নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান অতিথি হিসেবে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও কাউন্সিল অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই উপস্থিত নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি অনুষ্ঠানের বিভিন্ন উপস্থাপনাও বেশ উপভোগ করছিলেন। প্রথমবার তাঁর কণ্ঠে একটু অসহায়ত্ব কোয়াবের নির্বাচনের জন্য আগ্রহী প্রার্থী খুঁজতে গিয়ে।
পাপনের প্রশ্ন, ‘নির্বাচনের জন্য কি কেউ নেই? মাত্র একজন হলে তো নির্বাচন হবে না। আপনারা বলেন আমরা নির্বাচন আয়োজন করি।’ শেষ পর্যন্ত ১৯ বছর পর কোয়াবের প্রথম আনুষ্ঠানিক এজিএমে অবশ্য নতুন নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদের প্রস্তাবে উপস্থিত ক্রিকেটারদের সম্মতিতে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিসিবির ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। শুরুতে অবশ্য কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন দুর্জয়।
পুনরায় দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে দুর্জয় বলছিলেন, ‘নতুনেরা কেউ এলে আমি খুশি হতাম। কেন আসে না, এটা ওরা বলতে পারবে। ওদের প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না। আসতে দরজা খোলা ছিল। তাদের আমরা আহ্বান জানিয়েছি। কেউ আগ্রহী থাকলে একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী তারা প্রার্থিতা ঘোষণা করত।’
কোয়াবের নেতৃত্বে নতুন কারও না আসা রহস্যই বটে। ২০১৯ সালে ক্রিকেটারদের আন্দোলনের ১৩ দফার প্রথম দাবিই ছিল কোয়াবের নির্বাচন ও নেতাদের পদত্যাগ। তখন অবশ্য বিসিবি ১০টি দাবি দ্রুত মেনেও নিয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল কোয়াবের নির্বাচন। এবার নতুন নেতৃত্বের সুযোগ থাকলেও সেখানে দেখা মেলেনি মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম কিংবা মাহমুদউল্লাহকে।
তাঁদের নেতৃত্বে না আসার কারণ হিসেবে দুর্জয় বলেছেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়নি, ওরা হয়তো চিন্তা করেছে আমরা এখনো খেলছি কিংবা আরও খেলব। আমি ব্যক্তিগতভাবে আহ্বান করেছি, আসো দায়িত্ব নাও। আমরা তো অনেক দিন করলাম। এটা জোর করার বিষয় না।
আগ্রহের বিষয়। ওরা হয়তো খেলাধুলায় আরও সময় দিতে চায়। বর্তমান জাতীয় দলের খেলোয়াড়, এখনো জাতীয় দলকে সেবা দিচ্ছে।’ সাকিব-তামিমের মতো গতকাল অবশ্য সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমও ছিলেন না। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকারা অনুপস্থিত থাকায় এত বড় আয়োজনও কিছুটা দ্যুতিহীনই মনে হয়েছে।
তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না, এ প্রশ্নে সভাপতি নাঈমুর বলেছেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাদের সবার যোগাযোগ আছে। তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। তারা এজিএমে থাকতে না পারার বিষয়টি জানিয়েছে। একটা সিরিজ শেষ হয়েছে, তাদের পরিবারকে সময় দিতে থাকতে পারেনি। ওরা এ পর্যন্তই আমাদের জানিয়েছে।’
খেলোয়াড়দের আন্দোলনে বলা হয়েছিল, ক্রিকেটারদের কল্যাণে তাদের কোনো পদক্ষেপ নেই। নতুন কমিটিতে কাজের পরিধি কেমন হবে এটা নিয়ে দুর্জয় বললেন, ‘আমাদের কাজের পরিধি একই থাকবে। এটার সঙ্গে নতুন সংযোজন করব। আজও আমরা কিছু দাবি (কাল) তুলেছি মাননীয় বোর্ড সভাপতির কাছে, যেগুলো ক্রিকেটারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। যেহেতু বোর্ডের দ্বারা স্বীকৃত, সেহেতু বোর্ডের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি।’
কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত জানিয়েছেন, সামনে তাঁরা সংগঠনে একটা পেশাদার কাঠামো গড়ে তুলতে চান। গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে প্রথমবারের মতো নারী ক্রিকেটারদেরও সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গতকালকের এজিএমে।
তাঁদের মধ্যে কেউ আগ্রহী থাকলে কার্যনির্বাহী কমিটির দরজা খোলা বলে জানিয়েছেন দুর্জয়। গঠনতন্ত্রে আরেকটি পরিবর্তন হচ্ছে, এত দিন কোয়াবের কার্যনির্বাহী কমিটি ছিল ১১ জনের। এখন আরও ৮টি পদ বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, আজ রাতে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ফিকার) সভাপতি লিসা স্থলেকর কোয়াবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এক দিনের সফরে ঢাকা আসছেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও কাউন্সিল অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই উপস্থিত নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি অনুষ্ঠানের বিভিন্ন উপস্থাপনাও বেশ উপভোগ করছিলেন। প্রথমবার তাঁর কণ্ঠে একটু অসহায়ত্ব কোয়াবের নির্বাচনের জন্য আগ্রহী প্রার্থী খুঁজতে গিয়ে।
পাপনের প্রশ্ন, ‘নির্বাচনের জন্য কি কেউ নেই? মাত্র একজন হলে তো নির্বাচন হবে না। আপনারা বলেন আমরা নির্বাচন আয়োজন করি।’ শেষ পর্যন্ত ১৯ বছর পর কোয়াবের প্রথম আনুষ্ঠানিক এজিএমে অবশ্য নতুন নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদের প্রস্তাবে উপস্থিত ক্রিকেটারদের সম্মতিতে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিসিবির ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। শুরুতে অবশ্য কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন দুর্জয়।
পুনরায় দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে দুর্জয় বলছিলেন, ‘নতুনেরা কেউ এলে আমি খুশি হতাম। কেন আসে না, এটা ওরা বলতে পারবে। ওদের প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না। আসতে দরজা খোলা ছিল। তাদের আমরা আহ্বান জানিয়েছি। কেউ আগ্রহী থাকলে একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী তারা প্রার্থিতা ঘোষণা করত।’
কোয়াবের নেতৃত্বে নতুন কারও না আসা রহস্যই বটে। ২০১৯ সালে ক্রিকেটারদের আন্দোলনের ১৩ দফার প্রথম দাবিই ছিল কোয়াবের নির্বাচন ও নেতাদের পদত্যাগ। তখন অবশ্য বিসিবি ১০টি দাবি দ্রুত মেনেও নিয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল কোয়াবের নির্বাচন। এবার নতুন নেতৃত্বের সুযোগ থাকলেও সেখানে দেখা মেলেনি মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম কিংবা মাহমুদউল্লাহকে।
তাঁদের নেতৃত্বে না আসার কারণ হিসেবে দুর্জয় বলেছেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়নি, ওরা হয়তো চিন্তা করেছে আমরা এখনো খেলছি কিংবা আরও খেলব। আমি ব্যক্তিগতভাবে আহ্বান করেছি, আসো দায়িত্ব নাও। আমরা তো অনেক দিন করলাম। এটা জোর করার বিষয় না।
আগ্রহের বিষয়। ওরা হয়তো খেলাধুলায় আরও সময় দিতে চায়। বর্তমান জাতীয় দলের খেলোয়াড়, এখনো জাতীয় দলকে সেবা দিচ্ছে।’ সাকিব-তামিমের মতো গতকাল অবশ্য সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমও ছিলেন না। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকারা অনুপস্থিত থাকায় এত বড় আয়োজনও কিছুটা দ্যুতিহীনই মনে হয়েছে।
তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না, এ প্রশ্নে সভাপতি নাঈমুর বলেছেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাদের সবার যোগাযোগ আছে। তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। তারা এজিএমে থাকতে না পারার বিষয়টি জানিয়েছে। একটা সিরিজ শেষ হয়েছে, তাদের পরিবারকে সময় দিতে থাকতে পারেনি। ওরা এ পর্যন্তই আমাদের জানিয়েছে।’
খেলোয়াড়দের আন্দোলনে বলা হয়েছিল, ক্রিকেটারদের কল্যাণে তাদের কোনো পদক্ষেপ নেই। নতুন কমিটিতে কাজের পরিধি কেমন হবে এটা নিয়ে দুর্জয় বললেন, ‘আমাদের কাজের পরিধি একই থাকবে। এটার সঙ্গে নতুন সংযোজন করব। আজও আমরা কিছু দাবি (কাল) তুলেছি মাননীয় বোর্ড সভাপতির কাছে, যেগুলো ক্রিকেটারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। যেহেতু বোর্ডের দ্বারা স্বীকৃত, সেহেতু বোর্ডের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি।’
কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত জানিয়েছেন, সামনে তাঁরা সংগঠনে একটা পেশাদার কাঠামো গড়ে তুলতে চান। গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে প্রথমবারের মতো নারী ক্রিকেটারদেরও সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গতকালকের এজিএমে।
তাঁদের মধ্যে কেউ আগ্রহী থাকলে কার্যনির্বাহী কমিটির দরজা খোলা বলে জানিয়েছেন দুর্জয়। গঠনতন্ত্রে আরেকটি পরিবর্তন হচ্ছে, এত দিন কোয়াবের কার্যনির্বাহী কমিটি ছিল ১১ জনের। এখন আরও ৮টি পদ বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, আজ রাতে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ফিকার) সভাপতি লিসা স্থলেকর কোয়াবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এক দিনের সফরে ঢাকা আসছেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে