পুরুষের সমান কাজ নারীর, মজুরি কম

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২২, ০৭: ১৫
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২২, ১১: ৩৩

নিজের অধিকার সম্পর্কে জানেন না দিনাজপুরের গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ নারী। সচেতনতার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া নারী দিবসে সরকারি কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করা নারীদের এ দিবসে বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না বলে জানান তাঁরা।

উপজেলার ৯ নম্বর কুচদহ ইউনিয়নের শিবপুর ঘোনাপাড়া এলাকায় দেখা যায়, আন্তর্জাতিক নারী দিবসেও পুরুষের সঙ্গে রাস্তার মাটি কাটার কাজ করছিলেন প্রায় ৩০ জন নারী শ্রমিক। সরকারি কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় তাঁরা এ কাজ করছেন।

নারী দিবস সম্পর্কে নারী শ্রমিক মরিয়ম বিবি জানান, দেশে নারী দিবস আছে এটি তিনি জানেন না। আজই প্রথম জানলেন। নারীদের অধিকার বিষয়ে তিনি জানান, পুরুষেরা মজুরি পান ৪০০ টাকা, আর একই কাজ করেও নারীরা পান মাত্র ৩০০ টাকা।

একই প্রকল্পে কাজ করা নারী শ্রমিক আলেমা বেগম বলেন, ‘কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করার মাস শেষ হয়েছে, কিন্তু এখনো টাকা পাইনি। আমরা দিন আনি দিন খাই, তাই সঠিক সময়ে টাকা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রেফাউল আজম জানান, নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি প্রকল্পে কাজ করা নারীদের কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না। সঠিক সময়ে নারী শ্রমিকদের ভাতা পরিশোধ করার বিষয়ে জানান, পরবর্তীতে সঠিক সময়ে ভাতা পরিশোধ করার চেষ্টা করবেন।

উপজেলার নারীদের সচেতনতায় কাজ করা এনজিও সংস্থা ল্যাম্বের কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জামান বলেন, ‘দেশের অনেক নারী গৃহিণীর কাজ করছেন, কিন্তু পরিবারে তাঁদের বেকার বলে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু বাসায় অন্য কোনো নারীকে গৃহিণীর কাজ করাতে ঠিকই মজুরি দিতে হয়, অথচ আমাদের নিজ বাসায় কাজ করা গৃহিণীদের আমরা সে স্বীকৃতি দিচ্ছি না। ফলে তাঁরা অবহেলিত থাকছেন। সর্বোপরি সমাজে নারীদের বড় অংশই আজও অবহেলিত।’

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা পারুল বেগম জানান, নারী দিবসে নারীদের সচেতনতার বিষয়টা অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ব্যানারসদৃশ্য কার্যক্রম চলছে। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নারীদের সচেতনতায় গ্রাম পর্যন্ত বাস্তবধর্মী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত