শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরে করোনা টিকা নিয়েছেন ৬৫ শতাংশ মানুষ। গণটিকার ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে নতুন করে টিকা নেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬১ জন, যা জেলার মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ। গত রোববার পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭৮ জনকে দেওয়া হয়েছে করোনা টিকার প্রথম ডোজ। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬০ জনকে। জেলায় টিকা নেওয়ার জন্য উপযুক্ত মানুষের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ জন। তবে জেলার ১০ থেকে ১২ শতাংশ মানুষ বিদেশে থাকায় টিকা না নেওয়া মানুষের সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। বাদ পড়াদের দ্রুত টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়।
এদিকে করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। যেখানে ১৮ ফেব্রুয়ারি করোনা রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার টিকা কার্যক্রমের শুরু থেকে জেলার ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে স্থায়ীভাবে টিকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিশেষ সময়ে জেলার একাধিক স্থানে ‘টিকা ক্যাম্পেইনের’ মাধ্যমে মানুষকে টিকা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও বিশেষ ক্যাম্পের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে। এ ছাড়া টিকাদানের নিয়মিত কর্মসূচি হিসেবে সরকারি হাসপাতালে টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। ইতিমধ্যে জেলা ৬৫ শতাংশ মানুষকে করোনার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। জেলার মোট জনসংখ্যার ১০ থেকে ১২ শতাংশ দেশের বাইরে থাকায় তাঁদের টিকা ব্যবস্থাপনায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। জেলায় অবস্থানরত অধিকাংশ মানুষের টিকা সম্পন্ন হওয়ায় করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে জেলায় মোট ৩৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
টিকা কর্মসূচি থেকে বাদ যাওয়া মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ভ্রাম্যমাণ টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি উপজেলায় কাজ করছেন এই টিমের সদস্যরা। তাঁরা প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টিকা দেওয়ার সামগ্রী নিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার জনবহুল হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ছুটে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ মাইক্রোবাস। টিকা দিচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ টিমের সদস্যরা। এতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের তুলনামূলক কম সচেতন মানুষকেও টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে।
জাজিরার মুলনা এলাকার ষাটোর্ধ্ব আমজাত হোসনে বলেন, ‘হাসপাতালে টিকা দিতে সারিতে অনেকক্ষণ দাঁড়ইয়া থাকতে হয়। এতে আমাগো অনেক সমস্যা হয়। তাই টিকা দিতে যাই নাই। অহন বাড়ির সামনে বাজারে ডাক্তাররা টিকা দেওনের ব্যবস্থা করায় আমরা সবাই ওই হানে গিয়া সহজে টিকা দিতে পারছি। আমার মতো অনেকেই টিকা নিছে।’
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রত্যন্ত চরাঞ্চল ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখানকার মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। প্রথম দিকে মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ খুবই কম ছিল। মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ টিম গ্রামে ঘুরে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করায় ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ভ্রাম্যমাণ এবং বয়স্ক মানুষের অধিকাংশকেই এখন টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে। জাজিরায় মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।’
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহ আল মুরাদ আজকের পত্রিকাকে জানান, শুরু থেকেই মানুষকে টিকা দিতে বিভিন্ন কার্যক্রম হতে নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী টিকা ক্যাম্পের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ টিকা ক্যাম্প পরিচালনা করায় বাদ পড়া অধিকাংশ মানুষই টিকার আওতায় চলে এসেছে। বাকি জনগোষ্ঠীকেও শিগগিরই টিকার আওতায় আনার জন্য কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পর্যাপ্ত টিকা মজুত রয়েছে। জেলায় করোনা আক্রান্তের হার ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
শরীয়তপুরে করোনা টিকা নিয়েছেন ৬৫ শতাংশ মানুষ। গণটিকার ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে নতুন করে টিকা নেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬১ জন, যা জেলার মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ। গত রোববার পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭৮ জনকে দেওয়া হয়েছে করোনা টিকার প্রথম ডোজ। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬০ জনকে। জেলায় টিকা নেওয়ার জন্য উপযুক্ত মানুষের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ জন। তবে জেলার ১০ থেকে ১২ শতাংশ মানুষ বিদেশে থাকায় টিকা না নেওয়া মানুষের সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। বাদ পড়াদের দ্রুত টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়।
এদিকে করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। যেখানে ১৮ ফেব্রুয়ারি করোনা রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার টিকা কার্যক্রমের শুরু থেকে জেলার ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে স্থায়ীভাবে টিকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিশেষ সময়ে জেলার একাধিক স্থানে ‘টিকা ক্যাম্পেইনের’ মাধ্যমে মানুষকে টিকা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও বিশেষ ক্যাম্পের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে। এ ছাড়া টিকাদানের নিয়মিত কর্মসূচি হিসেবে সরকারি হাসপাতালে টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। ইতিমধ্যে জেলা ৬৫ শতাংশ মানুষকে করোনার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। জেলার মোট জনসংখ্যার ১০ থেকে ১২ শতাংশ দেশের বাইরে থাকায় তাঁদের টিকা ব্যবস্থাপনায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। জেলায় অবস্থানরত অধিকাংশ মানুষের টিকা সম্পন্ন হওয়ায় করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে জেলায় মোট ৩৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
টিকা কর্মসূচি থেকে বাদ যাওয়া মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ভ্রাম্যমাণ টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি উপজেলায় কাজ করছেন এই টিমের সদস্যরা। তাঁরা প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টিকা দেওয়ার সামগ্রী নিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার জনবহুল হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ছুটে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ মাইক্রোবাস। টিকা দিচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ টিমের সদস্যরা। এতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের তুলনামূলক কম সচেতন মানুষকেও টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে।
জাজিরার মুলনা এলাকার ষাটোর্ধ্ব আমজাত হোসনে বলেন, ‘হাসপাতালে টিকা দিতে সারিতে অনেকক্ষণ দাঁড়ইয়া থাকতে হয়। এতে আমাগো অনেক সমস্যা হয়। তাই টিকা দিতে যাই নাই। অহন বাড়ির সামনে বাজারে ডাক্তাররা টিকা দেওনের ব্যবস্থা করায় আমরা সবাই ওই হানে গিয়া সহজে টিকা দিতে পারছি। আমার মতো অনেকেই টিকা নিছে।’
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রত্যন্ত চরাঞ্চল ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখানকার মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। প্রথম দিকে মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ খুবই কম ছিল। মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ টিম গ্রামে ঘুরে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করায় ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ভ্রাম্যমাণ এবং বয়স্ক মানুষের অধিকাংশকেই এখন টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে। জাজিরায় মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।’
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহ আল মুরাদ আজকের পত্রিকাকে জানান, শুরু থেকেই মানুষকে টিকা দিতে বিভিন্ন কার্যক্রম হতে নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী টিকা ক্যাম্পের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ টিকা ক্যাম্প পরিচালনা করায় বাদ পড়া অধিকাংশ মানুষই টিকার আওতায় চলে এসেছে। বাকি জনগোষ্ঠীকেও শিগগিরই টিকার আওতায় আনার জন্য কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পর্যাপ্ত টিকা মজুত রয়েছে। জেলায় করোনা আক্রান্তের হার ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে