বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি
বরিশালের বাবুগঞ্জ একটি কৃষি প্রধান উপজেলা। উপজেলায় বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি অনেক জমিতে গমের উৎপাদন হতো। তবে দিন দিন গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। ফলে কমছে গমের উৎপাদন।
জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলায় গমের আবাদ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় গমের দাম অনেক কম থাকা, ব্লাস্টসহ বিভিন্ন প্রকার রোগের আক্রমণ হওয়া এবং প্রকৃত কৃষকেরা সরকারি সহায়তা না পাওয়াসহ নানা কারণে গমের আবাদ দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু গত চাষ হয়েছিল ৭০ হেক্টর জমিতে। ২০২১ সালে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭০ হেক্টর জমিতে, কিন্তু আবাদ হয়েছে ৫৮ হেক্টর জমিতে।
আর চলতি মৌসুমে গমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হেক্টর জমিতে। তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে কৃষি বিভাগ। এ বছর গমের আবাদ হয়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে। পর পর ৩ বছর গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের বাদল ফকির, জামাল মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, যারা প্রকৃত কৃষক তাঁরা অনেকেই সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন না। যারা পাচ্ছেন তাঁরাও হয়তো গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। কারণ এক মণ গম উৎপাদন করতে ৬০০–৭০০ টাকা খরচ হয়ে যায়। অথচ মৌসুমে বাজারে প্রতি মণ গম বিক্রি হয় মাত্র ৫০০–৬০০ টাকা। সরকারিভাবেও যথাসময়ে গম কেনা হয় না। এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিন দিন গম আবাদ থেকে সরে আসছেন।
উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের কৃষক জালাল আহমেদ জানান, বাজারে গমের থেকে ধানের চাহিদা বেশি। গম থেকে ধানের দামও বেশি। সে জন্য তাঁর মতো অনেক কৃষক দিন দিন গমের আবাদ ছেড়ে দিয়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে জানান, গমের বীজ বপনের যখন সঠিক সময়, তখন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার কারণে চাষিরা সময়মতো তাঁদের জমিতে এ বছর গমের বীজ বপন করতে পারেননি। এ ছাড়া কৃষকেরা বোরো ধানের প্রতি আগ্রহ বাড়ায় গমের আবাদ কম হয়েছে। কয়েক বছর আগে বাবুগঞ্জে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের গম আবাদে উৎসাহিত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বরিশালের বাবুগঞ্জ একটি কৃষি প্রধান উপজেলা। উপজেলায় বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি অনেক জমিতে গমের উৎপাদন হতো। তবে দিন দিন গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। ফলে কমছে গমের উৎপাদন।
জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলায় গমের আবাদ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় গমের দাম অনেক কম থাকা, ব্লাস্টসহ বিভিন্ন প্রকার রোগের আক্রমণ হওয়া এবং প্রকৃত কৃষকেরা সরকারি সহায়তা না পাওয়াসহ নানা কারণে গমের আবাদ দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু গত চাষ হয়েছিল ৭০ হেক্টর জমিতে। ২০২১ সালে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭০ হেক্টর জমিতে, কিন্তু আবাদ হয়েছে ৫৮ হেক্টর জমিতে।
আর চলতি মৌসুমে গমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হেক্টর জমিতে। তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে কৃষি বিভাগ। এ বছর গমের আবাদ হয়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে। পর পর ৩ বছর গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের বাদল ফকির, জামাল মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, যারা প্রকৃত কৃষক তাঁরা অনেকেই সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন না। যারা পাচ্ছেন তাঁরাও হয়তো গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। কারণ এক মণ গম উৎপাদন করতে ৬০০–৭০০ টাকা খরচ হয়ে যায়। অথচ মৌসুমে বাজারে প্রতি মণ গম বিক্রি হয় মাত্র ৫০০–৬০০ টাকা। সরকারিভাবেও যথাসময়ে গম কেনা হয় না। এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিন দিন গম আবাদ থেকে সরে আসছেন।
উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের কৃষক জালাল আহমেদ জানান, বাজারে গমের থেকে ধানের চাহিদা বেশি। গম থেকে ধানের দামও বেশি। সে জন্য তাঁর মতো অনেক কৃষক দিন দিন গমের আবাদ ছেড়ে দিয়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে জানান, গমের বীজ বপনের যখন সঠিক সময়, তখন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার কারণে চাষিরা সময়মতো তাঁদের জমিতে এ বছর গমের বীজ বপন করতে পারেননি। এ ছাড়া কৃষকেরা বোরো ধানের প্রতি আগ্রহ বাড়ায় গমের আবাদ কম হয়েছে। কয়েক বছর আগে বাবুগঞ্জে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের গম আবাদে উৎসাহিত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে