সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে অগ্রভাগে থাকা পোলট্রিশিল্পের প্রান্তিক খামারিদের দিন ভালো যাচ্ছে না। দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ভালো নেই খামারিরা।
মুরগির বাচ্চা, খাদ্য ও ওষুধের দাম দফায় দফায় বাড়ার কারণে পোলট্রিশিল্পের প্রান্তিক খামারিরা বিপাকে আছেন। খামারিদের অভিযোগ, পোলট্রি খাতের নিয়ন্ত্রণ এখন দেশের বড় শিল্পগোষ্ঠীর হাতে। খামার পরিচালন ব্যয় আর আয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে না পারার কারণে অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন।
গত দুই বছরে মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণ। বিয়ে ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে বাচ্চা উৎপাদনে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে দেয় দুই থেকে তিন গুণ।
পাবনার চাটমোহরের খামারি মোহা. রেজাউল হক রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এই পোলট্রিশিল্পে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বাচ্চা, খাদ্য ও ওষুধের দামের কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। আমরা জানি না কখন কী হবে। সব সময় একটা অনিশ্চয়তা কাজ করে।’
রেজাউল হক আরও বলেন, ‘করোনার অভিঘাতে পোলট্রিশিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক খামারি এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। আমরা এখনো করোনার অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারি নাই। আমাদের শিল্পে সিন্ডিকেটও একটি বড় সমস্যা। সিন্ডিকেট চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে বড় শিল্পগোষ্ঠী। তারাই এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।’
পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, পোলট্রিশিল্প নিয়ন্ত্রণে দেশে ১০ থেকে ১২টি বড় কোম্পানির একটি চক্র গড়ে উঠেছে। তারা দেশের প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করে দিতে চাইছে। এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছে কাজী ফার্মস, প্যারাগন, সিপি, নারিশ, ৭১, আফিল, সাগুনাসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
আশির দশক থেকে বিকশিত হতে থাকা এই পোলট্রিশিল্পের বিনিয়োগ এখন প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। ৬০ লাখ লোক এ খাতে জড়িত। যার মধ্যে প্রায় ৪০% নারী।
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) তথ্যে জানা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
জিডিপিতে পোলট্রি খাতের অবদান প্রায় ১ দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০৫০ সাল নাগাদ ডিমের চাহিদা বাড়বে ৯০ শতাংশ এবং মাংসের চাহিদা বাড়বে ১৭০ শতাংশ। বিপিআইসিসি আরও জানায়, সারা দেশে বর্তমানে প্রায় ৬৫-৭০ হাজার ছোট-বড় খামার আছে।
বিপিআইসিসির মতে, করোনার অভিঘাত সত্ত্বেও পোলট্রিশিল্প ২০২০ ও ২০২১ সালে সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি মাংস উৎপাদন করেছে। ২০১৯ সালে পোলট্রিশিল্প মাংসের জোগান দেয় ৫ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৬ সালে ছিল ৫ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৭ সালে ৫ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০১৮ সালে ছিল ৫ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন।
খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুরগির খাদ্য সরবরাহকারীদের সঙ্গে খামারির চুক্তি না থাকলে এক বস্তা মুরগির খাবার কিনতে খামারিকে গুনতে হয় ৩ হাজার ৩০০ টাকা। কিন্তু কোনো খামারি বড় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করলে ওই বস্তা পাওয়া যায় আড়াই হাজার টাকায়। খাবার সরবরাহ করে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো খামারিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া বা দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারমূল্যের বিস্তর পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে তাদের ভালো মুনাফা হলেও ব্যাংক থেকে চড়া সুদে বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করেও লোকসান গুনতে হয় অনেক সময়।
কারওয়ান বাজারে অবস্থিত সততা মুরগির পাইকারি ও খুচরা দোকানের মালিক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন দিবি করেন, ‘আমরা মুরগির কেজিতে সর্বোচ্চ ৫ টাকা লাভ করে থাকি। মুরগি পরিবহন করার সময় গরমের কারণে অনেক সময় কিছু মুরগি মারা যায়। এই সব মিলিয়ে আমাদের হাতে তেমন লাভ থাকে না। এই ব্যবসায় লাভ করে মিডিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীরা।’
খামারি পর্যায়ে মুরগির দাম কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা মুরগি কিনি সিন্ডিকেটের কাছে থেকে। খামার পর্যায়ে দাম জানার সুযোগ আমাদের নেই।’
