বৃষ্টি হলেই স্কুল মাঠে হাঁটুপানি

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২২, ০৭: ০২
আপডেট : ০৯ জুন ২০২২, ১৫: ৫০

বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় বিদ্যালয়ের মাঠ। হাঁটু পরিমাণ পানি জমে মাঠে। অনেক সময় পানিতে পড়ে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ও পোশাক নষ্ট হয়। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে পুকুরের মতো হয়ে গেছে চরশৌলমারী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ। এক হাতে বই অন্য হাতে জুতা নিয়ে ঝুঁকিতে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেবেকা খাতুন বলে, ‘আপনারা শুধু ছবি তোলেন, আমাদের সমস্যার সমাধান তো হয় না। সামান্য বৃষ্টি হলে চরশৌলমারী হাটের পানি এসে বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু পর্যন্ত জমা হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ কারণে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমরা বর্ষাকালে ভোগান্তিতে আছি। এর কি কোনো সমাধান নাই?’

৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী হনুফা বেগম বলে, ‘হাঁটুপানিতে পা পিছলে পড়ে অনেক সময় আমাদের বই-খাতা, পরনের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। ওই দিন আর ক্লাস করা হয় না।’ একই কথা বলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণির রুপা খাতুন, স্বাধীন মিয়া, দশম শ্রেণির রেহেনা খাতুন, রবিউল ইসলাম, রানা মিয়া।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহির উদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনেকবার বলেছি, তাঁরা কোনো কর্ণপাত করছেন না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা করলেই এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পেত কমলমতি শিক্ষার্থীরা।’

প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ‘৮ জুন সকালে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা হয়েছে। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে আগামীকাল থেকে প্রাথমিকভাবে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে বলে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে স্থায়ীভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলমকে অবগত করেছি। ওনারা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে মোটা পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন।’

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত