তানিম আহমেদ, ঢাকা
‘মন্ত্রীদের ভেতরেই সিন্ডিকেট আছে’—এমন বক্তব্য দিয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। সহকর্মীর এমন বক্তব্যে বিব্রত মন্ত্রিসভার সদস্যরা। বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতারা। তাঁরা বলছেন, মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় বেফাঁস বক্তব্য দেন আর তার জবাব দিতে হয় তাঁদের।
সম্প্রতি বাজেট নিয়ে এক কর্মশালায় কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘আমি অনেককে দেখেছি বাজার করতে গিয়ে কাঁদছেন। কারণ, বাজারের যে অবস্থা, তাঁর পকেটে সে টাকা নেই। এটার একমাত্র কারণ সিন্ডিকেট।’
সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আলোচনার জন্ম দেয়। ওই বক্তব্যের পর ১৩ মে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে কামাল আহমেদ মজুমদারের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজে মন্ত্রী, সিন্ডিকেট নিজে থামান। এগুলো বললে নিজের গায়ে আসে।’
তবে ওবায়দুল কাদেরের ওই বক্তব্যের পর একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে কামাল আহমেদ মজুমদার মন্ত্রিসভার সদস্য, আমলাদের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মন্ত্রীদের ভেতরেই সিন্ডিকেট আছে। শেয়ার কেলেঙ্কারিতে জড়িতরা মন্ত্রী। নিজ মন্ত্রণালয়েও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই বলে উল্লেখ করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলীর ১০ জনের বেশি সদস্যের সঙ্গে আজকের পত্রিকার কথা হয়। তাঁদের বেশির ভাগই এ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি। সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা তো বিষয়টি নিয়ে মানুষের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘কামাল আহমেদ মজুমদার এটা বলেছেন নিজেকে বাঁচানোর জন্য।
খবর নেন, বিসিআইসিতে সারের হিসাব মেলানো যাচ্ছে না। নিজের মন্ত্রণালয়ের ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য উনি আগে থেকে সমালোচনা শুরু করেছেন বলে মনে হচ্ছে।’ দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা যে বলেছেন তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করা ভালো। একজন একটা কথা বলেন, আর সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হয় আমাদের।’
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, তিনি (কামাল মজুমদার) সরকারের অংশ। দলে আছেন। উনি তো এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। ওনার সিনিয়র কেউ যদি উল্টাপাল্টা করেন, সেটা নিয়ে তিনি এভাবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে পারতেন। তিনি বলেন, এটা নিয়ে তো মানুষের মধ্যে খারাপ ধারণা হবে। এটাই স্বাভাবিক। ওনার এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া উচিত হয়নি। দলীয় ফোরামে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। তখন তাঁর কাছে হয়তো বক্তব্য দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হতে পারে।
কামাল আহমেদ মজুমদার ১৯৯৬ সালে রাজধানীর মিরপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০০১ সালে হেরে যান। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ওই আসনকে ভেঙে তিনটি করা হয়। ওই নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতিও ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে তাঁর এভাবে বলা উচিত হয়নি। আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী উপস্থিত থাকায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী ছিলেন না। বৈঠকে উপস্থিত পাঁচজন মন্ত্রী আজকের পত্রিকাকে জানান, কামাল আহমেদ মজুমদারের বক্তব্য নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। সহকর্মীর বক্তব্য নিয়ে তাঁরা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
একজন মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত। এটা ওনাদের (শিল্পমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী) বিষয়। তা নিয়ে আমাদের কথা না বলাই ভালো।’ আরেক মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটা নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি। বৈঠকে তিনি (শিল্প প্রতিমন্ত্রী) ছিলেন না। ওনার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। ওই বিষয়টি আমি শুনিনি, জানি না। তাই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গতকাল রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটে কে কে আছেন, সেটা উনিই (শিল্প প্রতিমন্ত্রী) ভালো জানেন। আমার জানার কথা নয়। তাঁকেই জিজ্ঞাসা করেন।’
এ বিষয়ে জানতে কামাল আহমেদ মজুমদারের ব্যক্তিগতে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ফোন ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে আছেন। কখন ফোন করলে তাঁর মন্তব্য পাওয়া যাবে, জানতে চাইলে উত্তর না দিয়েই তিনি কল কেটে দেন।
‘মন্ত্রীদের ভেতরেই সিন্ডিকেট আছে’—এমন বক্তব্য দিয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। সহকর্মীর এমন বক্তব্যে বিব্রত মন্ত্রিসভার সদস্যরা। বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতারা। তাঁরা বলছেন, মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় বেফাঁস বক্তব্য দেন আর তার জবাব দিতে হয় তাঁদের।
সম্প্রতি বাজেট নিয়ে এক কর্মশালায় কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘আমি অনেককে দেখেছি বাজার করতে গিয়ে কাঁদছেন। কারণ, বাজারের যে অবস্থা, তাঁর পকেটে সে টাকা নেই। এটার একমাত্র কারণ সিন্ডিকেট।’
সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আলোচনার জন্ম দেয়। ওই বক্তব্যের পর ১৩ মে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে কামাল আহমেদ মজুমদারের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজে মন্ত্রী, সিন্ডিকেট নিজে থামান। এগুলো বললে নিজের গায়ে আসে।’
তবে ওবায়দুল কাদেরের ওই বক্তব্যের পর একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে কামাল আহমেদ মজুমদার মন্ত্রিসভার সদস্য, আমলাদের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মন্ত্রীদের ভেতরেই সিন্ডিকেট আছে। শেয়ার কেলেঙ্কারিতে জড়িতরা মন্ত্রী। নিজ মন্ত্রণালয়েও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই বলে উল্লেখ করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলীর ১০ জনের বেশি সদস্যের সঙ্গে আজকের পত্রিকার কথা হয়। তাঁদের বেশির ভাগই এ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি। সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা তো বিষয়টি নিয়ে মানুষের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘কামাল আহমেদ মজুমদার এটা বলেছেন নিজেকে বাঁচানোর জন্য।
খবর নেন, বিসিআইসিতে সারের হিসাব মেলানো যাচ্ছে না। নিজের মন্ত্রণালয়ের ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য উনি আগে থেকে সমালোচনা শুরু করেছেন বলে মনে হচ্ছে।’ দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা যে বলেছেন তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করা ভালো। একজন একটা কথা বলেন, আর সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হয় আমাদের।’
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, তিনি (কামাল মজুমদার) সরকারের অংশ। দলে আছেন। উনি তো এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। ওনার সিনিয়র কেউ যদি উল্টাপাল্টা করেন, সেটা নিয়ে তিনি এভাবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে পারতেন। তিনি বলেন, এটা নিয়ে তো মানুষের মধ্যে খারাপ ধারণা হবে। এটাই স্বাভাবিক। ওনার এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া উচিত হয়নি। দলীয় ফোরামে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। তখন তাঁর কাছে হয়তো বক্তব্য দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হতে পারে।
কামাল আহমেদ মজুমদার ১৯৯৬ সালে রাজধানীর মিরপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০০১ সালে হেরে যান। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ওই আসনকে ভেঙে তিনটি করা হয়। ওই নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতিও ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে তাঁর এভাবে বলা উচিত হয়নি। আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী উপস্থিত থাকায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী ছিলেন না। বৈঠকে উপস্থিত পাঁচজন মন্ত্রী আজকের পত্রিকাকে জানান, কামাল আহমেদ মজুমদারের বক্তব্য নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। সহকর্মীর বক্তব্য নিয়ে তাঁরা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
একজন মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত। এটা ওনাদের (শিল্পমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী) বিষয়। তা নিয়ে আমাদের কথা না বলাই ভালো।’ আরেক মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটা নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি। বৈঠকে তিনি (শিল্প প্রতিমন্ত্রী) ছিলেন না। ওনার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। ওই বিষয়টি আমি শুনিনি, জানি না। তাই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গতকাল রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটে কে কে আছেন, সেটা উনিই (শিল্প প্রতিমন্ত্রী) ভালো জানেন। আমার জানার কথা নয়। তাঁকেই জিজ্ঞাসা করেন।’
এ বিষয়ে জানতে কামাল আহমেদ মজুমদারের ব্যক্তিগতে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ফোন ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে আছেন। কখন ফোন করলে তাঁর মন্তব্য পাওয়া যাবে, জানতে চাইলে উত্তর না দিয়েই তিনি কল কেটে দেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে