যতেল কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত খুচরা ব্যবসায়ীদের জরিমানা করছেন। কিন্তু বড় ব্যবসায়ীদের ধারেকাছেও যেতে পারছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বাজার তদারকি অব্যাহত রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, যেহেতু জয়পুরহাটে ভোজ্যতেল উৎপন্ন হয় না, সে জন্য ভোজ্যতেল কিনে আনতে হয়। সে ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল ক্রয়মূল্যের সঙ্গে বিক্রির মূল্য অসামঞ্জস্য হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পবিত্র রমজান মাসে আবারও প্রতি লিটারে ২০ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম। এদিকে বাজারে বোতলজাত তেলের সরবরাহ নেই। এতে চাপ পড়েছে খোলা সয়াবিন তেলে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
দিন দিন বেড়েই চলেছে ভোজ্যতেলের দাম। এতে সংসার চালাতে বেসামাল হয়ে পড়েছে উপজেলার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের হাজারো খেটে খাওয়া মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৫০ টাকা বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০-১৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকায়। সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছিল ১০ টাকা। তখন খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হয় ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা এবং প্রতি কেজি ১৮০ টাকা। একইভাবে পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৫৫-১৬০ টাকা এবং কেজি ১৭০-১৭৫ টাকা, যেখানে পাম অয়েলের নির্ধারিত মূল্য ছিল ১৩০ টাকা।
সরবরাহ না থাকায় বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৮০ টাকায়। সরকার নির্ধারিত মূল্যে তা বিক্রি করার কথা ১৬০ টাকা। আর সরিষার তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিক এবং ডিও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে তেলের বাজার সব সময় ঊর্ধ্বগামী। পাইকারি বাজারে তেলের দাম বেশি ধরায় খুচরা বাজারে বেশি দামে তেল বিক্রি করতে হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, সরকারের নির্ধারিত দামে তেল শুধু পত্রিকা, টেলিভিশনে দেখা যায়। বাস্তবে তেল কিনতে এলে সেই হিসাব আর মেলে না। আয়-রোজগার বাড়ছে না কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
কালাই হাটে ভোজ্যতেল কিনতে আসা কালাই পৌর বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, রমজানেই চারবার বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম। আয় রোজগার বাড়েনি কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ে, আমাদের বাড়ে না।’
ভোজ্যতেল কিনতে এসেছেন অটো ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম। পরিবারে ৬ জন সদস্য। তাঁর আয়েই চলে সংসার। তিনি বলেন, ‘সারা দিনে কামাই করি ২৫০-৩০০ টাকা। যা কামাই করি চাল, তেল কিনতেই শেষ। প্রতিদিন যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়োছে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হওছে। এখন ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকায় কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ইঙ্কা করে দাম বাড়লে না খেয়ে মরা লাগবে।’
উপজেলার মেসার্স মোস্তফা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রুদ্র ফারদিন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে ভোজ্যতেল কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত খুচরা ব্যবসায়ীদের জরিমানা করছেন। কিন্তু বড় ব্যবসায়ীদের ধারেকাছেও যেতে পারছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বাজার তদারকি অব্যাহত রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, যেহেতু জয়পুরহাটে ভোজ্যতেল উৎপন্ন হয় না, সে জন্য ভোজ্যতেল কিনে আনতে হয়। সে ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল ক্রয়মূল্যের সঙ্গে বিক্রির মূল্য অসামঞ্জস্য হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে