রুবায়েত হোসেন, খুবি
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সয়াবিনের উপযুক্ত জাত নির্বাচনের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) রিসার্চ সেলের অর্থায়নে সম্প্রতি একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ততা প্রবণ পতিত জমির জন্য অন্যান্য জাতের তুলনায় বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত বিনা সয়াবিন-২ জাতটিই সবচেয়ে আদর্শ জাত।
গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মতিউল ইসলাম ও একই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী বর্ণালি সাহা। এ ছাড়া একই ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক জয়ন্তী রায় গবেষণায় সহযোগিতা করেন। উক্ত গবেষণায় বারি ও বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত সয়াবিনের ১০টি জাত নিয়ে কাজ করা হয়।
গবেষক ড. মো. মতিউল ইসলাম জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও ডুমুরিয়া উপজেলায় পরিচালিত মাঠ গবেষণায় দেখা যায় বিনা সয়াবিন-২ জাতটি অধিক ফলনশীল, লবণাক্ততা সহনশীল, রোগবালাই প্রতিরোধী ও স্বল্পমেয়াদি। তাই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ত জমির ব্যবহার এবং ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এটি একটি আদর্শ জাত।
তিনি আরও জানান, এ জাতটি হলুদ মোজাইক ভাইরাস প্রতিরোধী ও ১২ ডিএস এম-১ মাত্রা পর্যন্ত লবণাক্ততা সহনশীল এবং কম উর্বর ও লবণাক্ত বেলে দো-আঁশ হতে এঁটেল দো-আঁশ মাটিতেও চাষের উপযোগী। রবি মৌসুমে পৌষের প্রথম থেকে মধ্য মাঘ এবং খরিপ-২ মৌসুমে শ্রাবণের প্রথম থেকে ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত এটি রোপণের উপযুক্ত সময়।
গবেষণার জন্য চাষ করতে গিয়ে দেখা গেছে, সয়াবিনে মাকড়সার আক্রমণ বেশি থাকে এবং মাটিতে অবস্থানকারী কিছু ছত্রাকের কারণে গোড়াপচা রোগ দেখা যায়। তবে এতে খুব বেশি প্রভাব পড়ে না। সয়াবিনের বিছা পোকা দমনের জন্য আক্রান্ত পাতা দেখে পোকাসহ তুলে মেরে ফেলতে হবে। তবে আক্রমণ বেশি হলে সেভিন ৮৫ এসপি ৩৪ গ্রাম পাউডার প্রতি ১০ লিটার পানিতে অথবা অ্যাডভান্টেজ ২০ এসসি ৩০ মিলিলিটার প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত জমিতে স্প্রে করতে হবে।
অধ্যাপক মো. মতিউল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া সয়াবিন চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হলেও কৃষকদের এ ব্যাপারে জ্ঞানের স্বল্পতা থাকায় এ অঞ্চলে চাষ হয় না। শুধুমাত্র লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর চরাঞ্চলে স্বল্প পরিমাণে চাষ করা হয়। কিন্তু আমি পিএইডি গবেষণার সময় দেখেছিলাম সয়াবিন স্যালাইনিটি সহ্য করতে পারে। এরা শুধুমাত্র জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।’
মতিউল ইসলাম আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে ল্যাব ট্রায়ালে আমরা দেখেছি বিনা সয়াবিন-২ ও বিনা সয়াবিন-৫ লবণাক্ততা সহনশীল ও চাষের জন্য উপযোগী। কিন্তু মাঠ গবেষণার ভিত্তিতে ফলনের পরিমাণ, গাছের স্থায়ীত্ব সবদিক বিবেচনা করে উপকূলীয় লবণাক্ত জমিতে চাষের জন্য বিনা সয়াবিন-২ ই সবচেয়ে আদর্শ জাত। এটি চাষ করতে বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আমন চাষের পর বোরো মৌসুমে জমি ফেলে না রেখে সয়াবিন চাষ করলে কৃষকেরা অত্যন্ত লাভবান হবে। তা ছাড়া সয়াবিন থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্যও অত্যন্ত নিরাপদ ও কার্যকরী।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আশিস কুমার দাস বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই গবেষণাটি নিয়ে আগ্রহী। কারণ সয়াবিন আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অত্যন্ত ভালো একটি উৎস। এ অঞ্চলে চাষ শুরু হলে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনীতিতেও সুফল বয়ে আনবে।
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সয়াবিনের উপযুক্ত জাত নির্বাচনের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) রিসার্চ সেলের অর্থায়নে সম্প্রতি একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ততা প্রবণ পতিত জমির জন্য অন্যান্য জাতের তুলনায় বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত বিনা সয়াবিন-২ জাতটিই সবচেয়ে আদর্শ জাত।
গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মতিউল ইসলাম ও একই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী বর্ণালি সাহা। এ ছাড়া একই ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক জয়ন্তী রায় গবেষণায় সহযোগিতা করেন। উক্ত গবেষণায় বারি ও বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত সয়াবিনের ১০টি জাত নিয়ে কাজ করা হয়।
গবেষক ড. মো. মতিউল ইসলাম জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও ডুমুরিয়া উপজেলায় পরিচালিত মাঠ গবেষণায় দেখা যায় বিনা সয়াবিন-২ জাতটি অধিক ফলনশীল, লবণাক্ততা সহনশীল, রোগবালাই প্রতিরোধী ও স্বল্পমেয়াদি। তাই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ত জমির ব্যবহার এবং ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এটি একটি আদর্শ জাত।
তিনি আরও জানান, এ জাতটি হলুদ মোজাইক ভাইরাস প্রতিরোধী ও ১২ ডিএস এম-১ মাত্রা পর্যন্ত লবণাক্ততা সহনশীল এবং কম উর্বর ও লবণাক্ত বেলে দো-আঁশ হতে এঁটেল দো-আঁশ মাটিতেও চাষের উপযোগী। রবি মৌসুমে পৌষের প্রথম থেকে মধ্য মাঘ এবং খরিপ-২ মৌসুমে শ্রাবণের প্রথম থেকে ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত এটি রোপণের উপযুক্ত সময়।
গবেষণার জন্য চাষ করতে গিয়ে দেখা গেছে, সয়াবিনে মাকড়সার আক্রমণ বেশি থাকে এবং মাটিতে অবস্থানকারী কিছু ছত্রাকের কারণে গোড়াপচা রোগ দেখা যায়। তবে এতে খুব বেশি প্রভাব পড়ে না। সয়াবিনের বিছা পোকা দমনের জন্য আক্রান্ত পাতা দেখে পোকাসহ তুলে মেরে ফেলতে হবে। তবে আক্রমণ বেশি হলে সেভিন ৮৫ এসপি ৩৪ গ্রাম পাউডার প্রতি ১০ লিটার পানিতে অথবা অ্যাডভান্টেজ ২০ এসসি ৩০ মিলিলিটার প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত জমিতে স্প্রে করতে হবে।
অধ্যাপক মো. মতিউল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া সয়াবিন চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হলেও কৃষকদের এ ব্যাপারে জ্ঞানের স্বল্পতা থাকায় এ অঞ্চলে চাষ হয় না। শুধুমাত্র লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর চরাঞ্চলে স্বল্প পরিমাণে চাষ করা হয়। কিন্তু আমি পিএইডি গবেষণার সময় দেখেছিলাম সয়াবিন স্যালাইনিটি সহ্য করতে পারে। এরা শুধুমাত্র জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।’
মতিউল ইসলাম আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে ল্যাব ট্রায়ালে আমরা দেখেছি বিনা সয়াবিন-২ ও বিনা সয়াবিন-৫ লবণাক্ততা সহনশীল ও চাষের জন্য উপযোগী। কিন্তু মাঠ গবেষণার ভিত্তিতে ফলনের পরিমাণ, গাছের স্থায়ীত্ব সবদিক বিবেচনা করে উপকূলীয় লবণাক্ত জমিতে চাষের জন্য বিনা সয়াবিন-২ ই সবচেয়ে আদর্শ জাত। এটি চাষ করতে বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আমন চাষের পর বোরো মৌসুমে জমি ফেলে না রেখে সয়াবিন চাষ করলে কৃষকেরা অত্যন্ত লাভবান হবে। তা ছাড়া সয়াবিন থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্যও অত্যন্ত নিরাপদ ও কার্যকরী।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আশিস কুমার দাস বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই গবেষণাটি নিয়ে আগ্রহী। কারণ সয়াবিন আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অত্যন্ত ভালো একটি উৎস। এ অঞ্চলে চাষ শুরু হলে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনীতিতেও সুফল বয়ে আনবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে