বরিশালের বাবুগঞ্জে খাদ্যগুদামের সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির জন্য প্রচলিত মিনিকেট চালের বস্তায় প্যাকেটজাত করা হয়েছিল। খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অভিযানে এই চাল জব্দ করা হয় গত বৃহস্পতিবার। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাজারে প্রচলিত মিনিকেট চালের ২৫ কেজির বস্তায় ভরা ৮০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ দেখিয়ে গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে অভিযানে। এ ছাড়া ৫১০টি সরকারি চালের খালি বস্তা ও জোড়া কবুতর, ডলফিন ব্রান্ডের চালের ১০০০টি খালি বস্তা থানার জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে।

জানা যায়, খাদ্য গুদামের সরকারি চাল কালো বাজারে বিক্রির প্রস্তুতি চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও বাবুগঞ্জ থানা-পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

গতকাল শুক্রবার এ ঘটনায় বাবুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবিনা পারভিন বাদী হয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ফরিদা খাতুনসহ ৫ জনকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুন ও দিনমজুর মোফাজ্জেল খানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় উপজেলা খাদ্য গুদামের ৩ নম্বর গোডাউনে সরকারি চাল নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশে বেসরকারি বস্তায় মোড়ক জাত করে পাচারের চেষ্টা চালিয়েছে।

বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি চাল কালো বাজারে বিক্রির চেষ্টার অপরাধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।