মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ
চলাচলের সরু রাস্তাটির এক পাশে কাঁটা এবং অন্য পাশে গোবর ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। এতে রাতে তো দূরের কথা, দিনেও চলাচল করা দুষ্কর। থাকার জন্য ঘর পেলেও চলাচলের জন্য এভাবে কষ্ট করতে হয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সদস্যদের। শুধু তা-ই নয়, সরকারিভাবে একটি নলকূপ স্থাপন করে দেওয়া হলেও সেটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন। এমন দুর্ভোগ সহ্য করতে না পেরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা চারটি পরিবারের মধ্যে দুটি ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামে একসঙ্গে আশ্রয়ণ প্রকল্পের চারটি ঘর নির্মাণ করা হয়। এরপর এ প্রকল্পে বসবাসকারীদের চলাচলের জন্য ৬ ফুট রাস্তা ও চারটি পরিবারের জন্য একটি নলকূপও স্থাপন করা হয়। কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের অভিযোগ, পাশের জমির মালিক আব্দুর রাজ্জাক সেই ৬ ফুট রাস্তার সাড়ে ৪ ফুটই বন্ধ করে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। ওই দেড় ফুটেরও কোথাও কাঁটা বিছিয়ে আবার কোথাও গোবর ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।
তবে মো. আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, ‘যে জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, ওইটা আমি ১৪ বছর আগে প্রতিবেশী মো. হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে কিনেছি। আমার কাছে ওই জমির দলিলও আছে। দলিল দেখালেও সরকারের লোকজন তা জোর করে দখলে নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে।’
রাজ্জাক আরও বলেন, ‘জমিটা হাবিবুরের বাবা রজব আলীর নামে বিআরএস রেকর্ড। রজব আলী মারা গেলে তাঁর ছেলে হাবিবুর পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে আমার কাছে সেটা বিক্রি করেন।’ কাগজপত্রের সঠিক যাচাই-বাছাই করে তাঁকে তাঁর জমি ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
অন্যদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী মোছা. রহিমা ও ঝরনা খাতুন বলেন, ‘আমরা সরকারি একটা ঘর পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু ঘর থেকে বেরিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা নেই। যেটুকু আছে সেখানে কোথাও কাঁটা বিছিয়ে আবার কোথাও গোবর ছিটিয়ে রাখা হয়। যেন আমাদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।’
রহিমা আরও জানান, এ ছাড়া সরকার যে টিউবওয়েলটি দিয়েছিল, দীর্ঘদিন ধরে সেটা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এখন গোসলসহ দৈনন্দিন কাজের জন্য মানুষের বাড়ি থেকে পানি আনতে হয়। এই দুর্ভোগ সহ্য করতে না পেরে দুটি ঘরের বাসিন্দারা আশ্রয়ণ প্রকল্প ছেড়ে চলে গেছেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ছেড়ে যাওয়া আরতী রানী চন্দ্র সূত্রধর ও তাঁর স্বামী কাজল চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘একে তো চলাচলের রাস্তার সমস্যা, অন্যদিকে পানির। আমরা দুজন বুড়ো-বুড়ি, মানুষের বাড়ি থেকে পানি আনতে কষ্ট হয়ে যায়। পরে বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে এখন জামাতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘টিউবওয়েলের বিষয়টি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মেরামত করে দেবে। এ ছাড়া বাকি সমস্যাগুলো আমরা সমাধান করে দেব।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কায়সার তালুকদার বলেন, ‘যখন ওই এলাকায় কাজ করা হয়েছিল, তখন ওই পানির সংকট থাকায় ভালোভাবে কাজ করা যায়নি। এখন নতুন করে আবার টিউবওয়েল করে দেওয়া হবে।