সম্পাদকীয়
সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় দেশের বিভিন্ন এলাকার নদ-নদী, খাল-বিল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার খবর। সেই সব খবর দেখলেই বোঝা যায়, এ দেশে কেউ-ই পরিবেশের কথা ভাবে না। এই যেমন বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের কনাংজৈ পাড়াসংলগ্ন থাইংক্ষ্যং মুখ এলাকার চরে সাঙ্গু নদ থেকে ২৪ হর্স পাওয়ারসম্পন্ন মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
যদিও এই এলাকায় সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল নেই, তারপরও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতারা জোটবদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেট করে বালু উত্তোলনের কাজটি করে যাচ্ছেন। এই সিন্ডিকেটে আবার ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও ঠিকাদারও যুক্ত আছেন। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ব্যাপারটি জানা যায় রোববার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে।
নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটে। এর খেসারত দিতে হয় স্থানীয় জনসাধারণকে। পাশাপাশি নদীভাঙন, রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়া, নদীর গতিপথের পরিবর্তন ঘটে এবং সর্বোপরি জলবায়ু ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে একটি আইন করা হয়েছে—বালুমহাল মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০। এই আইনের ধারা ৪-এর উপধারা (গ) মতে, ‘বালু বা মাটি উত্তোলন বা বিপণনের উদ্দেশ্যে ড্রেজিংয়ের ফলে কোনো নদীর তীর ভাঙনের শিকার হতে পারে—এরূপ এবং উপধারা (ঙ) অনুযায়ী, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন উক্ত বোর্ড কর্তৃক চিহ্নিত সেচ, পানিনিষ্কাশন, বন্যানিয়ন্ত্রণ বা নদীভাঙন রোধকল্পে নির্মিত অবকাঠামোসংলগ্ন এলাকা হইলে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ।’ এ ছাড়া এ আইনের ধারা ৫ (১)-এ বলা হয়েছে, ‘পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাইবে না।’
আইন থাকার পরও যখন এ ধরনের নিষিদ্ধ কাজটি করা হয়, তখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের কাজটা কী? আরও প্রশ্ন আসে, স্থানীয় সরকারি দলের নেতাদের অপকর্ম দেখেও প্রশাসনের লোকজন কীভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছেন? কীভাবে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ দিনের পর দিন সেখানে চলতে পারে? এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রশ্রয় ছাড়া করা সম্ভব নয়।
আমরা মনে করি, পরিবেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে। বালু উত্তোলকদের কাছে ব্যবসা আর টাকাই প্রধান। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কীভাবে এহেন অপকর্মের সহযোগী হতে পারেন?
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উচ্চ আদালত বিভিন্ন সময় নির্দেশনা দিয়েছেন, কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও কেন অবৈধ দখলদার-বালু উত্তোলকদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নেওয়া হয় না, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
যারা এই ঘটনার হর্তাকর্তা, তাদের সবাইকে দেশের প্রচলিত আইনে বিচারের আওতায় আনার কোনো বিকল্প নেই।
সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় দেশের বিভিন্ন এলাকার নদ-নদী, খাল-বিল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার খবর। সেই সব খবর দেখলেই বোঝা যায়, এ দেশে কেউ-ই পরিবেশের কথা ভাবে না। এই যেমন বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের কনাংজৈ পাড়াসংলগ্ন থাইংক্ষ্যং মুখ এলাকার চরে সাঙ্গু নদ থেকে ২৪ হর্স পাওয়ারসম্পন্ন মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
যদিও এই এলাকায় সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল নেই, তারপরও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতারা জোটবদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেট করে বালু উত্তোলনের কাজটি করে যাচ্ছেন। এই সিন্ডিকেটে আবার ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও ঠিকাদারও যুক্ত আছেন। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ব্যাপারটি জানা যায় রোববার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে।
নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটে। এর খেসারত দিতে হয় স্থানীয় জনসাধারণকে। পাশাপাশি নদীভাঙন, রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়া, নদীর গতিপথের পরিবর্তন ঘটে এবং সর্বোপরি জলবায়ু ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে একটি আইন করা হয়েছে—বালুমহাল মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০। এই আইনের ধারা ৪-এর উপধারা (গ) মতে, ‘বালু বা মাটি উত্তোলন বা বিপণনের উদ্দেশ্যে ড্রেজিংয়ের ফলে কোনো নদীর তীর ভাঙনের শিকার হতে পারে—এরূপ এবং উপধারা (ঙ) অনুযায়ী, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন উক্ত বোর্ড কর্তৃক চিহ্নিত সেচ, পানিনিষ্কাশন, বন্যানিয়ন্ত্রণ বা নদীভাঙন রোধকল্পে নির্মিত অবকাঠামোসংলগ্ন এলাকা হইলে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ।’ এ ছাড়া এ আইনের ধারা ৫ (১)-এ বলা হয়েছে, ‘পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাইবে না।’
আইন থাকার পরও যখন এ ধরনের নিষিদ্ধ কাজটি করা হয়, তখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের কাজটা কী? আরও প্রশ্ন আসে, স্থানীয় সরকারি দলের নেতাদের অপকর্ম দেখেও প্রশাসনের লোকজন কীভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছেন? কীভাবে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ দিনের পর দিন সেখানে চলতে পারে? এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রশ্রয় ছাড়া করা সম্ভব নয়।
আমরা মনে করি, পরিবেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে। বালু উত্তোলকদের কাছে ব্যবসা আর টাকাই প্রধান। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কীভাবে এহেন অপকর্মের সহযোগী হতে পারেন?
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উচ্চ আদালত বিভিন্ন সময় নির্দেশনা দিয়েছেন, কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও কেন অবৈধ দখলদার-বালু উত্তোলকদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নেওয়া হয় না, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
যারা এই ঘটনার হর্তাকর্তা, তাদের সবাইকে দেশের প্রচলিত আইনে বিচারের আওতায় আনার কোনো বিকল্প নেই।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