বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১-এর বিজয়ীদের নাম। গতকাল ৯ মার্চ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্ণাঢ্য এক আয়োজনে সরাসরি উপস্থিত হয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ ও ২০২০ সালের পুরস্কার আসরে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাই দুই বছর পর তাঁর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার সুযোগ পেলেন চলচ্চিত্র শিল্পী, নির্মাতা, প্রযোজক ও কলাকুশলীরা। কয়েকটি ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন শিল্পীরা। ফলে ২৭টি ক্যাটাগরিতে মোট ৩৪টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এবার।
এবার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। ডলি জহুর প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তাঁর পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। তবে দেশের বাইরে থাকায় ইলিয়াস কাঞ্চন অনুষ্ঠানে ছিলেন না। ইলিয়াস কাঞ্চনের পক্ষে তাঁর বোনের মেয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেছেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়েও আমরা পুরস্কার স্থগিত রাখিনি। কমসংখ্যক ছবি মুক্তি পেয়েছিল, অনেকে বলেছিল, ওই বছর পুরস্কার না দিলে ভালো হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছিলেন, দিতে হবে।’ তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে সিনেমাশিল্প নানা চাপ ও হুমকির মুখে পড়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সিনেমাশিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব অঙ্গনে পুরস্কৃত হয়েছে, সুনাম কুড়িয়েছে।’
পুরস্কার প্রদান শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। এটা আমাদের স্বাধীনতার মাস। এই দেশের অভ্যুত্থানের সঙ্গে মার্চ অত্যন্ত গভীরভাবে মিশে আছে। ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন, ৭ মার্চ তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস; এই মাসে আপনাদের সামনে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে যাননি, আজকে যে সিনেমাশিল্প গড়ে উঠেছে, এর সূচনা করেছিলেন তিনি।’
অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেছেন অভিনেতা ফেরদৌস ও নুসরাত ফারিয়া। বঙ্গবন্ধু ও দেশমাতৃকা নিয়ে ছিল ওয়ার্দা রিহাবের বিশেষ পরিবেশনা। আরও পারফর্ম করেছেন অপু বিশ্বাস, নিপুণ, তারিন, বাপ্পি চৌধুরী, জায়েদ খান, ইমন, নীরব, দীঘি, আঁচল, পূজা চেরি, ঐশী, তমা মির্জা প্রমুখ। গান গেয়েছেন পার্থ বড়ুয়া, আঁখি আলমগীর, ইমরান, কোনাল, লিজা, সাব্বির, নন্দিতা ও নিশিতা বড়ুয়া।
সেরাদের তালিকা
আজীবন সম্মাননা: ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চন
চলচ্চিত্র (যৌথভাবে): লাল মোরগের ঝুঁটি (মাতিয়া বানু শুকু) ও নোনাজলের কাব্য (রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: ধড় (আকা রেজা গালিব)
প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: বধ্যভূমিতে একদিন (কাওসার চৌধুরী)
চলচ্চিত্র পরিচালক: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)
অভিনেতা (যৌথভাবে): মো. সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল)
অভিনেত্রী (যৌথভাবে): আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)
অভিনেতা (পার্শ্বচরিত্রে): এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য)
অভিনেত্রী (পার্শ্বচরিত্রে): শম্পা রেজা (পদ্মাপুরাণ)
অভিনেতা (খলচরিত্রে): মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)
অভিনেতা (কৌতুক চরিত্রে): প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা)
শিশুশিল্পী: আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর)
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)
সংগীত পরিচালক: সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন)
গায়ক: কে এম আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মাপুরাণ)
গায়িকা: চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মাপুরাণ)
গীতিকার: প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন)
সুরকার: সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন)
কাহিনিকার: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)
চিত্রনাট্যকার: নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সংলাপ রচয়িতা: তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)
সম্পাদক: সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি)
শিল্প নির্দেশক: শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য)
চিত্রগ্রাহক (দলগত): সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি)
শব্দগ্রাহক: শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর)
পোশাক ও সাজসজ্জা: ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য)
মেকআপম্যান (দলগত): মো. ফারুখ, মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)
মুজিব বর্ষের চলচ্চিত্র: টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই
বিজয়ীদের অনুভূতি
নিজেকে ধন্য মনে করছি
ডলি জহুর, আজীবন সম্মাননায় ভূষিত অভিনেত্রী
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অবশ্যই বড় কিছু। এর আগেও দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এবার আজীবন সম্মাননা পেলাম। কী অনুভূতি হয়, সেটা মাথায় আসছে না। জীবিত থাকা অবস্থায় পেলাম, এই খুশি বেশি কাজ করছে। এমন আয়োজনে আজীবন সম্মাননা পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শিল্পী-কলাকুশলীদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজের জন্য উৎসাহ দেবে বলে আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধু দেশের শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশে এফডিসি প্রতিষ্ঠাসহ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যার জন্য আমরা কাজের সুযোগ পেয়েছি, আমি ডলি জহুর হতে পেরেছি। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেই পথ অনুসরণ করে অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। সবার পক্ষ থেকে আমি তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া
আজমেরী হক বাঁধন, সেরা অভিনেত্রী
যেকোনো প্রাপ্তিই মানুষকে আনন্দ দেয়। সেই সঙ্গে কাজের অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দেয়। রাষ্ট্রীয় এ সম্মান আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। কিন্তু এ কৃতিত্ব আমার একার না, পুরো টিমের। আমি মনে করি, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ বাংলাদেশের সবাই বিলং করে। আমি ভাগ্যবান, সিনেমাটির জন্য জুরিবোর্ড আমাকে পছন্দ করেছে। সেই সঙ্গে আমি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে এত জায়গায় যেতে পেরেছি। সিনেমাটি আমার নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে, যেটা আমি উপভোগ করছি। আমি মনে করি, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমাটি আরও বেশ কটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিল।
কাজের অনুপ্রেরণা জোগায় পুরস্কার
সিয়াম আহমেদ, সেরা অভিনেতা
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম। জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ আমাকে যোগ্য মনে করার জন্য। প্রতিটি পুরস্কার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অনুপ্রেরণা জোগায়। দ্বিতীয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে ভালো লাগছে। নিজের অর্জনে যখন পরিবারের সবাই খুশি হয় তখন খুব ভালো লাগে। মনে হয় পরিবারের জন্য কিছু করতে পেরেছি। আরেক জন মানুষের নাম স্মরণ করতে চাই। তিনি হলেন তারিক আনাম খান। ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমায় তিনি আমার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় পর্দায় একসঙ্গে বাবা–ছেলের রসায়ন এই প্রাপ্তি এনে দিয়েছে। তারিক আনাম খান স্যার পুরস্কারটা পেলে আমার সবচেয়ে ভালো লাগত। এ পুরস্কার তাঁর প্রাপ্য। তবে যেহেতু আমি পেয়েছি, ‘বাবা’ হয়তো ছেলের জন্য খুশি হবেন।
চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১-এর বিজয়ীদের নাম। গতকাল ৯ মার্চ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্ণাঢ্য এক আয়োজনে সরাসরি উপস্থিত হয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ ও ২০২০ সালের পুরস্কার আসরে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাই দুই বছর পর তাঁর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার সুযোগ পেলেন চলচ্চিত্র শিল্পী, নির্মাতা, প্রযোজক ও কলাকুশলীরা। কয়েকটি ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন শিল্পীরা। ফলে ২৭টি ক্যাটাগরিতে মোট ৩৪টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এবার।
এবার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। ডলি জহুর প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তাঁর পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। তবে দেশের বাইরে থাকায় ইলিয়াস কাঞ্চন অনুষ্ঠানে ছিলেন না। ইলিয়াস কাঞ্চনের পক্ষে তাঁর বোনের মেয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেছেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়েও আমরা পুরস্কার স্থগিত রাখিনি। কমসংখ্যক ছবি মুক্তি পেয়েছিল, অনেকে বলেছিল, ওই বছর পুরস্কার না দিলে ভালো হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছিলেন, দিতে হবে।’ তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে সিনেমাশিল্প নানা চাপ ও হুমকির মুখে পড়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সিনেমাশিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব অঙ্গনে পুরস্কৃত হয়েছে, সুনাম কুড়িয়েছে।’
পুরস্কার প্রদান শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। এটা আমাদের স্বাধীনতার মাস। এই দেশের অভ্যুত্থানের সঙ্গে মার্চ অত্যন্ত গভীরভাবে মিশে আছে। ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন, ৭ মার্চ তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস; এই মাসে আপনাদের সামনে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে যাননি, আজকে যে সিনেমাশিল্প গড়ে উঠেছে, এর সূচনা করেছিলেন তিনি।’
অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেছেন অভিনেতা ফেরদৌস ও নুসরাত ফারিয়া। বঙ্গবন্ধু ও দেশমাতৃকা নিয়ে ছিল ওয়ার্দা রিহাবের বিশেষ পরিবেশনা। আরও পারফর্ম করেছেন অপু বিশ্বাস, নিপুণ, তারিন, বাপ্পি চৌধুরী, জায়েদ খান, ইমন, নীরব, দীঘি, আঁচল, পূজা চেরি, ঐশী, তমা মির্জা প্রমুখ। গান গেয়েছেন পার্থ বড়ুয়া, আঁখি আলমগীর, ইমরান, কোনাল, লিজা, সাব্বির, নন্দিতা ও নিশিতা বড়ুয়া।
সেরাদের তালিকা
আজীবন সম্মাননা: ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চন
চলচ্চিত্র (যৌথভাবে): লাল মোরগের ঝুঁটি (মাতিয়া বানু শুকু) ও নোনাজলের কাব্য (রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: ধড় (আকা রেজা গালিব)
প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: বধ্যভূমিতে একদিন (কাওসার চৌধুরী)
চলচ্চিত্র পরিচালক: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)
অভিনেতা (যৌথভাবে): মো. সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল)
অভিনেত্রী (যৌথভাবে): আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)
অভিনেতা (পার্শ্বচরিত্রে): এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য)
অভিনেত্রী (পার্শ্বচরিত্রে): শম্পা রেজা (পদ্মাপুরাণ)
অভিনেতা (খলচরিত্রে): মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)
অভিনেতা (কৌতুক চরিত্রে): প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা)
শিশুশিল্পী: আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর)
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)
সংগীত পরিচালক: সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন)
গায়ক: কে এম আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মাপুরাণ)
গায়িকা: চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মাপুরাণ)
গীতিকার: প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন)
সুরকার: সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন)
কাহিনিকার: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)
চিত্রনাট্যকার: নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সংলাপ রচয়িতা: তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)
সম্পাদক: সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি)
শিল্প নির্দেশক: শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য)
চিত্রগ্রাহক (দলগত): সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি)
শব্দগ্রাহক: শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর)
পোশাক ও সাজসজ্জা: ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য)
মেকআপম্যান (দলগত): মো. ফারুখ, মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)
মুজিব বর্ষের চলচ্চিত্র: টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই
বিজয়ীদের অনুভূতি
নিজেকে ধন্য মনে করছি
ডলি জহুর, আজীবন সম্মাননায় ভূষিত অভিনেত্রী
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অবশ্যই বড় কিছু। এর আগেও দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এবার আজীবন সম্মাননা পেলাম। কী অনুভূতি হয়, সেটা মাথায় আসছে না। জীবিত থাকা অবস্থায় পেলাম, এই খুশি বেশি কাজ করছে। এমন আয়োজনে আজীবন সম্মাননা পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শিল্পী-কলাকুশলীদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজের জন্য উৎসাহ দেবে বলে আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধু দেশের শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশে এফডিসি প্রতিষ্ঠাসহ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যার জন্য আমরা কাজের সুযোগ পেয়েছি, আমি ডলি জহুর হতে পেরেছি। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেই পথ অনুসরণ করে অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। সবার পক্ষ থেকে আমি তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া
আজমেরী হক বাঁধন, সেরা অভিনেত্রী
যেকোনো প্রাপ্তিই মানুষকে আনন্দ দেয়। সেই সঙ্গে কাজের অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দেয়। রাষ্ট্রীয় এ সম্মান আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। কিন্তু এ কৃতিত্ব আমার একার না, পুরো টিমের। আমি মনে করি, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ বাংলাদেশের সবাই বিলং করে। আমি ভাগ্যবান, সিনেমাটির জন্য জুরিবোর্ড আমাকে পছন্দ করেছে। সেই সঙ্গে আমি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে এত জায়গায় যেতে পেরেছি। সিনেমাটি আমার নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে, যেটা আমি উপভোগ করছি। আমি মনে করি, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমাটি আরও বেশ কটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিল।
কাজের অনুপ্রেরণা জোগায় পুরস্কার
সিয়াম আহমেদ, সেরা অভিনেতা
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম। জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ আমাকে যোগ্য মনে করার জন্য। প্রতিটি পুরস্কার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অনুপ্রেরণা জোগায়। দ্বিতীয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে ভালো লাগছে। নিজের অর্জনে যখন পরিবারের সবাই খুশি হয় তখন খুব ভালো লাগে। মনে হয় পরিবারের জন্য কিছু করতে পেরেছি। আরেক জন মানুষের নাম স্মরণ করতে চাই। তিনি হলেন তারিক আনাম খান। ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমায় তিনি আমার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় পর্দায় একসঙ্গে বাবা–ছেলের রসায়ন এই প্রাপ্তি এনে দিয়েছে। তারিক আনাম খান স্যার পুরস্কারটা পেলে আমার সবচেয়ে ভালো লাগত। এ পুরস্কার তাঁর প্রাপ্য। তবে যেহেতু আমি পেয়েছি, ‘বাবা’ হয়তো ছেলের জন্য খুশি হবেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে