নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রশ্ন: আবু জায়েদ রাহির প্রতিক্রিয়ায় যে লবিং প্রসঙ্গটা এসেছে, এই অভিযোগের ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যা কী?
খালেদ মাহমুদ সুজন: বাংলাদেশ ক্রিকেটে এটা আছে কি না জানি না। শুনে অবাকই হয়েছি। জানি না আসলে সে কী বলতে চেয়েছে, পত্র-পত্রিকা পড়া হয়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এটা কখন ছিল, জানা নেই। একটা সময় হয়তো থাকতে পারে, ঠিক জানি না। এখন লবিং করে কোনো দলে খেলা সম্ভব নয়। সত্যি বলতে, এটা একেবারেই অসম্ভব। এটা একেবারেই ভিত্তিহীন কথা। যারা খেলে, নিজের যোগ্যতায় খেলে। শুধু জাতীয় দল নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটের যেকোনো দলেই যোগ্যতা দিয়ে খেলতে হয়।
প্রশ্ন: নির্বাচকেরা বলছেন, রাহিকে বাদ দেওয়া শুধুই দলের কৌশলগত কারণে। কিন্তু তিনি গত কয়েকটা টেস্টে খেলার সুযোগ পাননি, এমনকি দেশের বাইরেও নয়।
সুজন: আমরা আসলে চিন্তা করছি ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটারের বেশি গতির বোলার খেলাব। রাহি ভালো সুইং বোলার। বিদেশের মাঠে রাহিকে চিন্তা করি, যেহেতু সে সুইং বোলার। এখন তাকে বিদেশেও খেলাতে পারছি না। নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাতে খেলাতে পারিনি। দেশে তো তাকে খেলাই-ই না। একটা সময় যখন তাসকিন-খালেদ-শরীফুল ছিল না, তখন সে খেলেছে। এখন দলের চিন্তায় বা কৌশলে পরিবর্তন এসেছে। এখন আমাদের পেসাররা ঘণ্টায় ধারাবাহিক ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করতে পারে। টিম ম্যানেজমেন্ট কী চায়, নির্বাচকেরা কাকে নেবে, কাকে নেবে না; এখানে কোনো লবিংয়ের বিষয় থাকতে পারে না। একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারের কিছু দায়িত্ববোধ থাকে। আমার মনে হয় এ ক্ষেত্রে সে খুব দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলেছে। আমাদের জন্য রাহি গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটা বলছি না। কিন্তু আমরা যদি টেস্ট জিততে চাই, ৮০ ওভার বোলিং করতে হবে। আমরা সাধারণত চারজন বোলার নিয়ে খেলি। যারা জোরে বোলিং করতে পারে তাদের একজনকে পুরোনো বলেও জোরে বোলিং করতে হবে। আর ভবিষ্যতের কথাও চিন্তা করতে হবে। সে কারণে এবার (তরুণ পেসার রেজাউর রহমান) রাজাকে চিন্তা করেছি।
প্রশ্ন: গত কয়েক মাসে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে নিয়মিত বিস্ফোরক মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এখানে কি বোর্ডের সঙ্গে তাঁদের ভুল-বোঝাবুঝি বাড়ছে?
সুজন: আমরা আসলে অনেক সময় গল্প তৈরি করি। হয়তো যেটা ভাবা হয়, ততটা ঘটে না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। ক্রিকেট মনস্তাত্ত্বিক খেলা। অনেক সময় হতাশা থেকে, মন খারাপ থেকে বিস্ফোরক কথা বেরিয়ে আসে। খেলোয়াড়ি জীবনে দল থেকে বাদ পড়ার পর আমারও মন খারাপ হতো। অনেক সময় মেনে নিতে পারতাম না। রাহির ক্ষেত্রেও হয়তো এমনটা হয়েছে। এমনি সে তো খুব ভালো ছেলে।
প্রশ্ন: একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি, গত কয়েক মাসে ড্রেসিংরুমের যে কটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে, এর মধ্যে একটি হচ্ছে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর দূরত্ব। টিম ডিরেক্টর হিসেবে এই দূরত্ব কতটা কমাতে পেরেছেন?
সুজন: দলে সবার সঙ্গে সবারই সম্পর্ক খুব ভালো। একটা সমস্যা ছিল হয়তো। এখন মনে হয় না এমন কোনো সমস্যা আছে। সবার বোঝাপড়া খুব ভালো।
প্রশ্ন: গত কয়েক মাসে খুব কাছ থেকে দেখা রাসেল ডমিঙ্গোকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
সুজন: রাসেল (ডমিঙ্গো) খুব ভালো কাজ করছে, তার ভাবনা খুবই ভালো। দলকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করে। রাসেলকে নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। সবারই টুকটাক ভুল থাকতে পারে, সেটা হয়তো সে নিজেও বুঝতে পারে না। এটা ধরিয়ে দেওয়াই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই দলের সাফল্যের জন্য কাজ করছি। মাঝেমধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়। লম্বা সফর হলে, বিশেষ করে দল যখন হারতে থাকে, তখন এর-ওর ওপর দোষ চলে আসে। বিশ্বকাপের সময় হয়তো রাসেলের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল।
প্রশ্ন: আবু জায়েদ রাহির প্রতিক্রিয়ায় যে লবিং প্রসঙ্গটা এসেছে, এই অভিযোগের ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যা কী?
