ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ডিজেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে ফসল আবাদের খরচ। এতে আমন মৌসুমে ধান রোপণের শুরুতেই বাড়তি খরচের বোঝা চেপেছে কৃষকের কাঁধে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, শ্রাবণের শেষের দিকে এসেও জমিতে সেচ দিয়ে অনেকে ধানের চারা রোপণ করছেন। কেউ কেউ রোপণ শেষ করলেও শুকিয়ে যাওয়া জমিতে বাড়তি খরচ করে সেচ দিচ্ছেন।
উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম গ্ৰামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পানির অভাবে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে হচ্ছে। কৃষিশ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও মজুরি চড়া। প্রতি বিঘা জমিতে চারা রোপণের জন্য শ্রমিকদের দেড় হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পাওয়ারটিলার মালিকেরা জমি চাষের টাকা বেশি নিচ্ছেন। এবারে প্রতি বিঘা জমিতে চারা রোপণ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে।’
পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামের কৃষক মোকছেদুল হক বলেন, ‘পরিবারের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করছি। বৃষ্টি নাই। জমিতে হালচাষে খরচ বেশি। শ্রমিকেরা মজুরি বেশি টাকা চাচ্ছে। তাই নিজের জমিতে নিজেই চারা রোপণ করছি।’
চন্দ্রখানা গ্রামের বাদশা সরকার বলেন, ‘আমি এবার তিন বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদ করেছি। বৃষ্টির অভাবে খেতে নিয়মিত সেচ দিতে হচ্ছে। খেতের অবস্থা আপাতত ভালো। দু-এক দিনের মধ্যে জমিতে সার ও নিড়ানি দিতে হবে। শ্রমিক খরচ ও সারেরও দাম বেশি। এভাবে বেশি টাকা ব্যয় করে চাষাবাদ করলে লোকসান হতে পারে।’
উপজেলার শাহবাজার এলাকার পাওয়ারটিলার মালিক শাহ জালাল মিয়া ও বাদল সরকার বলেন, ‘বর্তমানে পাওয়ারটিলারের সব ধরনের যন্ত্রপাতির দাম বেড়েছে। তেল-মবিলের দামও অনেক বেশি। পাওয়ারটিলার চালকদের বেশি মজুরি দেওয়া লাগে। খুব খাটাখাটুনি করেও আমরা লাভের মুখ দেখতে পারি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, অনাবৃষ্টির কারণে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করায় কৃষকদের বাড়তি খরচ হচ্ছে। তবে সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, সুষম মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করলে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে খেতের ফসল উৎপাদন করলে খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস বলেন, ‘আমন মৌসুমে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। চাষাবাদের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিলারদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। পাশাপাশি বাজার তদারকি করা হচ্ছে।’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ডিজেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে ফসল আবাদের খরচ। এতে আমন মৌসুমে ধান রোপণের শুরুতেই বাড়তি খরচের বোঝা চেপেছে কৃষকের কাঁধে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, শ্রাবণের শেষের দিকে এসেও জমিতে সেচ দিয়ে অনেকে ধানের চারা রোপণ করছেন। কেউ কেউ রোপণ শেষ করলেও শুকিয়ে যাওয়া জমিতে বাড়তি খরচ করে সেচ দিচ্ছেন।
উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম গ্ৰামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পানির অভাবে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে হচ্ছে। কৃষিশ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও মজুরি চড়া। প্রতি বিঘা জমিতে চারা রোপণের জন্য শ্রমিকদের দেড় হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পাওয়ারটিলার মালিকেরা জমি চাষের টাকা বেশি নিচ্ছেন। এবারে প্রতি বিঘা জমিতে চারা রোপণ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে।’
পশ্চিম ধনিরাম গ্ৰামের কৃষক মোকছেদুল হক বলেন, ‘পরিবারের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করছি। বৃষ্টি নাই। জমিতে হালচাষে খরচ বেশি। শ্রমিকেরা মজুরি বেশি টাকা চাচ্ছে। তাই নিজের জমিতে নিজেই চারা রোপণ করছি।’
চন্দ্রখানা গ্রামের বাদশা সরকার বলেন, ‘আমি এবার তিন বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদ করেছি। বৃষ্টির অভাবে খেতে নিয়মিত সেচ দিতে হচ্ছে। খেতের অবস্থা আপাতত ভালো। দু-এক দিনের মধ্যে জমিতে সার ও নিড়ানি দিতে হবে। শ্রমিক খরচ ও সারেরও দাম বেশি। এভাবে বেশি টাকা ব্যয় করে চাষাবাদ করলে লোকসান হতে পারে।’
উপজেলার শাহবাজার এলাকার পাওয়ারটিলার মালিক শাহ জালাল মিয়া ও বাদল সরকার বলেন, ‘বর্তমানে পাওয়ারটিলারের সব ধরনের যন্ত্রপাতির দাম বেড়েছে। তেল-মবিলের দামও অনেক বেশি। পাওয়ারটিলার চালকদের বেশি মজুরি দেওয়া লাগে। খুব খাটাখাটুনি করেও আমরা লাভের মুখ দেখতে পারি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, অনাবৃষ্টির কারণে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করায় কৃষকদের বাড়তি খরচ হচ্ছে। তবে সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, সুষম মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করলে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে খেতের ফসল উৎপাদন করলে খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস বলেন, ‘আমন মৌসুমে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। চাষাবাদের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিলারদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। পাশাপাশি বাজার তদারকি করা হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ মিনিট আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে