অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে আনা মানহানির মামলায় জয় পেলেন হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ। আদালত রায় দিয়েছেন, যে অভিযোগ জনির বিরুদ্ধে এনেছিলেন অ্যাম্বার, তা মিথ্যা এবং অবমাননাকর। জনির মানহানির জন্য অ্যাম্বারকে দেড় কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, জনির বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসার অভিযোগ আনার পেছনে অ্যাম্বারের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। জনির ভাবমূর্তি নষ্ট করা, তাঁর বদনাম করাই লক্ষ্য ছিল অ্যাম্বারের। সাত সদস্যের জুরি তিন দিন প্রায় ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত জানালেন।

সত্যের বিনাশ নেই। আমি শুধু সবার সামনে সত্যটা প্রকাশ করতেই লড়াইটা লড়েছি। জুরি আমাকে আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি মনে করি, আমার সত্যের জন্য লড়াই অন্যদের জন্য শিক্ষণীয়। যাঁরা এমন পরিস্থিতিতে আছেন, তাঁরা ও তাঁদের সমর্থনে থাকা মানুষদের লড়ে যেতে হবে, হার মানা চলবে না।

৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা হলেও জনি ডেপ পাবেন ১৫ মিলিয়ন ডলার। মামলায় ডেপের জয় হলেও অ্যাম্বার হার্ডেরও মানহানি হয়েছে মর্মে রায় এসেছে এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ তিনি পাচ্ছেন ২ মিলিয়ন ডলার। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চলেছে এই মামলা।

হেরে যাওয়ার চেয়েও বেশি কষ্ট পেয়েছি এটা জেনে যে আমেরিকান হিসেবে আমি আমার অধিকার হারিয়েছি। আমাদের সেই যুগে নিয়ে যাওয়া হলো, যখন কোনো নারী মুখ খুললে তাঁকে সবার সামনে লজ্জিত ও অপমানিত করা হতো। হৃদয় ভেঙে গেছে এটা দেখে যে প্রমাণের পাহাড়ও আমার সাবেক স্বামীর বিপুল ক্ষমতা, প্রভাব ও প্রতিপত্তির সামনে দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।

 ২০১৫ সালে ঘর বেঁধেছিলেন জনি-অ্যাম্বার। বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় ২০১৭ সালে জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় অ্যাম্বার হার্ডের। ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে জনি ডেপের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ তোলেন অ্যাম্বার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন ডেপ। এরপর ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন অ্যাম্বার।