খালেদ মাহমুদ সুজন: বাংলাদেশ ক্রিকেটে এটা আছে কি না জানি না। শুনে অবাকই হয়েছি। জানি না আসলে সে কী বলতে চেয়েছে, পত্র-পত্রিকা পড়া হয়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এটা কখন ছিল, জানা নেই। একটা সময় হয়তো থাকতে পারে, ঠিক জানি না। এখন লবিং করে কোনো দলে খেলা সম্ভব নয়। সত্যি বলতে, এটা একেবারেই অসম্ভব। এটা একেবারেই ভিত্তিহীন কথা। যারা খেলে, নিজের যোগ্যতায় খেলে। শুধু জাতীয় দল নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটের যেকোনো দলেই যোগ্যতা দিয়ে খেলতে হয়।
প্রশ্ন: নির্বাচকেরা বলছেন, রাহিকে বাদ দেওয়া শুধুই দলের কৌশলগত কারণে। কিন্তু তিনি গত কয়েকটা টেস্টে খেলার সুযোগ পাননি, এমনকি দেশের বাইরেও নয়।
সুজন: আমরা আসলে চিন্তা করছি ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটারের বেশি গতির বোলার খেলাব। রাহি ভালো সুইং বোলার। বিদেশের মাঠে রাহিকে চিন্তা করি, যেহেতু সে সুইং বোলার। এখন তাকে বিদেশেও খেলাতে পারছি না। নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাতে খেলাতে পারিনি। দেশে তো তাকে খেলাই-ই না। একটা সময় যখন তাসকিন-খালেদ-শরীফুল ছিল না, তখন সে খেলেছে। এখন দলের চিন্তায় বা কৌশলে পরিবর্তন এসেছে। এখন আমাদের পেসাররা ঘণ্টায় ধারাবাহিক ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করতে পারে। টিম ম্যানেজমেন্ট কী চায়, নির্বাচকেরা কাকে নেবে, কাকে নেবে না; এখানে কোনো লবিংয়ের বিষয় থাকতে পারে না। একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারের কিছু দায়িত্ববোধ থাকে। আমার মনে হয় এ ক্ষেত্রে সে খুব দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলেছে। আমাদের জন্য রাহি গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটা বলছি না। কিন্তু আমরা যদি টেস্ট জিততে চাই, ৮০ ওভার বোলিং করতে হবে। আমরা সাধারণত চারজন বোলার নিয়ে খেলি। যারা জোরে বোলিং করতে পারে তাদের একজনকে পুরোনো বলেও জোরে বোলিং করতে হবে। আর ভবিষ্যতের কথাও চিন্তা করতে হবে। সে কারণে এবার (তরুণ পেসার রেজাউর রহমান) রাজাকে চিন্তা করেছি।
প্রশ্ন: গত কয়েক মাসে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে নিয়মিত বিস্ফোরক মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এখানে কি বোর্ডের সঙ্গে তাঁদের ভুল-বোঝাবুঝি বাড়ছে?
সুজন: আমরা আসলে অনেক সময় গল্প তৈরি করি। হয়তো যেটা ভাবা হয়, ততটা ঘটে না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। ক্রিকেট মনস্তাত্ত্বিক খেলা। অনেক সময় হতাশা থেকে, মন খারাপ থেকে বিস্ফোরক কথা বেরিয়ে আসে। খেলোয়াড়ি জীবনে দল থেকে বাদ পড়ার পর আমারও মন খারাপ হতো। অনেক সময় মেনে নিতে পারতাম না। রাহির ক্ষেত্রেও হয়তো এমনটা হয়েছে। এমনি সে তো খুব ভালো ছেলে।
প্রশ্ন: একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি, গত কয়েক মাসে ড্রেসিংরুমের যে কটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে, এর মধ্যে একটি হচ্ছে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর দূরত্ব। টিম ডিরেক্টর হিসেবে এই দূরত্ব কতটা কমাতে পেরেছেন?
সুজন: দলে সবার সঙ্গে সবারই সম্পর্ক খুব ভালো। একটা সমস্যা ছিল হয়তো। এখন মনে হয় না এমন কোনো সমস্যা আছে। সবার বোঝাপড়া খুব ভালো।
প্রশ্ন: গত কয়েক মাসে খুব কাছ থেকে দেখা রাসেল ডমিঙ্গোকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
সুজন: রাসেল (ডমিঙ্গো) খুব ভালো কাজ করছে, তার ভাবনা খুবই ভালো। দলকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করে। রাসেলকে নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। সবারই টুকটাক ভুল থাকতে পারে, সেটা হয়তো সে নিজেও বুঝতে পারে না। এটা ধরিয়ে দেওয়াই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই দলের সাফল্যের জন্য কাজ করছি। মাঝেমধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়। লম্বা সফর হলে, বিশেষ করে দল যখন হারতে থাকে, তখন এর-ওর ওপর দোষ চলে আসে। বিশ্বকাপের সময় হয়তো রাসেলের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে