নিজেকে বেশ বড় বড় মনে হতো
—জয়া আহসান, অভিনেত্রী
কাজের কারণে আমাকে দেশের বাইরে থাকতে হয় বেশি। তবে ঈদ আর পয়লা বৈশাখ কখনোই দেশের বাইরে উদ্যাপন করতে চাই না। একবার কলকাতায় ঈদ কাটাতে হয়েছিল। ঈদের দিন মেন্যুতে ছিল মিষ্টি পোলাও, মাটন আর বাসি পরেজ। খুব মন খারাপ হয়েছিল সেবার। এবার আমি ঢাকাতেই থাকব।
ঈদের সবচেয়ে বড় স্মৃতি হলো ‘ঈদি’, অর্থাৎ সালামি। বড়দের সালাম করে ভালো ঈদি পেতাম ছোটবেলায়, ওটা সবচেয়ে ভালো লাগার জায়গা ছিল। নতুন জামাকাপড়ের সঙ্গে যত ছোটই হোক না কেন, একটা ব্যাগ থাকত আমাদের কাছে। চেনা-পরিচিত যাকেই সামনে পেতাম, এমনকি অচেনা কাউকে কাউকেও টুক করে সালাম করে নিতাম। তখন তিনি আমাদের ঈদি দিতে বাধ্য হতেন।
অনেক টাকা জমে যেত আমাদের। শুধু ঈদের দিনেই বাইরের কোনো খাবারে বারণ থাকত না। তাই মূল আকর্ষণ ছিল ঈদির টাকা দিয়ে আইসক্রিম, কতবেল কিংবা স্ট্রিট ফুড খাওয়া। নিজের টাকা দিয়ে যখন কিনে খেতাম, তখন নিজেকে বেশ বড় বড় মনে হতো। এখন তো আর কেউ সেভাবে ঈদি দেয় না। তবে হ্যাঁ, কয়েকজনের থেকে অবশ্য পাই। যেমন মায়ের কাছ থেকে পাই বা বড় যাঁরা আছেন তাঁরা দেন।
ঈদে একরকমের সাদা পোলাও রান্না করেন মা, সঙ্গে চিকেন রোস্ট—দারুণ খেতে। আমাদের বাসায় নানা রকম রান্নাবান্না হয়। আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় এসব রান্নাবান্না। বাড়ির আশপাশে যাঁরা আছেন, আমাদের বাড়িতে যাঁরা বিভিন্ন কাজে সাহায্য করেন, তাঁদের সবার বাড়িতে খাবার পাঠানো হয়। মা নিজে রান্না করে পাঠান।
তখন যে আনন্দটা ছিল, এখনো সেটা আছে
—আবুল হায়াত, অভিনেতা
এবার আমাদের ঈদ কাটবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে আমার মেয়ে বিপাশা, তৌকীর, নাতি-নাতনি—আমরা সবাই একসঙ্গে ঈদটা উদ্যাপন করব। আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ব আমরা।
ঈদ উদ্যাপনের ধারায় এখন পরিবর্তন তো কিছু হয়েছেই। কারণ যুগের সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন যেটা আমি লক্ষ করি, সেটা হলো, আগে আমরা এত অস্থির ছিলাম না। এখন জাতিগতভাবে আমরা অস্থির এবং সমস্ত জায়গায় সেই অস্থিরতা লক্ষ করি। আমরা ছোটবেলায় যেটা করেছি, আমরা জানতাম যে ঈদে একটা পোশাক পাব। হয়তো একজোড়া জুতো পাব। সেটা নিয়ে লুকিয়ে রাখতাম। ঈদের দিন কোনোভাবে যেন সেটা কেউ না দেখে এমনভাবে বের করতাম।
এখনকার সময়ে ঈদের শপিং বলতে গেলে সারা বছর ধরে চলে। দিন যত যাচ্ছে, অস্থিরতা বাড়ছে। আরও কিনছে আরও কিনছে। দেখা যাচ্ছে, ১০-১২টা পোশাক এক ঈদে কিনে ফেলছে। যেহেতু অর্থনৈতিক অবস্থা আমি মনে করি আগের চেয়ে অনেক ভালো আমাদের। অনেকের হাতে এখন টাকাপয়সা আছে। ফ্যাশন ডিজাইনেও বৈচিত্র্য এসেছে। সুতরাং এটা একটা কিনছে, ওটা একটা কিনছে—এই করতে করতে মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। কিন্তু তাই বলে ঈদের আনন্দে কিন্তু কোনো হেরফের হয়নি। তখনো যে আনন্দটা ছিল, এখনো সে আনন্দটা আছে।
আগের মতোই সালামি পাই
—সাবরিনা পড়শী, সংগীতশিল্পী
এবার ঈদে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। নিজেকে সময় দিতে চাই এই কয়েকটা দিন। আর শপিংয়ের ব্যাপারটা কখনোই আমাকে অতটা টানে না। অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না যে শপিংয়ে যাওয়া আমার খুব পছন্দ না। কাউকে গিফট দেওয়ার জন্য হলে তখন যাই কেনাকাটা করতে। কিন্তু নিজের জন্য কিছু কিনতে আমি কখনোই উদ্গ্রীব নই। তবে ঈদের আনন্দ আমার কাছে এখনো ছোটবেলার মতোই আছে। একটু পরিবর্তন এসেছে, এখন আগের মতো হইহুল্লোড় করি না।
ছোটবেলার এক ঈদের কথা প্রায়ই মনে পড়ে। আমি তখন ক্লাস ফোরে। পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ করতে গিয়েছি। ঈদের আগের রাতে কাজিনদের সঙ্গে আলোচনা হলো—কীভাবে ঈদের দিনটা কাটানো যায়, কোথায় কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, অনেক পরিকল্পনা করলাম। কিন্তু ঈদের দিন সকালে উঠেই সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। দেখি সারা রাতের বৃষ্টিতে আমাদের উঠানে একহাঁটু পানি জমে গেছে! কোথাও ঘুরতে যাওয়া তো দূরের কথা, ঘর থেকেই বের হতে পারলাম না।
ছোটবেলায় অপেক্ষায় থাকতাম কবে ঈদ আসবে, সবাই মিলে আনন্দ করব! ঈদের অনেক আগেই বাবা নতুন জামা-জুতা কিনে দিতেন। সেগুলো নিয়ে বাসায় ফিরেই লুকিয়ে রাখতাম। কেউ দেখতে চাইলেও দেখাতাম না। মনে হতো, কেউ দেখলেই বুঝি জামা-জুতা পুরোনো হয়ে যাবে। কোনো আত্মীয় বা বন্ধু আমাদের বাসায় এলে আরও সতর্ক হয়ে যেতাম। কেউ যেন কোনোভাবেই দেখে না ফেলে। ঈদের দিন সকাল থেকেই শুরু হতো বড়দের সালাম করা আর ঈদি সংগ্রহ করা। দিন শেষে সালামি নিয়ে হিসাব করতে বসতাম। কে কত পেলাম! এখনো আগের মতো সালামি পাই। এখনো সেই ভালো লাগা কাজ করে সালামি পেলে।
এবার আমাদের ঈদটা হবে
অন্য রকম
—সিয়াম আহমেদ, অভিনেতা
আমার জন্ম হয়েছিল প্রথম রমজানে। এ জন্য মা-বাবা আমার নাম রেখেছেন সিয়াম। আমার সন্তানও রোজার মাসেই জন্ম নিল। এটি আমাদের পরিবারের জন্য অনেক বড় ভালো লাগা। ডেলিভারি ডেট অনুযায়ী ভেবেছিলাম, ঈদের সময়টা হাসপাতালেই থাকতে হবে। আমি আর অবন্তী বলাবলি করছিলাম, আমাদের সন্তান যদি আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে পারত, ভালো হতো। সেটাই হলো। আমাদের সঙ্গেই সে ঈদ করবে। হয়তো আমাদের সঙ্গে প্রথম সিনেমা দেখতে হলেও যাবে। আমাদের দুই পরিবারের জন্য এবারের ঈদটা হবে তাই অন্য রকম।
আমার ছোটবেলার অধিকাংশ ঈদ কেটেছে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। প্রতিবছর ঢাকা থেকে ফুপা-ফুপু, কাজিনসহ গ্রামের বাড়ি যেতাম। তখনো দাদি বেঁচে ছিলেন। প্রতিবছর দাদির কাছে যাওয়া এবং কাজিনদের নিয়ে ঈদ করার মুহূর্ত ছিল অসাধারণ। ছোটবেলাতেই বুঝেছি, আনন্দ কখনো একা উপভোগ করা যায় না। আনন্দ তখনই সত্যিকারের আনন্দ হয়ে ওঠে, যখন তা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে, নিজেদের সেরা মুহূর্তগুলো কাটাতে হবে—এটাই ঈদ।
ঈদের সময়ই আমি প্রথম আমার কাজিনদের সঙ্গে বাংলা সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম পিরোজপুরে। ব্যাপারটা এমন হয়ে গিয়েছিল যে প্রতি ঈদে সিনেমা দেখতেই হবে। রোজার ঈদে সবার একসঙ্গে হওয়াটাই ছিল আনন্দের। ঈদের সময় বিকেলবেলা একটা ক্রিকেট ম্যাচ হতো, আমাদের কাজিনরা সবাই অংশ নিত। থাকত পরিবারের সবাই। আশপাশের মানুষও আসত সেই আনন্দ উপভোগ করতে। একটা প্রতিযোগিতা হতো। সবাই মিলে সুন্দর সময় কাটাতাম। মাঝেমধ্যে পিকনিকও করতাম। রাতের বেলা যখন বিদ্যুৎ থাকত না, তখন সবাই মিলে লুকোচুরি খেলতাম। ভূতের গল্পও বলত কেউ কেউ।
নিজেকে বেশ বড় বড় মনে হতো
—জয়া আহসান, অভিনেত্রী
কাজের কারণে আমাকে দেশের বাইরে থাকতে হয় বেশি। তবে ঈদ আর পয়লা বৈশাখ কখনোই দেশের বাইরে উদ্যাপন করতে চাই না। একবার কলকাতায় ঈদ কাটাতে হয়েছিল। ঈদের দিন মেন্যুতে ছিল মিষ্টি পোলাও, মাটন আর বাসি পরেজ। খুব মন খারাপ হয়েছিল সেবার। এবার আমি ঢাকাতেই থাকব।
ঈদের সবচেয়ে বড় স্মৃতি হলো ‘ঈদি’, অর্থাৎ সালামি। বড়দের সালাম করে ভালো ঈদি পেতাম ছোটবেলায়, ওটা সবচেয়ে ভালো লাগার জায়গা ছিল। নতুন জামাকাপড়ের সঙ্গে যত ছোটই হোক না কেন, একটা ব্যাগ থাকত আমাদের কাছে। চেনা-পরিচিত যাকেই সামনে পেতাম, এমনকি অচেনা কাউকে কাউকেও টুক করে সালাম করে নিতাম। তখন তিনি আমাদের ঈদি দিতে বাধ্য হতেন।
অনেক টাকা জমে যেত আমাদের। শুধু ঈদের দিনেই বাইরের কোনো খাবারে বারণ থাকত না। তাই মূল আকর্ষণ ছিল ঈদির টাকা দিয়ে আইসক্রিম, কতবেল কিংবা স্ট্রিট ফুড খাওয়া। নিজের টাকা দিয়ে যখন কিনে খেতাম, তখন নিজেকে বেশ বড় বড় মনে হতো। এখন তো আর কেউ সেভাবে ঈদি দেয় না। তবে হ্যাঁ, কয়েকজনের থেকে অবশ্য পাই। যেমন মায়ের কাছ থেকে পাই বা বড় যাঁরা আছেন তাঁরা দেন।
ঈদে একরকমের সাদা পোলাও রান্না করেন মা, সঙ্গে চিকেন রোস্ট—দারুণ খেতে। আমাদের বাসায় নানা রকম রান্নাবান্না হয়। আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় এসব রান্নাবান্না। বাড়ির আশপাশে যাঁরা আছেন, আমাদের বাড়িতে যাঁরা বিভিন্ন কাজে সাহায্য করেন, তাঁদের সবার বাড়িতে খাবার পাঠানো হয়। মা নিজে রান্না করে পাঠান।
তখন যে আনন্দটা ছিল, এখনো সেটা আছে
—আবুল হায়াত, অভিনেতা
এবার আমাদের ঈদ কাটবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে আমার মেয়ে বিপাশা, তৌকীর, নাতি-নাতনি—আমরা সবাই একসঙ্গে ঈদটা উদ্যাপন করব। আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ব আমরা।
ঈদ উদ্যাপনের ধারায় এখন পরিবর্তন তো কিছু হয়েছেই। কারণ যুগের সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন যেটা আমি লক্ষ করি, সেটা হলো, আগে আমরা এত অস্থির ছিলাম না। এখন জাতিগতভাবে আমরা অস্থির এবং সমস্ত জায়গায় সেই অস্থিরতা লক্ষ করি। আমরা ছোটবেলায় যেটা করেছি, আমরা জানতাম যে ঈদে একটা পোশাক পাব। হয়তো একজোড়া জুতো পাব। সেটা নিয়ে লুকিয়ে রাখতাম। ঈদের দিন কোনোভাবে যেন সেটা কেউ না দেখে এমনভাবে বের করতাম।
এখনকার সময়ে ঈদের শপিং বলতে গেলে সারা বছর ধরে চলে। দিন যত যাচ্ছে, অস্থিরতা বাড়ছে। আরও কিনছে আরও কিনছে। দেখা যাচ্ছে, ১০-১২টা পোশাক এক ঈদে কিনে ফেলছে। যেহেতু অর্থনৈতিক অবস্থা আমি মনে করি আগের চেয়ে অনেক ভালো আমাদের। অনেকের হাতে এখন টাকাপয়সা আছে। ফ্যাশন ডিজাইনেও বৈচিত্র্য এসেছে। সুতরাং এটা একটা কিনছে, ওটা একটা কিনছে—এই করতে করতে মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। কিন্তু তাই বলে ঈদের আনন্দে কিন্তু কোনো হেরফের হয়নি। তখনো যে আনন্দটা ছিল, এখনো সে আনন্দটা আছে।
আগের মতোই সালামি পাই
—সাবরিনা পড়শী, সংগীতশিল্পী
এবার ঈদে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। নিজেকে সময় দিতে চাই এই কয়েকটা দিন। আর শপিংয়ের ব্যাপারটা কখনোই আমাকে অতটা টানে না। অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না যে শপিংয়ে যাওয়া আমার খুব পছন্দ না। কাউকে গিফট দেওয়ার জন্য হলে তখন যাই কেনাকাটা করতে। কিন্তু নিজের জন্য কিছু কিনতে আমি কখনোই উদ্গ্রীব নই। তবে ঈদের আনন্দ আমার কাছে এখনো ছোটবেলার মতোই আছে। একটু পরিবর্তন এসেছে, এখন আগের মতো হইহুল্লোড় করি না।
ছোটবেলার এক ঈদের কথা প্রায়ই মনে পড়ে। আমি তখন ক্লাস ফোরে। পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ করতে গিয়েছি। ঈদের আগের রাতে কাজিনদের সঙ্গে আলোচনা হলো—কীভাবে ঈদের দিনটা কাটানো যায়, কোথায় কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, অনেক পরিকল্পনা করলাম। কিন্তু ঈদের দিন সকালে উঠেই সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। দেখি সারা রাতের বৃষ্টিতে আমাদের উঠানে একহাঁটু পানি জমে গেছে! কোথাও ঘুরতে যাওয়া তো দূরের কথা, ঘর থেকেই বের হতে পারলাম না।
ছোটবেলায় অপেক্ষায় থাকতাম কবে ঈদ আসবে, সবাই মিলে আনন্দ করব! ঈদের অনেক আগেই বাবা নতুন জামা-জুতা কিনে দিতেন। সেগুলো নিয়ে বাসায় ফিরেই লুকিয়ে রাখতাম। কেউ দেখতে চাইলেও দেখাতাম না। মনে হতো, কেউ দেখলেই বুঝি জামা-জুতা পুরোনো হয়ে যাবে। কোনো আত্মীয় বা বন্ধু আমাদের বাসায় এলে আরও সতর্ক হয়ে যেতাম। কেউ যেন কোনোভাবেই দেখে না ফেলে। ঈদের দিন সকাল থেকেই শুরু হতো বড়দের সালাম করা আর ঈদি সংগ্রহ করা। দিন শেষে সালামি নিয়ে হিসাব করতে বসতাম। কে কত পেলাম! এখনো আগের মতো সালামি পাই। এখনো সেই ভালো লাগা কাজ করে সালামি পেলে।
এবার আমাদের ঈদটা হবে
অন্য রকম
—সিয়াম আহমেদ, অভিনেতা
আমার জন্ম হয়েছিল প্রথম রমজানে। এ জন্য মা-বাবা আমার নাম রেখেছেন সিয়াম। আমার সন্তানও রোজার মাসেই জন্ম নিল। এটি আমাদের পরিবারের জন্য অনেক বড় ভালো লাগা। ডেলিভারি ডেট অনুযায়ী ভেবেছিলাম, ঈদের সময়টা হাসপাতালেই থাকতে হবে। আমি আর অবন্তী বলাবলি করছিলাম, আমাদের সন্তান যদি আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে পারত, ভালো হতো। সেটাই হলো। আমাদের সঙ্গেই সে ঈদ করবে। হয়তো আমাদের সঙ্গে প্রথম সিনেমা দেখতে হলেও যাবে। আমাদের দুই পরিবারের জন্য এবারের ঈদটা হবে তাই অন্য রকম।
আমার ছোটবেলার অধিকাংশ ঈদ কেটেছে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। প্রতিবছর ঢাকা থেকে ফুপা-ফুপু, কাজিনসহ গ্রামের বাড়ি যেতাম। তখনো দাদি বেঁচে ছিলেন। প্রতিবছর দাদির কাছে যাওয়া এবং কাজিনদের নিয়ে ঈদ করার মুহূর্ত ছিল অসাধারণ। ছোটবেলাতেই বুঝেছি, আনন্দ কখনো একা উপভোগ করা যায় না। আনন্দ তখনই সত্যিকারের আনন্দ হয়ে ওঠে, যখন তা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে, নিজেদের সেরা মুহূর্তগুলো কাটাতে হবে—এটাই ঈদ।
ঈদের সময়ই আমি প্রথম আমার কাজিনদের সঙ্গে বাংলা সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম পিরোজপুরে। ব্যাপারটা এমন হয়ে গিয়েছিল যে প্রতি ঈদে সিনেমা দেখতেই হবে। রোজার ঈদে সবার একসঙ্গে হওয়াটাই ছিল আনন্দের। ঈদের সময় বিকেলবেলা একটা ক্রিকেট ম্যাচ হতো, আমাদের কাজিনরা সবাই অংশ নিত। থাকত পরিবারের সবাই। আশপাশের মানুষও আসত সেই আনন্দ উপভোগ করতে। একটা প্রতিযোগিতা হতো। সবাই মিলে সুন্দর সময় কাটাতাম। মাঝেমধ্যে পিকনিকও করতাম। রাতের বেলা যখন বিদ্যুৎ থাকত না, তখন সবাই মিলে লুকোচুরি খেলতাম। ভূতের গল্পও বলত কেউ কেউ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