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে চলাচলের রাস্তাটি দ্রুত সার্ভেয়ার পাঠিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে নির্ধারিত রাস্তা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া অন্য সমস্যাগুলোও সমাধান করে দেওয়া হবে। আর যিনি এই জমির মালিকানার দাবি করছেন, তাঁকে তাঁর জমির কাগজপত্রসহ ডেকে পাঠানো হবে। তাঁর কাগজপত্র সঠিক থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলাচলের সরু রাস্তাটির এক পাশে কাঁটা এবং অন্য পাশে গোবর ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। এতে রাতে তো দূরের কথা, দিনেও চলাচল করা দুষ্কর। থাকার জন্য ঘর পেলেও চলাচলের জন্য এভাবে কষ্ট করতে হয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সদস্যদের। শুধু তা-ই নয়, সরকারিভাবে একটি নলকূপ স্থাপন করে দেওয়া হলেও সেটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন। এমন দুর্ভোগ সহ্য করতে না পেরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা চারটি পরিবারের মধ্যে দুটি ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামে একসঙ্গে আশ্রয়ণ প্রকল্পের চারটি ঘর নির্মাণ করা হয়। এরপর এ প্রকল্পে বসবাসকারীদের চলাচলের জন্য ৬ ফুট রাস্তা ও চারটি পরিবারের জন্য একটি নলকূপও স্থাপন করা হয়। কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের অভিযোগ, পাশের জমির মালিক আব্দুর রাজ্জাক সেই ৬ ফুট রাস্তার সাড়ে ৪ ফুটই বন্ধ করে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। ওই দেড় ফুটেরও কোথাও কাঁটা বিছিয়ে আবার কোথাও গোবর ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।
তবে মো. আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, ‘যে জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, ওইটা আমি ১৪ বছর আগে প্রতিবেশী মো. হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে কিনেছি। আমার কাছে ওই জমির দলিলও আছে। দলিল দেখালেও সরকারের লোকজন তা জোর করে দখলে নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে।’
রাজ্জাক আরও বলেন, ‘জমিটা হাবিবুরের বাবা রজব আলীর নামে বিআরএস রেকর্ড। রজব আলী মারা গেলে তাঁর ছেলে হাবিবুর পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে আমার কাছে সেটা বিক্রি করেন।’ কাগজপত্রের সঠিক যাচাই-বাছাই করে তাঁকে তাঁর জমি ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
অন্যদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী মোছা. রহিমা ও ঝরনা খাতুন বলেন, ‘আমরা সরকারি একটা ঘর পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু ঘর থেকে বেরিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা নেই। যেটুকু আছে সেখানে কোথাও কাঁটা বিছিয়ে আবার কোথাও গোবর ছিটিয়ে রাখা হয়। যেন আমাদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।’
রহিমা আরও জানান, এ ছাড়া সরকার যে টিউবওয়েলটি দিয়েছিল, দীর্ঘদিন ধরে সেটা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এখন গোসলসহ দৈনন্দিন কাজের জন্য মানুষের বাড়ি থেকে পানি আনতে হয়। এই দুর্ভোগ সহ্য করতে না পেরে দুটি ঘরের বাসিন্দারা আশ্রয়ণ প্রকল্প ছেড়ে চলে গেছেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ছেড়ে যাওয়া আরতী রানী চন্দ্র সূত্রধর ও তাঁর স্বামী কাজল চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘একে তো চলাচলের রাস্তার সমস্যা, অন্যদিকে পানির। আমরা দুজন বুড়ো-বুড়ি, মানুষের বাড়ি থেকে পানি আনতে কষ্ট হয়ে যায়। পরে বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে এখন জামাতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘টিউবওয়েলের বিষয়টি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মেরামত করে দেবে। এ ছাড়া বাকি সমস্যাগুলো আমরা সমাধান করে দেব।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কায়সার তালুকদার বলেন, ‘যখন ওই এলাকায় কাজ করা হয়েছিল, তখন ওই পানির সংকট থাকায় ভালোভাবে কাজ করা যায়নি। এখন নতুন করে আবার টিউবওয়েল করে দেওয়া হবে।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে চলাচলের রাস্তাটি দ্রুত সার্ভেয়ার পাঠিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে নির্ধারিত রাস্তা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া অন্য সমস্যাগুলোও সমাধান করে দেওয়া হবে। আর যিনি এই জমির মালিকানার দাবি করছেন, তাঁকে তাঁর জমির কাগজপত্রসহ ডেকে পাঠানো হবে। তাঁর কাগজপত্র সঠিক থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে