আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় দেড় মাস আগের ঘটনা। ১৪ নভেম্বর ১৯৭১। তখন রমজান মাস। রোজা রেখে শ্রীপুর পঞ্চাশঘর গ্রামের মসজিদে এতেকাফে বসেছিলেন কারি এবাদ উল্লাহ। এতেকাফরত অবস্থায় ভোরে মসজিদেই তাঁকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
সেদিন গুলির শব্দ শুনে আতঙ্কে ঘুম ভাঙে গ্রামের আইয়ুব আলীর পরিবারের। ঘর থেকে পালিয়ে বাড়ির পেছনের কলাগাছ ও ধান খেতে আশ্রয় নিয়েও রেহাই মেলেনি তাঁদের। আইয়ুব আলীর ছেলে মনফর আলী তাঁর শিশুকন্যা রোকেয়াকে কোলে নিয়ে পালানোর সময় সন্তানসহ গুলিবিদ্ধ হন। বাবা-মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আইয়ুব আলীর আরেক ছেলে হরমুজ আলীর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায় পাক হানাদারের বুলেটে। শুধু কারি এবাদুল্লাহ ও আইয়ুব আলীর পরিবারই নয়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
সেই গণহত্যার স্মৃতি ধরে রাখতে শ্রীপুর গ্রামে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে শ্রীপুর বধ্যভূমি স্মৃতিফলক। মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক বজলুল মজিদ খসরুর ‘রক্তাক্ত একাত্তর’ বইয়ে এবং হাসান মোরশেদের ‘১৯৭১ আর্কাইভ’-এ শ্রীপুর গণহত্যার তথ্য উঠে এসেছে।
জানা যায়, পশ্চিমের দেখার হাওর ও উত্তরে সুরমা নদীবেষ্টিত এই শ্রীপুর গ্রামটি ছিল বাঁশতলা সাব-সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের হাইড আউট। বাঁশতলা থেকে সুরমা নদী পেরিয়ে এই গ্রামে এসে মুক্তিযোদ্ধারা দক্ষিণে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে বিভিন্ন অপারেশন চালাতেন। গ্রামের মানুষ সানন্দে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও খাদ্যের ব্যবস্থা করতেন। দালালদের মাধ্যমে এ খবর পাওয়ায় গ্রামটি পাকিস্তানি বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়।
ছাতকের কৈতক হাসপাতালের ঘাঁটি থেকে পাকিস্তানি বাহিনী ভোরে শুরু করে গ্রামের ওপর শেলিং। আর পূর্ব দিকে ছাতক থেকে সুরমা নদী ধরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এসে আক্রমণ করে শ্রীপুর গ্রামের সাধারণ মানুষের ওপর। পঞ্চাশঘর, আফসরনগর, শ্রীপুর ও পলির চর এই চার মহল্লার মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পাশাপাশি বাড়িঘর, দোকানে আগুন দেয়। পঞ্চাশঘর মহল্লায় একটি ঘরে ১৫-২০ জন হিন্দু ও মুসলমান নারীকে বন্দী করে ধর্ষণ শেষে আগুন লাগিয়ে দেয়।
শ্রীপুর গ্রামের পঞ্চাশঘর মহল্লায় দেখা হয় গণহত্যায় শহীদ হওয়া পরিবারের সন্তান খুরশিদ আলী, শুক্কুর আলী ও খলিলুর রহমান সঙ্গে। সেই হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচারণা করে তাঁরা বলেন, ‘ভয়ে সেদিন গ্রামে কোনো মানুষ ছিল না। গ্রামের চারজন মিলে নিজেরাই জানাজা দিয়ে সব লাশ দাফন করি। গ্রামের একটা ঘরও অক্ষত থাকেনি। সব ঘর আগুনে জ্বালিয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনারা। যাকে সামনে পেয়েছিল, তাকেই গুলি করে হত্যা করে।’
দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় দেড় মাস আগের ঘটনা। ১৪ নভেম্বর ১৯৭১। তখন রমজান মাস। রোজা রেখে শ্রীপুর পঞ্চাশঘর গ্রামের মসজিদে এতেকাফে বসেছিলেন কারি এবাদ উল্লাহ। এতেকাফরত অবস্থায় ভোরে মসজিদেই তাঁকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
সেদিন গুলির শব্দ শুনে আতঙ্কে ঘুম ভাঙে গ্রামের আইয়ুব আলীর পরিবারের। ঘর থেকে পালিয়ে বাড়ির পেছনের কলাগাছ ও ধান খেতে আশ্রয় নিয়েও রেহাই মেলেনি তাঁদের। আইয়ুব আলীর ছেলে মনফর আলী তাঁর শিশুকন্যা রোকেয়াকে কোলে নিয়ে পালানোর সময় সন্তানসহ গুলিবিদ্ধ হন। বাবা-মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আইয়ুব আলীর আরেক ছেলে হরমুজ আলীর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায় পাক হানাদারের বুলেটে। শুধু কারি এবাদুল্লাহ ও আইয়ুব আলীর পরিবারই নয়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
সেই গণহত্যার স্মৃতি ধরে রাখতে শ্রীপুর গ্রামে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে শ্রীপুর বধ্যভূমি স্মৃতিফলক। মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক বজলুল মজিদ খসরুর ‘রক্তাক্ত একাত্তর’ বইয়ে এবং হাসান মোরশেদের ‘১৯৭১ আর্কাইভ’-এ শ্রীপুর গণহত্যার তথ্য উঠে এসেছে।
জানা যায়, পশ্চিমের দেখার হাওর ও উত্তরে সুরমা নদীবেষ্টিত এই শ্রীপুর গ্রামটি ছিল বাঁশতলা সাব-সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের হাইড আউট। বাঁশতলা থেকে সুরমা নদী পেরিয়ে এই গ্রামে এসে মুক্তিযোদ্ধারা দক্ষিণে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে বিভিন্ন অপারেশন চালাতেন। গ্রামের মানুষ সানন্দে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও খাদ্যের ব্যবস্থা করতেন। দালালদের মাধ্যমে এ খবর পাওয়ায় গ্রামটি পাকিস্তানি বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়।
ছাতকের কৈতক হাসপাতালের ঘাঁটি থেকে পাকিস্তানি বাহিনী ভোরে শুরু করে গ্রামের ওপর শেলিং। আর পূর্ব দিকে ছাতক থেকে সুরমা নদী ধরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এসে আক্রমণ করে শ্রীপুর গ্রামের সাধারণ মানুষের ওপর। পঞ্চাশঘর, আফসরনগর, শ্রীপুর ও পলির চর এই চার মহল্লার মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পাশাপাশি বাড়িঘর, দোকানে আগুন দেয়। পঞ্চাশঘর মহল্লায় একটি ঘরে ১৫-২০ জন হিন্দু ও মুসলমান নারীকে বন্দী করে ধর্ষণ শেষে আগুন লাগিয়ে দেয়।
শ্রীপুর গ্রামের পঞ্চাশঘর মহল্লায় দেখা হয় গণহত্যায় শহীদ হওয়া পরিবারের সন্তান খুরশিদ আলী, শুক্কুর আলী ও খলিলুর রহমান সঙ্গে। সেই হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচারণা করে তাঁরা বলেন, ‘ভয়ে সেদিন গ্রামে কোনো মানুষ ছিল না। গ্রামের চারজন মিলে নিজেরাই জানাজা দিয়ে সব লাশ দাফন করি। গ্রামের একটা ঘরও অক্ষত থাকেনি। সব ঘর আগুনে জ্বালিয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনারা। যাকে সামনে পেয়েছিল, তাকেই গুলি করে হত্যা করে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে