সম্পাদকীয়
চা-শ্রমিকদের জীবনে বঞ্চনার শেষ নেই। যদিও বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে তাঁদের কষ্টের শেষ নেই। খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য তাঁরা বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মজুরি আদায় করতে পারেননি। মালিকদের কাছে তাঁদের জীবন বর্গা দিয়েই চলতে হচ্ছে। চা-শ্রমিকদের মজুরি এবং তাঁদের জীবনের কাহিনি নিয়ে দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার আজকের পত্রিকায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ইতিহাসের পাতা ওলটালেই জানা যায়, ১৮৪০ সালে যখন ভারতবর্ষে চা চাষের যাত্রা শুরু হয়, তখন চা-বাগানের জন্য শ্রমিক পাওয়া যেত না। শ্রমিক সংগ্রহের জন্য মালিক ও সরকার কৌশলী ভূমিকা নেয়। ওই সময় তাঁদের ভারতের নানা স্থান থেকে বিভিন্ন প্রলোভন, ভয়, বিশেষ ক্ষেত্রে অপহরণ এবং সহিংসতার মাধ্যমে ধরে আনা হয়েছিল, যা অনেকটা দাস ব্যবসার মতো ছিল। তাঁরা দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকা এবং দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। এভাবেই তাঁরা বংশপরম্পরায় এখনো আমাদের চাশিল্পকে বিশ্বের দরবারে যথাযথ স্থানে তুলে ধরেছেন। কিন্তু তাঁদের জীবনের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে প্রথমে চা চাষ শুরু হয় ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায়। সেই হিসাবে দেড় শ বছরের বেশিসময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু তাঁদের ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি।
২০১৮ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফের এক জরিপ মতে, চা-বাগানের ৭৪ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এ থেকে স্পষ্ট হয়, তাঁদের জীবনের মান কোন পর্যায়ে আছে। শ্রীলঙ্কা ও ভারতে একজন চা-শ্রমিকের দৈনিক মজুরি যথাক্রমে ৫ ও ২ মার্কিন ডলারের বেশি। আর বাংলাদেশে ১৭০ টাকা। এর ওপর যোগ হয় আবাসন, শিশুযত্ন, বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য ভাতা। কিন্তু কাগজে লেখা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে এসব সুবিধা তাঁরা পান না। বর্তমান বাংলাদেশের সবকিছু ঊর্ধ্বগতির বাজারের সঙ্গে এই মজুরি কতটুকু বাস্তবসম্মত?
বাংলাদেশের অন্যান্য সেক্টরের শ্রমিকেরা যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন, চাশিল্পের শ্রমিকেরা সেই সব সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। যেমন অন্যান্য শিল্পে কর্মরত শ্রমিকেরা ১০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি এবং ১৮ দিন কাজ করে এক দিনের অর্জিত ছুটি পান। কিন্তু চা-শ্রমিকেরা এই ছুটি পান না। আর তাঁরা এক দিনের অর্জিত ছুটি পান ২২ দিন কাজ করে।
বাংলাদেশের চা-শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার-পরিজন শুধু দরিদ্র এবং পশ্চাৎপদ নয়, এরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং পেছনে পড়ে থাকা মানুষ। এ জন্য চা-শ্রমিকদের প্রতি সুবিচার করতে হলে প্রথমেই শ্রম আইন ও বিধিমালা তাঁকে যেসব অধিকার দেয়, সেসব নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মনে করি, চা-শ্রমিকদের শ্রমের যথাযথ মজুরি দেওয়া দরকার। চা-শ্রমিকদের প্রতি মালিকদের শোষণের ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকেও বেরিয়ে আসা দরকার। এ জন্য দেশের সব সেক্টরের মতো করে চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
চা-শ্রমিকদের জীবনে বঞ্চনার শেষ নেই। যদিও বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে তাঁদের কষ্টের শেষ নেই। খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য তাঁরা বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মজুরি আদায় করতে পারেননি। মালিকদের কাছে তাঁদের জীবন বর্গা দিয়েই চলতে হচ্ছে। চা-শ্রমিকদের মজুরি এবং তাঁদের জীবনের কাহিনি নিয়ে দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার আজকের পত্রিকায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ইতিহাসের পাতা ওলটালেই জানা যায়, ১৮৪০ সালে যখন ভারতবর্ষে চা চাষের যাত্রা শুরু হয়, তখন চা-বাগানের জন্য শ্রমিক পাওয়া যেত না। শ্রমিক সংগ্রহের জন্য মালিক ও সরকার কৌশলী ভূমিকা নেয়। ওই সময় তাঁদের ভারতের নানা স্থান থেকে বিভিন্ন প্রলোভন, ভয়, বিশেষ ক্ষেত্রে অপহরণ এবং সহিংসতার মাধ্যমে ধরে আনা হয়েছিল, যা অনেকটা দাস ব্যবসার মতো ছিল। তাঁরা দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকা এবং দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। এভাবেই তাঁরা বংশপরম্পরায় এখনো আমাদের চাশিল্পকে বিশ্বের দরবারে যথাযথ স্থানে তুলে ধরেছেন। কিন্তু তাঁদের জীবনের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে প্রথমে চা চাষ শুরু হয় ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায়। সেই হিসাবে দেড় শ বছরের বেশিসময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু তাঁদের ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি।
২০১৮ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফের এক জরিপ মতে, চা-বাগানের ৭৪ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এ থেকে স্পষ্ট হয়, তাঁদের জীবনের মান কোন পর্যায়ে আছে। শ্রীলঙ্কা ও ভারতে একজন চা-শ্রমিকের দৈনিক মজুরি যথাক্রমে ৫ ও ২ মার্কিন ডলারের বেশি। আর বাংলাদেশে ১৭০ টাকা। এর ওপর যোগ হয় আবাসন, শিশুযত্ন, বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য ভাতা। কিন্তু কাগজে লেখা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে এসব সুবিধা তাঁরা পান না। বর্তমান বাংলাদেশের সবকিছু ঊর্ধ্বগতির বাজারের সঙ্গে এই মজুরি কতটুকু বাস্তবসম্মত?
বাংলাদেশের অন্যান্য সেক্টরের শ্রমিকেরা যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন, চাশিল্পের শ্রমিকেরা সেই সব সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। যেমন অন্যান্য শিল্পে কর্মরত শ্রমিকেরা ১০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি এবং ১৮ দিন কাজ করে এক দিনের অর্জিত ছুটি পান। কিন্তু চা-শ্রমিকেরা এই ছুটি পান না। আর তাঁরা এক দিনের অর্জিত ছুটি পান ২২ দিন কাজ করে।
বাংলাদেশের চা-শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার-পরিজন শুধু দরিদ্র এবং পশ্চাৎপদ নয়, এরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং পেছনে পড়ে থাকা মানুষ। এ জন্য চা-শ্রমিকদের প্রতি সুবিচার করতে হলে প্রথমেই শ্রম আইন ও বিধিমালা তাঁকে যেসব অধিকার দেয়, সেসব নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মনে করি, চা-শ্রমিকদের শ্রমের যথাযথ মজুরি দেওয়া দরকার। চা-শ্রমিকদের প্রতি মালিকদের শোষণের ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকেও বেরিয়ে আসা দরকার। এ জন্য দেশের সব সেক্টরের মতো করে চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে