আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর
ঘিওরে দীর্ঘ ২২ বছর দড়িতে বাঁধা জীবন কাটছে ৩৪ বছরের এক যুবকের। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবকের নাম হাবিবুর রহমান হাবু। তিনি ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের পয়লা গ্রামের দিনমজুর মঞ্জুর আলীর ছেলে।
তাঁর চিকিৎসায় ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। করতে হয়েছে ধারদেনা। এখন আর সামর্থ্য নেই তাঁর পরিবারের। এ অবস্থায় সরকারি ও দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তায় চিকিৎসা করানোর আবেদন জানিয়েছেন তাঁর পরিবার।
হাবুর বাবা মো. মঞ্জুর আলী একজন দরিদ্র দিনমজুর। বয়সের ভারে আর অসুখ-বিসুখে এখন কর্মহীন। মা সামেলা বেগমও নানা অসুখে ভুগছেন। তাঁদের একমাত্র ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। কথাও বলতে পারে না। চোখের আড়াল হলেই অন্যদিকে চলে যায়। তাই বাধ্য হয়েই একমাত্র ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন মা সামেলা বেগম।
হাবুর মা সামেলা বেগম বলেন, প্রায় বিশ-বাইশ বছর ধরে হাবুকে বেঁধে রেখেছি। একবার হারিয়ে যায় প্রায় পনেরো দিন পর খুঁজে পাই হাবুকে। এরপর থেকে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে নিরুপায় হয়ে ছেলেকে বেঁধে রাখি। হাবুকে ছেড়ে দিলে পথচারীদের ধাক্কা দেবে, এতে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার ভয়ে বেঁধে রেখেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে আল্লাহ যেন আমার ছেলেটা নিয়ে যান। আমি মরে গেলে ওরে দেখার মতো এই দুনিয়ার কেউ নেই।’
সামেলা বেগম আরও বলেন, ‘জন্মের পর থেকে হাবু কিছুটা অস্বাভাবিক আচার-আচরণ করত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাগলামি আরও বেড়ে যায়। তার চিকিৎসায় জমিজমা বিক্রি করে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। অনেক টাকা-পয়সা খরচ হয়েছে। আমি এখন অন্যের বাসায় কাজ করি। হাবু যে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়, তা চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট নয়। সরকারিভাবে সহযোগিতা পাওয়া গেলে হাবুর উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হতো।’
প্রতিবেশী মো. শহীদ মিয়া বলেন, ‘পরিবারটি দরিদ্র ও অসহায়। অভাবের সংসার ছেলেটাকে নিয়ে ওর মা বাবা খুব কষ্টে আছেন।’
১ নম্বর পয়লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরেই হাবুর নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। পরিষদ থেকে সবধরনের সুযোগ-সুবিধাও দিয়েথাকি তাঁকে।’
ঘিওর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘আমি নিজেহাবুর বাড়িতে গিয়ে সর্বশেষ অবস্থা জেনে তাঁর পরিবারের সঙ্গেকথা বলে উন্নত চিকিৎসার চেষ্টা করব। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।’
ঘিওরে দীর্ঘ ২২ বছর দড়িতে বাঁধা জীবন কাটছে ৩৪ বছরের এক যুবকের। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবকের নাম হাবিবুর রহমান হাবু। তিনি ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের পয়লা গ্রামের দিনমজুর মঞ্জুর আলীর ছেলে।
তাঁর চিকিৎসায় ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। করতে হয়েছে ধারদেনা। এখন আর সামর্থ্য নেই তাঁর পরিবারের। এ অবস্থায় সরকারি ও দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তায় চিকিৎসা করানোর আবেদন জানিয়েছেন তাঁর পরিবার।
হাবুর বাবা মো. মঞ্জুর আলী একজন দরিদ্র দিনমজুর। বয়সের ভারে আর অসুখ-বিসুখে এখন কর্মহীন। মা সামেলা বেগমও নানা অসুখে ভুগছেন। তাঁদের একমাত্র ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। কথাও বলতে পারে না। চোখের আড়াল হলেই অন্যদিকে চলে যায়। তাই বাধ্য হয়েই একমাত্র ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন মা সামেলা বেগম।
হাবুর মা সামেলা বেগম বলেন, প্রায় বিশ-বাইশ বছর ধরে হাবুকে বেঁধে রেখেছি। একবার হারিয়ে যায় প্রায় পনেরো দিন পর খুঁজে পাই হাবুকে। এরপর থেকে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে নিরুপায় হয়ে ছেলেকে বেঁধে রাখি। হাবুকে ছেড়ে দিলে পথচারীদের ধাক্কা দেবে, এতে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার ভয়ে বেঁধে রেখেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে আল্লাহ যেন আমার ছেলেটা নিয়ে যান। আমি মরে গেলে ওরে দেখার মতো এই দুনিয়ার কেউ নেই।’
সামেলা বেগম আরও বলেন, ‘জন্মের পর থেকে হাবু কিছুটা অস্বাভাবিক আচার-আচরণ করত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাগলামি আরও বেড়ে যায়। তার চিকিৎসায় জমিজমা বিক্রি করে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। অনেক টাকা-পয়সা খরচ হয়েছে। আমি এখন অন্যের বাসায় কাজ করি। হাবু যে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়, তা চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট নয়। সরকারিভাবে সহযোগিতা পাওয়া গেলে হাবুর উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হতো।’
প্রতিবেশী মো. শহীদ মিয়া বলেন, ‘পরিবারটি দরিদ্র ও অসহায়। অভাবের সংসার ছেলেটাকে নিয়ে ওর মা বাবা খুব কষ্টে আছেন।’
১ নম্বর পয়লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরেই হাবুর নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। পরিষদ থেকে সবধরনের সুযোগ-সুবিধাও দিয়েথাকি তাঁকে।’
ঘিওর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘আমি নিজেহাবুর বাড়িতে গিয়ে সর্বশেষ অবস্থা জেনে তাঁর পরিবারের সঙ্গেকথা বলে উন্নত চিকিৎসার চেষ্টা করব। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