প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে অগ্রভাগে থাকা পোলট্রিশিল্পের প্রান্তিক খামারিদের দিন ভালো যাচ্ছে না। দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ভালো নেই খামারিরা।
মুরগির বাচ্চা, খাদ্য ও ওষুধের দাম দফায় দফায় বাড়ার কারণে পোলট্রিশিল্পের প্রান্তিক খামারিরা বিপাকে আছেন। খামারিদের অভিযোগ, পোলট্রি খাতের নিয়ন্ত্রণ এখন দেশের বড় শিল্পগোষ্ঠীর হাতে। খামার পরিচালন ব্যয় আর আয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে না পারার কারণে অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন।
গত দুই বছরে মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণ। বিয়ে ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে বাচ্চা উৎপাদনে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে দেয় দুই থেকে তিন গুণ।
পাবনার চাটমোহরের খামারি মোহা. রেজাউল হক রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এই পোলট্রিশিল্পে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বাচ্চা, খাদ্য ও ওষুধের দামের কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। আমরা জানি না কখন কী হবে। সব সময় একটা অনিশ্চয়তা কাজ করে।’
রেজাউল হক আরও বলেন, ‘করোনার অভিঘাতে পোলট্রিশিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক খামারি এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। আমরা এখনো করোনার অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারি নাই। আমাদের শিল্পে সিন্ডিকেটও একটি বড় সমস্যা। সিন্ডিকেট চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে বড় শিল্পগোষ্ঠী। তারাই এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।’
পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, পোলট্রিশিল্প নিয়ন্ত্রণে দেশে ১০ থেকে ১২টি বড় কোম্পানির একটি চক্র গড়ে উঠেছে। তারা দেশের প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করে দিতে চাইছে। এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছে কাজী ফার্মস, প্যারাগন, সিপি, নারিশ, ৭১, আফিল, সাগুনাসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
আশির দশক থেকে বিকশিত হতে থাকা এই পোলট্রিশিল্পের বিনিয়োগ এখন প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। ৬০ লাখ লোক এ খাতে জড়িত। যার মধ্যে প্রায় ৪০% নারী।
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) তথ্যে জানা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
জিডিপিতে পোলট্রি খাতের অবদান প্রায় ১ দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০৫০ সাল নাগাদ ডিমের চাহিদা বাড়বে ৯০ শতাংশ এবং মাংসের চাহিদা বাড়বে ১৭০ শতাংশ। বিপিআইসিসি আরও জানায়, সারা দেশে বর্তমানে প্রায় ৬৫-৭০ হাজার ছোট-বড় খামার আছে।
বিপিআইসিসির মতে, করোনার অভিঘাত সত্ত্বেও পোলট্রিশিল্প ২০২০ ও ২০২১ সালে সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি মাংস উৎপাদন করেছে। ২০১৯ সালে পোলট্রিশিল্প মাংসের জোগান দেয় ৫ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৬ সালে ছিল ৫ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৭ সালে ৫ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০১৮ সালে ছিল ৫ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন।
খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুরগির খাদ্য সরবরাহকারীদের সঙ্গে খামারির চুক্তি না থাকলে এক বস্তা মুরগির খাবার কিনতে খামারিকে গুনতে হয় ৩ হাজার ৩০০ টাকা। কিন্তু কোনো খামারি বড় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করলে ওই বস্তা পাওয়া যায় আড়াই হাজার টাকায়। খাবার সরবরাহ করে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো খামারিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া বা দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারমূল্যের বিস্তর পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে তাদের ভালো মুনাফা হলেও ব্যাংক থেকে চড়া সুদে বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করেও লোকসান গুনতে হয় অনেক সময়।
কারওয়ান বাজারে অবস্থিত সততা মুরগির পাইকারি ও খুচরা দোকানের মালিক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন দিবি করেন, ‘আমরা মুরগির কেজিতে সর্বোচ্চ ৫ টাকা লাভ করে থাকি। মুরগি পরিবহন করার সময় গরমের কারণে অনেক সময় কিছু মুরগি মারা যায়। এই সব মিলিয়ে আমাদের হাতে তেমন লাভ থাকে না। এই ব্যবসায় লাভ করে মিডিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীরা।’
খামারি পর্যায়ে মুরগির দাম কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা মুরগি কিনি সিন্ডিকেটের কাছে থেকে। খামার পর্যায়ে দাম জানার সুযোগ আমাদের নেই।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে