৭ বিঘায় কালো ধান চাষ

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২১, ০৭: ৪৭
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ০৮

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় প্রথমবার পুষ্টিসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ বা কালো ধানের আবাদ করা হয়েছে। উপজেলার ধর্মগড় ও নন্দুয়ার ইউনিয়নে সাত বিঘা জমিতে আটজন কৃষক কালো জাতের এই ধান আবাদ করেছেন।

উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের জওগাঁও গ্রামের কৃষক আলমগীরের কালো ধানের খেতে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে সবুজ আর হলুদ রঙের বিস্তীর্ণ ধানখেতের মাঝেই রয়েছে লাল-কালো রঙের ধানখেতটি। ব্যতিক্রমী এ ‘কালো ধানের’ খেত এক পলক দেখতে মাঝেমধ্যেই ভিড় জমান কৌতূহলী মানুষ।

জওগাঁও গ্রামের কৃষক আলমগীর জানান, তাঁর ধানখেতটি এলাকার মানুষসহ তিনিও প্রথম দেখলেন। এক বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। বিঘায় ২০ মণ ধান হতে পারে বলে প্রত্যাশা তাঁর। একইভাবে নন্দুয়ার ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের কৃষক আল্লামা আল ওয়াদুদ বিন নূর (আলিফ) জানান, এটি উচ্চফলনশীল ধান। এ ধানে আলাদা কোনো পরিচর্যা নেই। অতিরিক্ত সার বিষ বা পানি লাগে না। তিনি বিঘায় ২০ মণ ধান পেয়েছেন বলেও জানান।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই চালের খাদ্যগুণ প্রচুর। রয়েছে ১১টি ঔষধি-গুণও। অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, কপার, জিংক, ফাইবারের মাত্রাও অনেক। কার্বোহাইড্রেট অন্তত কম বলে ডায়াবেটিস রোগীরাও তা খেতে পারেন। চীনসহ অনেক দেশে এই চালে কিডনি, লিভারের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা হয়। তা ছাড়া সাদা চাল বা পরিশোধিত ময়দার তুলনায় এটি স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।

উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার ধর্মগড় ও নন্দুয়ার ইউনিয়নে সাত বিঘা জমিতে আটজন কৃষক কালো জাতের এই ধান আবাদ করেছেন। পরবর্তীতে এ জাতের ধান চাষ আরও বাড়ানো হবে।

রাণীশংকৈল কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথের উদ্যোগে উপজেলার আটজন কৃষক এই ধান রোপণ করেছেন। প্রত্যেক কৃষককে ব্ল্যাক রাইস ধানের এক কেজি করে বীজ সংগ্রহ করে দেন এই কর্মকর্তা। এখন কৃষকেরা এ ধান কেটে মাড়াই ও শুকাচ্ছেন। কালো ধানের চাষ এবং উপকারিতার কথা শুনে অনেক কৃষকই এ ধানের বীজ সংগ্রহে ছুটছেন কৃষি কার্যালয়ে।

সঞ্জয় দেবনাথ জানান, কালো চাল কিছু কোম্পানি প্যাকেটজাতের মাধ্যমে হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও স্থানীয়ভাবে কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে পারে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত