গোপালপুর প্রতিনিধি
অন্ত্যজ শ্রেণির বুনো বাগদীদের নিত্যসঙ্গী অভাব-অনটন, অশিক্ষা ও দারিদ্র্য। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও বুনোদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেনি। এই বুনোরা হলো মূল বাগদীদের উপগোত্র।
জানা যায়, দেশের সমতলের ৪৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে বাগদীরা। গোপালপুর উপজেলার বুনো বাগদীদের সবাই ভূমিহীন। উপজেলার নন্দনপুর, হেমনগর, ঝাওয়াইল ও ভেঙ্গুলা গ্রামে ১০৬ ঘর বুনো বাগদীর বাস। নিজ মাতৃভাষা হারিয়ে এখন তাঁরা বাংলায় কথা বলে। বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও প্রথা হারিয়ে মিশ্র সংস্কৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছেন এই বাগদীরা।
ঝাওয়াইল গ্রামের আরতী বাগদী জানান, সাতচল্লিশ ও একাত্তরে বাগদীরা দেশছাড়া হয়। এরশাদ আমলে তাঁদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে উচ্ছেদ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো বাজারের খাসজমির বস্তিতে গাদাগাদি করে বাস করছেন। গোপালপুর পৌরশহরের নন্দনপুর মহল্লার বাগদী বস্তির প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্বাস্থ্যহানির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
ভেঙ্গুলার অনিল বাগদী জানান, ১০ বছর আগে এখানকার খাসজমিতে ২৪ বাগদী পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গবাদিপশু দেওয়া হয়। নির্মিত হয় আধা পাকা দুটি গোশালা। কিন্তু পশুসম্পদ বিভাগ ফলোআপ না দেওয়া সবক’টি গরু মড়কে মারা যায়। গৃহহীন ১০ বুনো পরিবার এখন ওই গোশালায় বাস করে।
ভেঙ্গুলার নিমাই বাগদী জানান, অভাব-অনটনে অধিকাংশ বাগদী শিশু স্কুলবিমুখ। সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয় তাঁরা। উপবৃত্তিও সবাই পায় না। তা ছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁয় মুচি ও বাগদীর জন্য কাপপিরিচ, থাল বাসন আলাদা।
ভেঙ্গুলা গ্রামের বাসিন্দা এবং বাগদী নেতা ভজনচন্দ্র জানান, জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাগদীদের ধারণা নেই। স্বাস্থ্যকর্মীরা সহজে বাগদী পল্লিতে পা মাড়ান না। আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাই তাঁদের জনসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নানা সরকারি সুবিধা থেকে তাঁরা তুলনামূলকভাবে বঞ্চিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেওয়া হচ্ছে। ১০টি পরিবার ইতিমধ্যে ঘর পেয়েছে। বাগদীরাও পর্যায়ক্রমে ঘর পাবেন। শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য প্রতিবছর বাগদীদের অনুদান দেওয়া হয়। সরকারি ত্রাণও তাঁরা পেয়ে থাকেন।
অন্ত্যজ শ্রেণির বুনো বাগদীদের নিত্যসঙ্গী অভাব-অনটন, অশিক্ষা ও দারিদ্র্য। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও বুনোদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেনি। এই বুনোরা হলো মূল বাগদীদের উপগোত্র।
জানা যায়, দেশের সমতলের ৪৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে বাগদীরা। গোপালপুর উপজেলার বুনো বাগদীদের সবাই ভূমিহীন। উপজেলার নন্দনপুর, হেমনগর, ঝাওয়াইল ও ভেঙ্গুলা গ্রামে ১০৬ ঘর বুনো বাগদীর বাস। নিজ মাতৃভাষা হারিয়ে এখন তাঁরা বাংলায় কথা বলে। বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও প্রথা হারিয়ে মিশ্র সংস্কৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছেন এই বাগদীরা।
ঝাওয়াইল গ্রামের আরতী বাগদী জানান, সাতচল্লিশ ও একাত্তরে বাগদীরা দেশছাড়া হয়। এরশাদ আমলে তাঁদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে উচ্ছেদ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো বাজারের খাসজমির বস্তিতে গাদাগাদি করে বাস করছেন। গোপালপুর পৌরশহরের নন্দনপুর মহল্লার বাগদী বস্তির প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্বাস্থ্যহানির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
ভেঙ্গুলার অনিল বাগদী জানান, ১০ বছর আগে এখানকার খাসজমিতে ২৪ বাগদী পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গবাদিপশু দেওয়া হয়। নির্মিত হয় আধা পাকা দুটি গোশালা। কিন্তু পশুসম্পদ বিভাগ ফলোআপ না দেওয়া সবক’টি গরু মড়কে মারা যায়। গৃহহীন ১০ বুনো পরিবার এখন ওই গোশালায় বাস করে।
ভেঙ্গুলার নিমাই বাগদী জানান, অভাব-অনটনে অধিকাংশ বাগদী শিশু স্কুলবিমুখ। সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয় তাঁরা। উপবৃত্তিও সবাই পায় না। তা ছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁয় মুচি ও বাগদীর জন্য কাপপিরিচ, থাল বাসন আলাদা।
ভেঙ্গুলা গ্রামের বাসিন্দা এবং বাগদী নেতা ভজনচন্দ্র জানান, জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাগদীদের ধারণা নেই। স্বাস্থ্যকর্মীরা সহজে বাগদী পল্লিতে পা মাড়ান না। আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাই তাঁদের জনসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নানা সরকারি সুবিধা থেকে তাঁরা তুলনামূলকভাবে বঞ্চিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেওয়া হচ্ছে। ১০টি পরিবার ইতিমধ্যে ঘর পেয়েছে। বাগদীরাও পর্যায়ক্রমে ঘর পাবেন। শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য প্রতিবছর বাগদীদের অনুদান দেওয়া হয়। সরকারি ত্রাণও তাঁরা পেয়ে থাকেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে