জামানত খোয়ালেন উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ২৩
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ২৩

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৯ ইউপির মধ্যে ৭টিতে হেরেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

পরাজিত আওয়ামী লীগের ৭ প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন মিলন এবং জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক সরকার রাজুর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

বনগ্রাম ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মো. কামাল হোসেন বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের কাছে পরাজিত হন। আর জালালপুর ইউপিতে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল আলমের কাছে আব্দুল খালেক সরকার রাজু পরাজিত হন।

বনগ্রাম ইউপিতে মোট ভোটার ২০ হাজার ৮৯৭ জন। উপজেলা আওয়ামী লীগে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন মিলন পান ২ হাজার ২৩৫ ভোট। আনারস প্রতীকে ৮ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন জসিম উদ্দিন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইফুল্লাহ জামান সরকার (চশমা) পান ৬ হাজার ৪৪৭ ভোট। এই ইউপিতে পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে নৌকার প্রার্থী চতুর্থ হন।

অন্য দিকে জালালপুর ইউপিতে চশমা প্রতীকে ৫ হাজার ৫৮৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন রফিকুল আলম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মতিউর রহমান (টেবিল ফ্যান) পেয়েছেন ২ হাজার ৪৫৩ ভোট। এই ইউপিতে নৌকার প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকার রাজু ভোট পান ৬৪৭টি। ছয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে তিনি পঞ্চম হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে সেই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বনগ্রাম ইউপিতে মো. কামাল হোসেন মিলন ও জালালপুর ইউপিতে আব্দুল খালেক সরকার রাজুর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত