রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়তে থাকায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে। এতে শতাধিক বসতবাড়িসহ ৫০ হেক্টর কৃষিজমি বিলীন হয়েছে। অনেকে বসতবাড়ি হারিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার কারণে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক বসতবাড়ি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই শতাধিক পরিবার। বাড়ি ভেঙে যাওয়া পরিবারগুলো রাস্তার ধারে কিংবা অন্যের জমিতে ঠাঁই নিয়েছে।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, রৌমারী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হেক্টর আবাদি জমি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। তবে ভাঙন অব্যাহত থাকায় সঠিক হিসাব নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল জানান, ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙনে আরও হুমকিতে রয়েছে চরশৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী, খেদাইমারী, সুখেরবাতি, খাউরিয়া; বন্দবেড় ইউনিয়নের গোয়ালেরচর, ফলুয়ারচর, উত্তর ফলুয়ারচর, পালেরচর, কুটিরচর, চরবাঘমারা; রৌমারী ইউনিয়নের কান্তাপাড়া, কাশিয়ারচর, চাক্তাবাড়ি; যাদুরচর ইউনিয়নের দুবলাবাড়ি, ধনারচর পশ্চিমপাড়া ও কাঠিয়ামারী গ্রাম।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলার কর্তিমারী বাজার রক্ষা বাঁধ ও ধনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমি উপজেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি তুলে ধরার পরও এখন পর্যন্ত কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর গ্রামের আসরাফ আলী বলেন, ‘আমার বসতভিটা নদীতে ভেঙে গেছে। আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে অন্যের জমিতে কোনোমতে ঠাঁই নিয়ে বেঁচে আছি।’
একই ইউনিয়নের পালেরচর গ্রামের ছোরমান মাঝি বলেন, ‘আমার জমিজমা, ঘরবাড়ি সব নদীতে ভেসে গেছে। রাস্তার ধারে কাগজের ছাপরা দিয়ে পোলাপান নিয়ে কোনোমতে জীবনযাপন করছি। কত দিনে আমার বসতভিটা জেগে উঠবে, আল্লাহই জানেন। সরকার যদি একটু খাস জমি দিত, তাহলে বউ-পোলাপান নিয়ে থাকতে পারতাম।’
উত্তর ফলুয়ারচর গ্রামের মুকুল, শানু, শোভা দাশ, ছমেদ প্রমুখ জানান, দিনের পর দিন নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হলেও সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিবছর নদের ভাঙনের কারণে তাঁদের আতঙ্কে থাকতে হয়।
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। পানি বাড়ার শুরুতে ফলুয়ারচরে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়, সেগুলো এখন নদে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে নদসংলগ্ন এলাকার মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়তে থাকায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে। এতে শতাধিক বসতবাড়িসহ ৫০ হেক্টর কৃষিজমি বিলীন হয়েছে। অনেকে বসতবাড়ি হারিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার কারণে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক বসতবাড়ি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই শতাধিক পরিবার। বাড়ি ভেঙে যাওয়া পরিবারগুলো রাস্তার ধারে কিংবা অন্যের জমিতে ঠাঁই নিয়েছে।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, রৌমারী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হেক্টর আবাদি জমি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। তবে ভাঙন অব্যাহত থাকায় সঠিক হিসাব নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল জানান, ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙনে আরও হুমকিতে রয়েছে চরশৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী, খেদাইমারী, সুখেরবাতি, খাউরিয়া; বন্দবেড় ইউনিয়নের গোয়ালেরচর, ফলুয়ারচর, উত্তর ফলুয়ারচর, পালেরচর, কুটিরচর, চরবাঘমারা; রৌমারী ইউনিয়নের কান্তাপাড়া, কাশিয়ারচর, চাক্তাবাড়ি; যাদুরচর ইউনিয়নের দুবলাবাড়ি, ধনারচর পশ্চিমপাড়া ও কাঠিয়ামারী গ্রাম।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলার কর্তিমারী বাজার রক্ষা বাঁধ ও ধনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমি উপজেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি তুলে ধরার পরও এখন পর্যন্ত কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর গ্রামের আসরাফ আলী বলেন, ‘আমার বসতভিটা নদীতে ভেঙে গেছে। আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে অন্যের জমিতে কোনোমতে ঠাঁই নিয়ে বেঁচে আছি।’
একই ইউনিয়নের পালেরচর গ্রামের ছোরমান মাঝি বলেন, ‘আমার জমিজমা, ঘরবাড়ি সব নদীতে ভেসে গেছে। রাস্তার ধারে কাগজের ছাপরা দিয়ে পোলাপান নিয়ে কোনোমতে জীবনযাপন করছি। কত দিনে আমার বসতভিটা জেগে উঠবে, আল্লাহই জানেন। সরকার যদি একটু খাস জমি দিত, তাহলে বউ-পোলাপান নিয়ে থাকতে পারতাম।’
উত্তর ফলুয়ারচর গ্রামের মুকুল, শানু, শোভা দাশ, ছমেদ প্রমুখ জানান, দিনের পর দিন নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হলেও সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিবছর নদের ভাঙনের কারণে তাঁদের আতঙ্কে থাকতে হয়।
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। পানি বাড়ার শুরুতে ফলুয়ারচরে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়, সেগুলো এখন নদে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে নদসংলগ্ন এলাকার মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে